এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পৃথিবীর মেরুদণ্ড বলা হয় পাহাড়কে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার অসংখ্য অবদান । এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অথচ এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা দিনের পর দিন নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করছে।কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়। তবে সেসব পাহাড় গুলোতেও পড়েছে পাহাড় খোকোদের থাবা।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় নুরুল হক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি পাহাড়ে বসবাসরতর সাধারণ মানুষজন।
তারা বলছেন, শুধু পাহাড় নিধন নয়, স্থাপনা নির্মাণ করতে হলেও নুরুল হক গং দের দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। অন্যথায় বন বিভাগের হুমকি দেখিয়ে মামলায় জড়ানো হয় অসহায় এসব মানুষকে।

স্থানীয়রা জানান, নুরুল হকের সাথে যোগসাজশ আছে ঈদগাঁও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, নুরুল হল নামে কারো সাথে পরিচয় নেই তার। যে বা যারা আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করতেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরো জানান, অনেকেই অভিযোগ করবে সুবিধা নেওয়ার জন্য। তবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি।
এদিকে অভিযুক্ত নুরুল হক পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে ভিলেজার হিসেবে ফুলছড়ির রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তার।
রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে দিনে রাতে তার বিভিন্ন কাজে যাওয়া আসা রয়েছে বলে তিনি বলেন, আমার একটি গাড়ী আছে। গরীব মানুষ আমি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। এখন দেশে এসে এইসব করে খাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করতেছে। আপনারা খুঁজে দেখেন পারলে। আমি কাউকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করি না। আমি কি দালাল?

এইনিয়ে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা। যারা এইসব কাজে জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেন তিনি।











