আজঃ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

বন্যায় দূর্গত কৃষকদের জন্য ধানের বীজ বপন করলেন দুর্বার

ঠাীোঈী

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্মরনকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় চট্টগ্রামের মরসরাই উপজেলায়। বলা চলে সে ক্ষতিতে কৃষকদের হাত মাথায় উঠেছে । জলের বানে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা। কৃষকদের এরূপ দুশ্চিন্তায় পাশে দাঁড়ালেন দুর্বার’র সদস্যরা। “দুর্যোগে ঐক্য গড়ি, কৃষিতে স্বপ্ন বুনি” এই স্লোগানে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে দুই সেপ্টেম্বর মিঠানালা ইউনিয়নে ২৫ শতক জমিতে তৈরী করেন বীজতলা। জমি চাষ থেকে শুরু করে, পানি সেচ ও জমির আলও করেন তারা। এরপর নামেন প্রতি আলে ধানের বীজ ছিটাতে। সেটাও করেন। দেখে মনে হচ্ছে তারা কৃষি বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাদের এ বপনকৃত ধান বীজ থেকে উৎপাদিত ধানের চারা কৃষকরা ৫ একর জমিতে লাগাতে পারবেন। তারা বিআর-২২ জাতের ষাট কেজি ধানের বীজ বপন করেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এ ধানের চারাগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। সমাজ উন্নয়ন সংস্থা দুর্বার প্রগতি সংগঠন ও কৃষি উন্নয়ন সংগঠন পত্র-পল্লব যৌথভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দুর্বার’র এ কৃষি উদ্যোগ দেখতে আসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন, এসময় তিনি বলেন- এবারের বন্যায় আমাদের কৃষিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। কৃষকদের আমন ধানের বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্বার’র নিজস্ব উদ্যোগে কৃষকদের বিন্যামূল্যে ধানা চারা বিতরণ আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সামান্য হলেও অবদান রাখবে। পুরো এ উদ্যোগ তত্ত্বাবধান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে রুবেল চক্রবর্তী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও তারেক আহমেদ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বীজ বপন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন- ‘কৃষি ও কৃষকদের কল্যাণে দুর্বার’র এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আমন চাষী কিছুটা হলেও উপকৃত হবে তাদের এ উদ্যোগ থেকে।
এছাড়া গত ২১ আগস্ট থেকে বন্যায় মিরসরাইতে ফেনী নদীর পানি বাড়তে থাকলে পানি বন্দি হয়ে পড়ে শত শত মানুষ। চারদিকে যখন বাড়ছে পানির স্রোত। বাঁচার আকুতিতে যখন ভারি হয়ে উঠছে আকাশ- বাতাস। একে অপরের সাথে যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আর দেরি না করে দুর্বার রেসকিউ টিম ২২, ২৩ ও ২৪ আগস্ট চারটি উদ্ধারকারী বোট ও পিকাপ নিয়ে ছুটে যান ফেনীর নিজকুঞ্জরা পিএইচপি কারখানার সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে ও মিরসরাইয়ের শান্তির হাট, গোলকের হাট, নাহেরপুর, ওসমানপুর, আবুরহাট কাজীগ্রাম , লুদ্দাখালী, এছাক ড্রাইভার হাট ও ঝুলনপোল এলাকায়। স্রোতের তীব্রতা ও গলা পানি উপেক্ষা করে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তিন দিন, রাত ৩ টা পর্যন্ত প্রাণ-পণ চেষ্টা চালিয়ে প্রায় দুই শতাধিক পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেন দুর্বার স্বেচ্ছাসেবীরা। মীরসরাইয়ের মিঠানালা, কাঁটাছড়া, ওসমানপুর, দূর্গাপুর, ধুম, মঘাদিয়া ও ইছাখালী ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত মানুষ ও দূর্গত এলাকায় পানিবন্দি প্রায় ৫০০০ জনের মাঝে রাত ও দুপুরের খাবার, শুকনা ও ভারি খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন ও ঔষুধ বিতরণ করে দুর্বার।
সংগঠনের সভাপতি রিপন কুমার দাশ বলেন- ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে আমরা আগাম শীতকালিন সবজি বীজ বিতরণ করবো। যাতে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা লাঘব হয়।’ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন- ‘৫০ জন দুর্বার স্বেচ্ছাসেবী টানা ১০ দিন এ বিশাল কর্মযজ্ঞে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এবং সংগঠনের সদস্য, পৃষ্ঠপোষক ও শুভাকাঙ্খীগণ আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুতুবদিয়ায় ছোটন চেয়ারম্যানের ১০০ কর্মদিবস উদযাপন ! উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. ন. ম শহীদ উদ্দিন ছোটনের দায়িত্ব গ্রহণে (১৫ ডিসেম্বর) ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ায় কর্মদিবস উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পরিষদ কার্যালয় বর্ণিল সাজে সাজানো হয় এবং সন্ধ্যায় আনন্দঘন পরিবেশে কেক কেটে ১০০কর্মদিবস উদযাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য যথাক্রমে মাহাবুব আলম, মোঃ জামাল হোসেন, মো: সালাহ উদ্দিন, মো: আজিজুল হক, রেজাউল করিম ও এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।

বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. ন. ম শহীদ উদ্দিন ছোটনের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ কর্মদিবস উপলক্ষে ইউনিয়নজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে তার গৃহীত নানা উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই চেয়ারম্যান ছোটন ইউনিয়নের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশেষ করে রাস্তা সংস্কার, অসহায় ও দুস্থদের সহায়তা প্রদান এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ দ্রুত সমাধানে তার আন্তরিকতা এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন বলেন, “এই ১০০ দিনে আমি চেষ্টা করেছি জনগণের পাশে থাকতে এবং ইউনিয়নকে একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও উন্নয়নমুখী এলাকায় রূপ দিতে। আগামীতেও বড়ঘোপ ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।”

এলাকাবাসী জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের প্রতি নতুন আশার সঞ্চার করেছে। চেয়ারম্যান ছোটনের এই কার্যক্রম বড়ঘোপ ইউনিয়নের উন্নয়ন যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ