
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের লাঞ্ছিত ও অপমানিত করার প্রতিবাদ করেছেন সিলেটের একদল শিক্ষার্থী। রবিবার নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করে এসব কাজ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হচ্ছে। সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান প্রান্তিকের পরিচালনায় মানববন্ধনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সিলেটের সভাপতি সৈয়দ মুনির হেলাল বলেন,-আমাদের পিতৃতুল্য মাতৃ তুল্য শিক্ষকদের উপর নিপীড়ন নেমে আসছে। এটা গর্হিত কাজ ও অন্যায়। কদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের উপর যে অন্যায় করা হয়েছে, তাতে শিক্ষকরা অপমানিত হয়নি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রণব কান্তি দেব বলেন-কোন শিক্ষক অপরাধী হন যদি অপরাধী হয়ে থাকেন, তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা যে বাংলাদেশ যাচ্ছি, সে বাংলাদেশে আর কোন শিক্ষকদেরকে অন্যায়মূলক নির্যাতন করা যাবে না। যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদেরকে পদত্যাগ করানো হচ্ছে, তাতে বেশি নির রাজ্য সৃষ্টি হবে। এর প্রভাব পড়বে সারাদেশে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সম্পাদক রওশনারা মুকুল, নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয় আব্দুল করিম কিম,আইনজীবী বিদ্যুৎ কুমার দাস বাপন, সিলেটের সহ -সাধারণ সম্পাদক নাবিল হোসেন, এমসি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সাগর দাস,নরোত্তম মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন শামসুল বাসের সেরো,সাংবাদিক রাজীব রাসেল, নগর নাটের সাবেক সভাপতি উজ্জ্বল চক্রবর্তী, বন্ধুসভা সিলেটের সাবেক সভাপতি হুমায়রা জাকিয়া পুতুল প্রমূখ। অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টার সংক্রান্ত ব্যাপারে বক্তব্যের পরও শিক্ষকদের অপমানিত করা কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো খুবই দুঃখজনক।