আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জামালপুর:

জামালপুরের বকশীগঞ্জে চেয়ারম্যানের কাজে মেম্বারদের বাধা-প্রশাসনের সহায়তা চাইলেন চেয়ারম্যান

কামরুজ্জামান কানু জামালপুর:

বকশিগঞ্জ:

সরকার দেশের জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ,সিটিও পৌর মেয়রদের প্রজ্ঞাপন জারি করে অপসারণ করলে ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি, যদিও পরবর্তী যাচাই-বাছাই করে ব্যাবস্হা বলে জানিয়েছেন স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ১-নং ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দাপ্তরিক কাজে বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেম্বারদের বিরুদ্ধে। পরিষদে যেতে চেয়ারম্যানকে বাধাঁ দিচ্ছেন মেম্বাররা। চেয়ারম্যানের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে লাঠিসোঠা নিয়ে পরিষদে অবস্থান করছেন মেম্বার ও তাদের অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বন্ধ চলে আসছে। গত কয়েক মাস আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দেন ১১ জন ইউনিয়নের সদস্যরা। কিন্তু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব না মঞ্জুর করে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এরপর গত ৫ জানুয়ারি সরকার পতনের পর ইইনিয়নের সদস্যরা আবারো চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছেন মেম্বাররা। এরপরেও নিয়মিত অফিস করছিলেন তিনি। গত বুধবার সকালে চেয়ারম্যানকে প্রতিহত করতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা তাদের লোকজন নিয়ে লাঠি সোটা'”সহ পরিষদে অবস্থান নেয়। এতে করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ফলে পরিষদে যেতে পারেনি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্মানাতের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ।

সংবাদ সম্মেলনে ইউ”পি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন, আমি জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করি। ২০ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের যাওয়ার পথে খবর পাই প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাপ জামাল, ইউপি মেম্বার সুমন, লাবনী আক্তার, হোসনে আরা, সামিউল হক, নুরুল আমিন ও সাইফুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ও চারপাশে অবস্থান করছে। আমি সেখানে গেলে আমার উপর হামলা করা হতে পারে এমন আশঙ্কা থাকায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি আমাকে পরিষদে যেতে নিষেধ করেন। এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশে বাধা প্রদান করে আমাকে পরিষদের কার্যক্রমে অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও তারা আমাকে দায়িত্ব পালনে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন,অনৈতিক সুবিধা না পাওয়ায় একটি মহল দীর্ঘদিন যাবত তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানা ভাবে পায়তারা করে আসছে। তারা ইউপি মেম্বারদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর আগেও মেম্বাররা অনাস্থা দিয়েছিল। মেম্বারদের সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব না মঞ্জুর করে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এখন নতুন করে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। চাইলে আমি পরিষদে যেতে পারি। এলাকার সকল সাধারণ জনগন আমার সাথে রয়েছে। তারা বাধাঁ দিয়ে আমাকে আটকাতে পারবে না। কিন্তু আমি আসলে সংঘাত চাই না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন,মেম্বাররা সকলেই নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। মেম্বার এবং তাদের স্বজনদের নামে সরকারি বিভিন্ন ভাতার কার্ড রয়েছে। নিজেরা দুর্নীতি করে আমাকে দুর্নীতিবাজ বলছে। আমি কোন দুর্নীতি বা অনিয়মের সাথে জড়িত নই। র্দুর্নীতির কোন প্রমান দিতে পারলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবো। যতদিন দায়িত্বে আছি কাজ করে যেতে চাই। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যানকে ভুমিদস্যু ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে মেম্বাররা বলেন, দাবি একটাই চেয়ারম্যানের অপসারণ। চেয়ারম্যানকে কোনভাবেই পরিষদে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, চেয়ারম্যানের অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও সার্বিক পরিস্থিতি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন পরিবর্তন করতে হবে:ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে বিশ্বমানের স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডায়াগনস্টিক ল্যাবের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমি লন্ডনে দেখেছি, ডাক্তার রোগীর সব কিছু দেখার ও শোনার পরও জিজ্ঞেস করে, ‘আর কোনো কথা আছে কি?’ কিন্তু আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট মাত্র ২-৩ শতাংশ। যে দেশে ২-৩শতাংশ বাজেট দেওয়া হয়, সেখানে হাসপাতালগুলোতে ফ্লোরে রোগী শোয়াবে না, এটি আশা করা যায় না। বড় ধরনের কোনো হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত বেড থাকার প্রয়োজন ছিল। গলদ তো গোড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে ৮ শতাংশ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বাজেট থাকে। যদি ৮ শতাংশ বাজেট থাকতো, তাহলে সরকারি সেক্টরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালে উন্নতমানের ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটছে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি। একটি ওষুধ দিলে রোগী কেন ভালো হচ্ছে না, সেটি আমরা তদন্ত করছি না। আমরা হয়ত ৩০ শতাংশ চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগী বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের যে পরিমাণ রোগী রয়েছে, তাদের জন্য ৫০০ বেডের আরও হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ১৯ জন গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।শুক্রবার গভীর রাতে টানা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার ১৯ জনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা এবং দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা ও দণ্ডবিধি এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কোতোয়ালী থানার তরিকুল ইসলাম (২৯) ও সেকান্তর হোসেন মিয়া (৫৩), খুলশী থানার মোঃ আবু ফয়সাল (৩৩), বাকলিয়া থানার মধুসদন দত্ত (৪৫), চান্দগাঁও থানার মোঃ শওকত হোসেন বাবুল

(৩৫) ও মফিজুর রহমান চৌধুরী (২৯), চকবাজার থানার নূর হোসেন (৪৮), বায়েজিদ বোস্তামী থানার মোঃ ইমন (৩৪), পাঁচলাইশ থানার মোঃ আবু হানিফ (২৫) ও মোঃ শুক্কুর আলী বাবু (২৩), ইপিজেড থানার মোঃ পান্না শেখ (১৯), মোঃ আনিসুর রহমান (১৯) ও মোঃ আলাউদ্দিন (৩২), বন্দর থানার মোঃ মুরাদ (৩৫), আকবরশাহ থানার রবিন দাশ (২৭), পতেঙ্গা থানার মোহাম্মদ রাহাদ (২০), কর্ণফুলী থানার শওকত হোসেন বাবু (৩৮) ও ইশরাত আশরাফি অপি (২৫) এবং হালিশহর থানার ফয়সাল আহমেদ ওরফে মানিক (৪২)।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ