আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা

ইব্রাহীম হোসেন দেবহাটা প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সরকারি কেজিএ কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার ব্যানার্জি, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, উপজেলা কৃষি অফিসার শওকাত ওসমান, মেরিন এন্ড ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, শিক্ষা অফিসার শেখ ইদ্রিস আলী, সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইন, মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান, যুবউন্নয়ন অফিসার আহম্মেদ তাহমির, একাডেমিক সুপারভাইজার মিজানুর রহমান, সমবায় অফিসার মনোজিত মন্ডল, বিআরডিবি কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার মন্ডল, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আসলতা খাতুন, পরিসংখ্যান অফিসার কাজী সিদরাতুল মুনতাহা, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, তথ্য কর্মকর্তা মৌসুমি সুলতানা সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কর্মকর্তারা তাদের দপ্তরের চলমান কর্মকান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া দাপ্তরিক কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিগত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের দেশের বিভিন্ন কাজের পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ মোতাবেক আমরা দেশকে নতুন ভাবে সাজাতে কাজ করছি। যার যার আবস্থান থেকে টেকসই লক্ষমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হবে। গনবিপ্লবের এই সফলতা যাতে সব মানুষ ভোগ করতে পারে সেজন্য আমাদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করে আরো বলেন, দেশের রপ্তানিজাত বিভিন্ন শিল্পের অন্যতম চিংড়ি খ্যাত। যা দক্ষিণাঞ্চল থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু ব্যক্তির কারণে এই সুনামে নষ্ট হতে বসেছে। তাই অতিদ্রুত চিংড়ি সহ খাবারে ভেজাল বা অপ দ্রব্য মেশানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক এসব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ