আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কমে গেছে পণ্য আমদানি ঘুরে ছাঁড়াচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পানগাঁও টার্মিনাল

চট্টগ্রাম ব্যুরোোংো

।কসাড়ে ৩ হাজার একক কনটেইনার ধারণক্ষমতার চট্টগ্রাম বন্দরের আওতাধীন পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালে ২০২৩ সালে ভিড়েছিল ১৪৭টি পণ্যবাহী জাহাজ। অর্থাৎ, গড়ে প্রতিমাসে ১২টির বেশি জাহাজ। নানা প্রতিকূলতা ও অভিযোগ থাকলেও এই টার্মিনালকে এখন নতুন করে সাজানো হয়েছে। দ্রুত হয়রানিমুক্ত পণ্য পরিবহনের জন্য যাথাযথ ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। পানগাঁও বন্দরের স্টোরেজ সক্ষমতা সাড়ে ৩ হাজার টিইইউএস কনটেইনার। বছরে এ বন্দর হ্যান্ডলিং করে এক লাখ ১৬ হাজার টিইইউ কনটেইনার।
এদিকে নৌপথ ব্যবহার করে স্বল্পসময়ে বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে চালু করা হয় পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল। ৮৯ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা দেশের প্রথম অভ্যন্তরীণ এ নৌ-টার্মিনালে রয়েছে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও অবকাঠামোগত সুবিধা। কিন্তু তারপরও তলানিতে নেমে এসেছে এই টার্মিনালের কার্যক্রম।
নৌপথে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালের ব্যস্ততা বাড়াতে ছয়টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে বন্দরের ঝিমিয়ে পড়া কনটেইনার টার্মিনাল ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ ছয়টি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, চট্টগ্রাম-পানগাঁও-চট্টগ্রাম রুটে জাহাজের বিদ্যমান ভাড়া কমাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি বাতিলে উদ্যোগ নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে নদীপথে কনটেইনার পরবিহনের ভাড়া প্রতিযোগিতামূলক হয়ে বর্তমান ভাড়ার চেয়ে ব্যাপক হ্রাস পাবে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পূর্ব নির্ধারিত একটি জেটি ছাড়া অতিরিক্তি আরেকটি জেটি পানগাঁওগামী জাহাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বার্থিং প্রায়োরিটির কারণে আগের চেয়ে দ্বিগুণ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-পানগাঁও-চট্টগ্রাম নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি নিবন্ধিত জাহাজ রয়েছে। জাহাজগুলোকে নিয়মিত চলাচল করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কনটেইনার অপারটেরসহ অন্যান্য শিপিং লাইনগুলো নদীপথে কনটেইনার পরবিহনের জন্য পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আমদানি পণ্যের কনটেইনারের গন্তব্য পানগাঁও টার্মিনালের নাম উল্লেখ করে ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট, বিল অব লেডিং এবং এলসি খোলার বিষয়ে আমদানি-রপ্তানিকারকগণকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।পণ্য শুল্কায়নে কাস্টমসের জটিলতা নিরসন করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে জটিলতা ছাড়াই পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালের হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি ও টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য জাহাজ মালিকদের ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের সাথে চলতি মাসেই দু’বার মতবিনিময় সভা করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। সভায় পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনালের জন্য গৃহীত ছয় উদ্যোগের কথা জানান। যা ব্যবহার করে পানগাঁও আইসিটিকে ব্যবসাবান্ধব করার জন্য আমদানি-রপ্তানিকারক, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সম্প্রতি কাস্টমস ও আমদানিকারকদের নানা সমস্যার কারণে পানগাঁও টার্মিনাল কেন্দ্রিক পণ্য আমদানি কমে গেছে। আমদানিকারকরা এই রুটের পণ্য আমদানি না করলে স্বাভাবিকভাবেই জাহাজ আসাও কমে যাবে। তবে টার্মিনালের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। এখানে অধিক পরিমাণ জাহাজ ও পণ্য ওঠানামা সম্ভব। তার সব লজিস্টিক ফ্যাসিলিটি আমরা নিশ্চিত করেছি। আরেকটি জেটি বরাদ্দ, পরিবহন খরচ কমানোসহ ৬টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে শিডিউল মেনে ২১টি কনটেইনার জাহাজ চলাচল করতো। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের মালিকানাধীন জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ডুবে যাওয়ায় এবং মেরিন ট্রাস্ট-১ কলকাতা বন্দরে ডুবে যাওয়ায় এখন এই রুটে ১৯টি জাহাজ চলাচল করে। এদের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১২০ থেকে ১৩০ একক কনটেইনার। ছোট আকারের এই জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামা করা যায় ৬ ঘণ্টার মধ্যেই। তাই এই ১৯টি জাহাজ একত্রে প্রায় আড়াই হাজার কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পানগাঁওয়ে পরিবহন করতে পারবে বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ