আজঃ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আন্দোলনে খুনি হাসিনা হাহার হাজার মানুষ খুন করেছে -মির্জা ফখরুল

মোঝ আসাদুজ্জামান ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে খুনি হাসিনা হাহার হাজার মানুষ খুন করেছে। বিএনপি নেতা, ছাত্র-জনতাকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের আয়নাঘর বানিয়েছে। মনে রাখবেন, সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না। তিনি যখন যাকে চান আমির বানান আবার যখন যাকে চান ফকির বানান। ঠাকুরগাঁও হরিপুর বিএনপির আয়োজনে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সনাতন ধর্মারম্বীসহ সকল সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের আমানত৷ আর আমানতের খেয়ানত যারা করে তারা মোমিন না।

তিনি বলেন,ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আমরা এখন মুক্ত স্বাধীন। এ স্বাধীনতা ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ আমরা তা ধরে রাখতে পারবো। আমাদের দেশে সনতান ধর্মালম্বী সহ সকলে মিলেমিশে বসবাস করবো। তারা আমাদের আমানত। সামনে দুর্গা পূজা আসছে। তাদের জান মাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের। কারন তারা আমাদের আমানত। আমানতের খেয়ানত যারা করে তারা মোমিন না। তাদের যেন কেউ ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখার কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগষ্ট মাসের ৪ তারিখে চিন্তাও করতে পারিনি ৫ তারিখে রাস্তায় এত মানুষ নেমে আসবে আর হাসিনার পতন ঘটাবে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়েগেছে।

তিনি বলেন, কারো উপর অন্যায় নির্যাতন করবেন না। নয়তো আওয়ামী রীগের মতো পরিণতি হবে। আপনারা কেউ তা চাননা। যেমন হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে করুণ পরিস্থিতির মদ্যে পড়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সামনে নির্বাচন হবে। কবে হবে তা জানিনা। তবে এটা ঠিক আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনের সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার কারনে আপনারা কেউ এতদিনে ভোট দিতে পারেননি। যোগ করে ফখরুল বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সবাই ভালো মানুষ ও নিরপেক্ষ মানুষ। কোন দলের রাজনীতি করেননা। আপনারা ধৈর্য ধরেন সবাই শান্ত থাকেন। আপনাদের দাবি এখানে যেন আমরা ধানের শীষ প্রতীক দেই। কাজেই ধানের শীষকে শক্তিশালী করেন। কারন নির্বাচন সামনে আসছে। আমরা দেশকে ভালো রাখার সুযোগ যেন না হারাই।

সীমান্ত হত্যা নিয়ে ফখরুল বলেন, এখানে পাশেই ভারত সীমান্ত। আমরা ভারোভাবে থাকতে চাই। আমাদের উপর অন্যায় করা হলে আমরা প্রতিবাদ করবো।এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লড়াই সংগ্রামে ত্যাগের কথা তুলে ধরেন এবং তাদের জন্য দোয়া চান।

জনসভায় তীব্র রোদ উপেক্ষা করে ঈদগা মাঠ কানায়কানায় ভরপুর ছিলো জেলা উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মী ও বিএনপি সমর্থিত ছাত্র-জনতা দলে দলে এসে যোগদান করেন। জনসভায় হরিপুর বিএনপির সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন জামার উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন সহ অন্যান্য নেতারা।এরপর তিনি ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী ও রুহিয়ায় জনসভায় অংশ নেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন পরিবর্তন করতে হবে:ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনে বিশ্বমানের স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডায়াগনস্টিক ল্যাবের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমি লন্ডনে দেখেছি, ডাক্তার রোগীর সব কিছু দেখার ও শোনার পরও জিজ্ঞেস করে, ‘আর কোনো কথা আছে কি?’ কিন্তু আমাদের দেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার ধরন ও মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। এটাকে দায়িত্ব মনে করতে হবে।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আমাদের বাজেট মাত্র ২-৩ শতাংশ। যে দেশে ২-৩শতাংশ বাজেট দেওয়া হয়, সেখানে হাসপাতালগুলোতে ফ্লোরে রোগী শোয়াবে না, এটি আশা করা যায় না। বড় ধরনের কোনো হাসপাতাল ও পর্যাপ্ত বেড থাকার প্রয়োজন ছিল। গলদ তো গোড়ায়। উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে ৮ শতাংশ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ বাজেট থাকে। যদি ৮ শতাংশ বাজেট থাকতো, তাহলে সরকারি সেক্টরে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হতো।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও নগর জামায়াতের আমীর আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম ফজলুল হক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালে উন্নতমানের ক্যান্সার ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটছে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি। একটি ওষুধ দিলে রোগী কেন ভালো হচ্ছে না, সেটি আমরা তদন্ত করছি না। আমরা হয়ত ৩০ শতাংশ চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু বাকি ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রোগী বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমাদের যে পরিমাণ রোগী রয়েছে, তাদের জন্য ৫০০ বেডের আরও হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ১৯ জন গ্রেফতার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীতে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।শুক্রবার গভীর রাতে টানা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গ্রেফতার ১৯ জনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা এবং দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা ও দণ্ডবিধি এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, কোতোয়ালী থানার তরিকুল ইসলাম (২৯) ও সেকান্তর হোসেন মিয়া (৫৩), খুলশী থানার মোঃ আবু ফয়সাল (৩৩), বাকলিয়া থানার মধুসদন দত্ত (৪৫), চান্দগাঁও থানার মোঃ শওকত হোসেন বাবুল

(৩৫) ও মফিজুর রহমান চৌধুরী (২৯), চকবাজার থানার নূর হোসেন (৪৮), বায়েজিদ বোস্তামী থানার মোঃ ইমন (৩৪), পাঁচলাইশ থানার মোঃ আবু হানিফ (২৫) ও মোঃ শুক্কুর আলী বাবু (২৩), ইপিজেড থানার মোঃ পান্না শেখ (১৯), মোঃ আনিসুর রহমান (১৯) ও মোঃ আলাউদ্দিন (৩২), বন্দর থানার মোঃ মুরাদ (৩৫), আকবরশাহ থানার রবিন দাশ (২৭), পতেঙ্গা থানার মোহাম্মদ রাহাদ (২০), কর্ণফুলী থানার শওকত হোসেন বাবু (৩৮) ও ইশরাত আশরাফি অপি (২৫) এবং হালিশহর থানার ফয়সাল আহমেদ ওরফে মানিক (৪২)।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ