
অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড কোম্পানির PHAR.RAW MAT-SORBITOL 70% SOLUTION BP কেমিক্যাল ৩২০ ড্রাম, যার আনুমানিক মূল্য- ১কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা যা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের বিল অব এন্ট্রি নং- সি ১৬৪৪১২১ মূলে ইপিজেড থানাধীন লেবার কলোনিস্থ ওভারফ্লো ইয়ার্ড থেকে বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানাধীন রূপাতলী Opsonin Pharma Ltd. ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাদী মোঃ সালাউদ্দিন (৪৫)-কে মনোনীত করা হয়। তিনি উক্ত মালামালসমূহ ইপিজেড থানাধীন লেবার কলোনিস্থ ওভারফ্লো ইয়ার্ড থেকে বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানাধীন রুপাতলী Opsonin Pharma Ltd ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোট ৮টি ট্রাক ভাড়া করেন। পরবর্তীতে ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় ইপিজেড থানাধীন লেবার কলোনিস্থ ওভারফ্লো ইয়ার্ড থেকে বর্ণিত মালামালসমূহ ৮টি ট্রাক যার প্রত্যেকটি গাড়িতে ৪০ ড্রাম যার আনুমানিক মূল্য ২৩ লক্ষ টাকা লোড করে বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানাধীন রূপাতলী Opsonin Pharma Ltd ফ্যাক্টরিতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। গাড়িসমূহ রওয়ানা দেওয়ার পর প্রত্যেক গাড়ির ড্রাইভার এবং মালিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করলেও একটি ট্রাকের মালিক ও চালক এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে এবং একপর্যায়ে গাড়িতে কিছুটা সমস্যা পরিলক্ষিত হয় বলে নির্ধারিত ভাড়া থেকে কিছু টাকা প্রদান করার জন্য বলেন।
১২ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানাধীন রূপাতলী থেকে বাদীর ম্যানেজার মোঃ মাকসুদ মোবাইল ফোনে বাদীকে জানান ওই ট্রাকটি গন্তব্যে পৌঁছায়নি এবং গাড়ির মালিক ও চালকের মোবাইল ফোন দুটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বাদী মোঃ সালাউদ্দিন (৪৫) ইপিজেড থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হয়।

মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে সিএমপির বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানা মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ ও বন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আখতারউজ্জামানের নেতৃত্বে ইপিজেড থানা পুলিশের একটি আভিযানিক টিম এসআই সাজ্জাদ হোসাইন, এসআই শেখ তারিকুল ইসলাম, এসআই জয়নাল আবেদীন, এএসআই শরীফুল ইসলাম ও এএসআই মাসুদ আলমের সমন্বয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ১০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন ফৌজদারহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপসোনিন ফার্মা লিমিটেডের চোরাই যাওয়া ৩০ ড্রাম কেমিক্যাল উদ্ধার করেন, যার মূল্য আনুমানিক ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।