আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজারে ৩১৯টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

অন্তর দে বিশাল ( কক্সবাজার) :

কক্সবাজারে এবার ৩১৯টি পূজা মণ্ডপে ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। যা গত বছরের তুলনায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৪টি।
এরইমধ্যে মণ্ডপে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ প্রায় হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র রং তুলির কাজ।
কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দির, গোলদীঘির পাড় ইন্দ্র সেন দুর্গাবাড়ী, কৃষ্ণানন্দ ধাম মন্দির, বঙ্গপাহাড় দুর্গা মন্দির, হরিজন পাড়া হরি মন্দিরসহ শহর ও সদরের বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এই বারও শারদীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মণ্ডপে পুজার্থীদের ভিড় ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপের মধ্যেই ১৫০টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৯টি ঘট পুজা।
যার মধ্যেই কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩১টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ২৫টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ২৮টি, রামু উপজেলায় ৩৬টি, চকরিয়া উপজেলায় ও পৌর এলাকাসহ ৮৯টি, পেকুয়া উপজেলায় ৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, মহেশখালী উপজেলা ও পৌর এলাকাসহ ৩৪টি, উখিয়া উপজেলায় ১৫টি, উখিয়া কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টি ও টেকনাফ উপজেলা (পৌর এলাকাসহ) ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পুজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।’

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, ‘এবার জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বারের তুলনায় এইবার আমাদের পুজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে সহযোগিতায় সুন্দর পরিবেশে পুজা উদযাপন করতে পারব। আমাদের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মু. রহমত উল্লাহ বলেন, আগের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
‘প্রতিটি মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। পূজা মণ্ডপে র‌্যাব ও পুলিশ ছাড়াও আনসার মোতায়েন করা হবে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন আহমদ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি পুজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পুজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

সাতকানিয়া কেরানীহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযান, ৯৬ হাজার টাকা অর্থদন্ড

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২- মার্চ) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আম্মাজান পাজ্ঞাবি বিতান কে ২৫,০০০/-টাকা, রিমেক্স 69 কে ১৫,০০০/- টাকা, শৈল্পিক কে ১,০০০/- টাকা, আরটিক্স কে ৫,০০০/- টাকা, সু-বাজার কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। মোট ৫ টি মামলায় সর্বমোট ৯৬,০০০/-টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস।

এসময় সহকারী কমিশনার(ভূমি) জনাব ফারিস্তা করিম, উপজেলা মৎস অফিসার জাকিয়া আবেদিন, ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ