আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও তাঁর স্ত্রী  জেসমিন আকতার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং চেয়ারম্যান দায়িত্বকালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি ৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে। 

লিয়াকত আলী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক ছিলেন। এস আলমের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে গিরে নানাভাবে আলোচিত সমালোচিত ছিলেন তিনি। 

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামরাটি দায়েররকরা হয়েছে। 

 মামলার এজেহারে বলা হয়েছে, লিয়াকত আলীর  দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন এবং ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬
(২) ও ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদ লেয়াকত আলী  কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব কালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী আসামী জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য ঘোষণা দেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ১৬টি দলিল মূলে ২,৬৫,৫৫,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য
পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (২,৬৫,৫৫,৮৭৯-২,৩৯,৭৫,০০০) =
২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন
কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে কোন অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেননি। তার
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে তার নামে (১) একটি প্রাইভেট কার যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১১-০৩৬২ মূল্য- ১১,৮০,০০০/- টাকা, (২) বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম হতে গত ২৯.০৬.২০২০ তারিখে রেজিস্ট্রেশন নং-২০২০০৩০৪২৫৯ মূলে মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় ক্রয়- ৫,০০,০০০/- টাকা, (৩) বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রামের হিসাব
নং-৩২০৮-০৩১১০৭০০২৯ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ১,৩৯,৯৪৬/- টাকা, (৪) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পাচঁলাইশ শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং- ০২৩৬১২২০০০০১৫৫৬ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ১,০৪,৬১৫/- টাকা, (৫) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, পাচঁলাইশ শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং-০২৩৬১১৮০০০০০০০৩ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ৩৭,২৯৩/- টাকা, (৬) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং-০১৮৭১৪১০০০০০২৫৮ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত-
৫১,৮৩,০৮৮/- টাকা, (৭) ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, বাঁশখালী শাখা, চট্টগ্রাম এর হিসাব নং-
০১৮৭১২২০০০০৯০০৩ তে ব্যাংক হিসাব বিবরণী মোতাবেক প্রাপ্ত- ৪৪১/- টাকা ও (৮) ব্যবসায় বিনিয়োগ, ২০২৩-২৪ কর
বৎসরের আয়কর রিটার্ন মোতাবেক- ৯,০০,০০০/- টাকাসহ মোট = (১১,৮০,০০০+৫,০০,০০০+ ১,৩৯, ৯৪৬+১, ০৪, ৬১৫+
৩৭,২৯৩+৫১,৮৩,০৮৮+৪৪১+৯,০০,০০০) =৮০,৪৫,৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি
দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮০,৪৫, ৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫,৮০,৮৭৯/- টাকার স্থাবর সম্পদ ও
৮০,৪৫,৩৮৩/- টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট (২৫, ৮০, ৮৭৯+ ৮০, ৪৫, ৩৮৩) = ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনের
তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্যঅপরাধ করেছেন।

অন্যদিকে পর্যালোচনায় দেখা যায় জেসমিন আকতার ( ১) ব্যবসা হতে আয়
৬৬,৭৯,৩৩৩/- টাকা (২) কৃষি হতে আয় ৩৩,৯৭,১৯৭/- টাকা, (৩) ব্যাংক সুদ ৬,৪৪, ৩৩১/- টাকা ও (৪) অন্যান্য হতে
আয় ১৬,৭৩৯/- টাকাসহ তার নামে মোট (৬৬,৭৯, ৩৩৩+৩৩,৯৭, ১৯৭+৬, ৪৪, ৩৩১+১৬, ৭৩৯) = ১,০৭,৩৭,৬০০/-
টাকা আয় করেছেন। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত আয় গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। একই সময়ে তিনি পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ বাবদ মোট ৪৬,৫০,০০০/- টাকা ব্যয় করেছেন মর্মে তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন। যাচাই/অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় তার উক্ত ব্যয় গ্রহণযোগ্য মর্মে বিবেচনা করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন
কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর দায়ের কলামে তিনি কোন দায়ের তথ্য প্রদান করেননি। এছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই/অনুসন্ধানকালে দায়/ঋণ সংক্রান্ত কোন রেকর্ডপত্র দাখিল বা উপস্থাপন করেননি। বিধায় তার নামে কোন দায় নেই মর্মে
প্রতীয়মান হয় ।

যাচাই/অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আসামী জেসমিন আকতার এর নামে ৩,৪৬,০১,২৬২/- টাকার
স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৪৬,৫০,০০০/- টাকার পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ (৩,৪৬, ০১, ২৬২+৪৬,৫০,০০০) = ৩,৯২,৫১,২৬২/-টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১,০৭,৩৭,৬০০/- টাকার। এক্ষেত্রে
তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া যায় (৩,৯২,৫১,২৬২-
১,০৭,৩৭,৬০০) = ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার। অর্থাৎ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তাছাড়া আসামী জেসমিন আকতার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২,৩৯,৭৫,০০০/- টাকার
স্থাবর সম্পদ অর্জন এবং কোন অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেননি মর্মে ঘোষণা দেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩,৪৬,০১,২৬২/- টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে (৩,৪৬, ০১, ২৬২-২, ৩৯,৭৫,০০০) = ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেন। অর্থাৎ আসামী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১,০৬,২৬,২৬২/- টাকার
সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২,৮৫,১৩,৬৬২/- টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য
অপরাধ করেছেন। এছাড়া আসামী জেসমিন আকতার এর নামে তার স্বামী আসামী মোহাম্মদ লেয়াকত আলী কর্তৃক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব কালীন অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী জেসমিন আকতার এর নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রূপগঞ্জে সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়-কর্ণগোপ সড়কের শাখা রাস্তা বরপা-শান্তিনগর সড়কের নোয়াগাঁও এতিমখানা মোড় এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তারাবো পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে মোস্তফা মিয়া ওই রাস্তার মাটি কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এখনই রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করতে না পারলে পরবর্তীতে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে পড়বে। রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার কাজ এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ায় মোস্তফা মিয়া ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। রূপগঞ্জ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামকে জানিয়েও এলাকাবাসী কোন সুফল পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মোস্তফা মিয়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তার রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি হলেও এর প্রতিকার কেউ করতে পারছে না।

জানা গেছে, ১৯৯২সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভূমি হুকুম দখল করে এসএসআইসি-৮ প্রকল্পের আওতায় এখানে ৩০ফুট প্রস্থে সেচ খাল ও ১০ফুট প্রস্থে রাস্তা নির্মাণ করে। পরে তারাবো পৌরসভা এ রাস্তাটিকে ইটের সলিংয়ে উন্নীত করে। এলাকাবাসী যখন রাস্তাটিকে প্রসস্ত ও পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে, ঠিক তখনই স্থানীয় প্রভাবশালী ও আওয়ামীলীগ সমর্থক মোস্তাফা মিয়া ভূমি হুকুম দখলকৃত সেচ খাল ভরাট করে রাস্তাটি দখলে নিয়ে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাফা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাাইফুল ইসলাম বলেন, সেচ খালের জমি ও রাস্তা দখলকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। বেদখলকৃত সকল সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার – ১

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা এলাকায় আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তুষার (১৮) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন গোপালপুর খাইরুলের হোটিলের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তুষার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন রামনগর এলাকার মৃত একরামুল হোসেনের ছেলে।
র‌্যাব-৫ জানায়, ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বাদী ইসমাইল হোসেন (৩৮) এর মেয়ে ভিকটিম নাইমা খাতুন (০৮) রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয এর দ্বিতীয শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি তুষার একজন ভ্যানচালক ও ভিকটিমের পাড়া প্রতিবেশী চাচা। গত ১৮/১২/২০২৪ তারিখে সকাল ১১:৪৫ ঘটিকার সময় ভিকটিম হেলিপ্যাডের মাঠে

খেলাধুলা করছিল। সেই সময় আসামি ভিকটিমকে জলপাই খাওয়ানোর কথা বলে তার ভ্যান গাড়িতে করে গোদাগাড়ী থানাধীন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের হেলিপ্যাড সংলগ্ন সরমোংলা জঙ্গলের পূর্বকোণে নিয়ে যায়।

একই তারিখ ১২:০৫ ঘটিকার সময় আসামি ভিকটিমের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় এবং পড়নের জামা ও পায়জামা খুলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ভয়ে ও ব্যথায় চিৎকার করিলে আসামি ভিকটিমের মুখে গামছা চেপে ধরে এবং হুমকি দেয় এই ঘটনার কথা যদি সে কাউকে বলে তাহলে তাকে মেরে ফেলবে এই কথা বলে আসামি ভিকটিমকে ললিপপ

খাওয়ার জন্য ১০ টাকা দেয় এবং তাহার ভ্যান গাড়িতে করে ভিকটিমকে জনৈক রাজুর বাড়ির পাশে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। সেই সময় ভিকটিম রাস্তায় বাবাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে চলে যায় এবং ঘটনার কথা খুলে বলে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।র‌্যাব-৫ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার ধর্ষণ মামলা মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ