
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে অভিভাবক ও শিক্ষকরা। সঙ্গীতশিল্পী, পেশাজীবিসহ অনেককেই এই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। তবে অন্যদিনের মতো আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠনের নেতা -কর্মীদের তেমন সরব থাকতে দেখা যায়নি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা বিরোধী ছাত্রদের সাথে মুসল্লী ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ গণমিছিলে পরিণত হয়। গণ মিছিল থেকে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে চট্টগ্রাম নগরি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার থাকায় জুমার নামাজ শেষ করে তাদের সঙ্গে মুসল্লিরা যোগ দিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নগরি। মিছিল কারিরা সরকারের পদত্যাগ, মামলা প্রত্যাহার এবং হত্যার বিচারের দাবিতে শ্লোগান দিতে দেখা যায়।।এর আগে নগরের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। সেখানে জমায়েত শেষে মিছিল নিয়ে লালদীঘি ময়দান হয়ে নিউমার্কেট মোড়ের দিকে যান।এরপর সেখানেও তারা আধা ঘণ্টা অবস্থান করে পুনরায় রেলওয়ে স্টেশন এলাকার দিকে যান।মিছিলে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।আন্দোলন ঘিরে আন্দরকিল্লা মোড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে পুলিশ সদস্যদের ভুমিকা ছিল শান্তি পূর্ণ। আন্দরকিল্লা মোড়ে পুলিশের সামনে গিয়ে অনেকে কটূক্তি করার পরও পুলিশ কোনরকম এ্যাকশনে যায়নি। অন্য দিনের চেয়ে আজকের মিছিলের জমায়েত ছিল অনেক বেশি।
আন্দোলনের এপরিস্থিতির মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনিত মামলা প্রত্যাহার করা উচিত দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য। এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতাসহ সকল সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে
ঘোষণা দেয়া উচিত।
দিনভর অবিরাম ভারি বর্ষনে নগরির নিম্নান্চল গুলো পানিতে নিমর্জিত ছিল। তারপরও ঐসব এলাকার
সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে রাজাপথে সোচ্চার ছিল। দিন যতই যাচ্ছে, আস্তে আস্তে আন্দোলন ও আন্দোলনকারিদের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এনিয়ে শংকিত চট্টগ্রামের অধিবাসী। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। বৃষ্টি ও কোটা আন্দোলনকারীদের রাস্তায় উপস্থিতি থাকায় শহরে তেমন গণপরিবহন চলেনি। চট্টগ্রাম বন্দরে ও লোডিং আনলোডিং ছিল সীমিত।