আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ব্রিটেন ও আমেরিকা অস্বীকার করেছে ভিসা অনুমতি দিবেন না শেখ হাসিনাকে- বক্তব্যে বললেন- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

হাসিনা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে, এখন গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন কোথায়? ঐ ভারতের দিল্লিতে। ব্রিটেন অস্বীকার করেছে, ভিসা অনুমতি দেবে না , ঠিক তেমনি আমেরিকা বলেছে ভিসা দেব না। কোনো দেশ রাজি হয়নি। ভারত যদিও এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি রাজি হয়নি, কিন্তু এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা সেখানেই (ভারতেই) আছেন। এখন ভারত থেকে নতুন এক চক্রান্ত শুরু করেছেন।’
১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গড়েয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন মানুষের সামনে দাঁড়াতে পারে না, এখন আমাদের হিন্দু ভাইদেরকে ঢাল হিসেবে আগে বাড়ায় দিতে চায়। এটাই তাদের একটা কৌশল-খেলা, অপচেষ্টা। যখনই তারা হারতে থাকবে, যখন জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরায় নিবে, নির্বাচনে হেরে যাবে, আন্দোলনে হেরে যাবে তখন তারা হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে হিন্দু মা-বোনেরা, ভাইয়েরা আছেন। তারা ভালো করে জানেন এই বাংলাদেশে কখনই হিন্দু-মুসলমানে যুদ্ধ হয় না। দিনের পর দিন হাজার বছর ধরে এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে থাকছে। এক গাছে অনেক ফুলের মতো ফুটে আছে । এই সম্পর্কে তারা ফাটল ধরাতে চায়, তারা প্রমাণ করতে চায় এই বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার করছে,।নির্যাতন করছে; তারা এমনভাবে এটাকে ছড়াতে চায় যে, ছড়িয়ে তারা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, রাজনৈতিক যখন পটপরিবর্তন হয়, তখন একটা গোলযোগ হয়, সেই গন্ডগোলটা কোনো দিনই ধর্মীয় নয়, সেটা রাজনৈতিক। হিন্দু-মুসলমান আলাদা নয়, রাজনীতি আলাদা হতে পারে, কিন্তু ধর্মীয় কোনো বিভেদ এখানে নাই।
‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই- এই ধরনের অপচেষ্টা আপনারা করছেন, আপনাদের উদ্দেশ্য ভাল না। আপনারা বাংলাদেশে আবার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান, আপনারা ভুলে যাবেন না- আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কখন দেশ ছেড়ে পালায় মানুষ? যখন সে এত অপকর্ম করে তার আর দাঁড়াবার জায়গা থাকে না, এই দেশে যখন তাকে কেউ আর জায়গা দিতে চায় না, কখন পালায়? যখন পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়, মানুষ তাকে আর চায় না। শেখ হাসিনাকে কি এখন কোন মানুষ চায়? কেন চায় না জানেন? কারণ সে এত অত্যাচার করছে, এত বেশি নির্যাতন করছে, এত চুরি করছে; আজকে খবরের কাগজে দেখলাম ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিছে। ব্যাংকগুলোকে খায়া ফেলছে, গিলে ফেলছে, একটা ব্যাংকও ঠিক নাই, সব ভেঙে পরে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দেশপ্রেমিক ছাত্র ভাইদেরকে যারা তাদের ঐতিহ্য রক্ষা করে এই দেশকে রক্ষা করেছে। বারবার ছাত্ররা এই দেশে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর স্বাধীনতা আন্দোলন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। আর আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে তারা ঠিক প্রয়োজনের মুহুর্তে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পালিয়েও লাভ হবে না, আমরা বলেছিলাম- কোন দিকে পালাবে তুমি? কোনদিকে পথ নাই। উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গপসাগর, কোন পালাবার পথ নাই। আজকে আওয়ামী লীগের ঐ অবস্থা হয়েছে। এটাই হয়- যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে, জনগণের উপর অন্যায়-অত্যাচার করতে থাকে, করেছে- আমাদের আলেম-ওলামাকে ফাঁসি পর্যন্ত দিয়েছে। তাদের কারাগারে নির্যাতিত করে রেখেছে, আমাদের বিএনপি সহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে দিনের পর দিন কারাগারে রেখেছে; আমিও কারাগারে ছিলাম অনেকদিন আপনারা জানেন সেটা। তারপরও শেষ রক্ষা হয় নাই, পালিয়ে যেতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে।’তিনি বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লেগেছে যখন আমি দেখেছি, বিজয় স্বরণীর সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তিটা ছিল, দেখি অসংখ্য মানুষ সেই মূর্তিকে দঁড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দিচ্ছে। খারাপ লেগেছ কেন তিনি তো আমাদের নেতা ছিলেন তাইনা? স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবের বিরাট ভূমিকা ছিল তাই না? এই লোকটাকে এই শেখ হাসিনা কত ছোট করে ফেলল, আজ তার মূর্তি নামিয়ে ফেলছে। তার জন্য সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনা দায়ি। মোড়ে মোড়ে, কথায় কথায় একটা করে ম্যুরাল লাগায় বসে আছে, এটা এদেশের মানুষ মানে নারে ভাই। এই দেশের মানুষের হৃদয় থেকে, ভাব থেকে বুঝতে হবে অহংকার সহ্য করে না মানুষ, আল্লাহ সহ্য করে না।’
জনগণের পাশে বিএনপি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি, আপনারা আমাকে কথা দেন, আপনারা আমাদের হিন্দু ভাইদের পাশে থাকবেন, কথা দেন। যেকোন হামলা আসুক আপনারা মোকাবেলা করবেন এবং আজকে যদি অন্য কেউ ষড়যন্ত্র করে সেই ষড়যন্ত্রকে আপনারা রুখে দিবেন।’এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজা ফয়সল আমীন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ জেলা, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ