
: চট্টগ্রাম মহানগরের ১৬টি থানার সবগুলোতে ফিরেছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৫ থানায়। গত ৯ আগস্ট নগরীর ১১ থানায় সেনা পাহারায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বাকি চার থানায় কার্যক্রম গত শনিবার থেকে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। এর ফলে গতকাল রোববার দেখা গেছে ১৫টি থানায় পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তবে যেসব থানা পুরো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলোতেও সীমিত পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে। আর যেসব থানা অক্ষত আছে সেখানে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
দেখা গেছে, কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, হালিশহর এবং ইপিজেড থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়। কোতোয়ালী থানার কার্যক্রম থানার একটি রুমে এবং সামনে, ইপিজেড থানার কার্যক্রম নিউ মুরিং ফাঁড়িতে শুরু করা হয়েছে। তবে পতেঙ্গা থানা আগুনে পুরোপুরি জ্বলে গেছে। থানার কার্যক্রম শুরু করতে নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে। পতেঙ্গা থানা পুরোপুরি জ্বলে যাওয়ায় এই থানার কার্যক্রম শুরু করতে আরো কয়েকদিন লাগবে বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে। গত দুদিন ধরে নগরীর সবগুলো থানায় পুলিশ সদস্যরা ফিরতে শুরু করেছেন।
নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, নগরীর ষোল থানাতেই পুলিশ ফিরেছে। গত ৫ আগস্ট দুপুরে সরকার পতনের পর নগরীর আট থানায় আগুন দেওয়া হলেও বাকি আট থানা অক্ষত ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে রাতে থানার অস্ত্র, গুলি পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সদস্যরা নিজেদের বাসায় চলে যান। যেসব পুলিশ সদস্য থানার ব্যারাকে থাকতেন তারা বন্ধু–বান্ধব ও আত্মীয়-স্ব^জনের বাসায় আশ্রয় নেন। নগরীর কোতোয়ালী থানায় গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হকসহ এসআই, এএসআইসহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল থানায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার নগরীর ১১ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ। থানাগুলো হলো চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, পাহাড়তলী, আবকরশাহ, কর্ণফুলী ও বন্দর। এছাড়া সীমিত পরিসরে কোতোয়ালী, হালিশহর, ইপিজেড, ডবলমুরিং থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পতেঙ্গা থানা পুরোপুরি জ্বলে যাওয়ায় এই থানার কার্যক্রম শুরু করতে আরো কয়েকদিন লাগবে বলে সিএমপির পক্ষ থেকে জানা গেছে।