আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারে ৩১৯টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব

অন্তর দে বিশাল ( কক্সবাজার) :

কক্সবাজারে এবার ৩১৯টি পূজা মণ্ডপে ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। যা গত বছরের তুলনায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৪টি।
এরইমধ্যে মণ্ডপে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ প্রায় হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র রং তুলির কাজ।
কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দির, গোলদীঘির পাড় ইন্দ্র সেন দুর্গাবাড়ী, কৃষ্ণানন্দ ধাম মন্দির, বঙ্গপাহাড় দুর্গা মন্দির, হরিজন পাড়া হরি মন্দিরসহ শহর ও সদরের বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এই বারও শারদীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মণ্ডপে পুজার্থীদের ভিড় ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপের মধ্যেই ১৫০টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৯টি ঘট পুজা।
যার মধ্যেই কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩১টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ২৫টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ২৮টি, রামু উপজেলায় ৩৬টি, চকরিয়া উপজেলায় ও পৌর এলাকাসহ ৮৯টি, পেকুয়া উপজেলায় ৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, মহেশখালী উপজেলা ও পৌর এলাকাসহ ৩৪টি, উখিয়া উপজেলায় ১৫টি, উখিয়া কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টি ও টেকনাফ উপজেলা (পৌর এলাকাসহ) ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পুজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।’

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, ‘এবার জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বারের তুলনায় এইবার আমাদের পুজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে সহযোগিতায় সুন্দর পরিবেশে পুজা উদযাপন করতে পারব। আমাদের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মু. রহমত উল্লাহ বলেন, আগের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
‘প্রতিটি মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। পূজা মণ্ডপে র‌্যাব ও পুলিশ ছাড়াও আনসার মোতায়েন করা হবে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন আহমদ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি পুজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পুজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাটজাত ব্যাগ পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে:মেয়র শাহাদাত

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পাটজাত ব্যাগ পরিবেশবান্ধব ও অপচনশীল পলিথিনের ব্যবহার কমাতে সহায়ক হবে। শুক্রবার নগরের ষোলশহরের রাষ্ট্রায়ত্ত আমিন জুট মিলসের বন্ধ কারখানা পরিদর্শনকালে মেয়র এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় মেয়র আমিন জুট মিলস পুনরায় চালু করা হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যাগ তৈরি করা সম্ভব হবে উল্লেখ করেন।

মেয়র জানান, আমিন জুট মিলস লিমিটেড চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের অধীনে ২৬টি মিলের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০টি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান পাটকল।পাটকলে পৌঁছালে মেয়রকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান আমিন জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান

এএইচএম কামরুল হাসান, নিরাপত্তা বিভাগীয় প্রধান আবদুল্লা আল মামুন ভূঁইয়া এবং শ্রম বিভাগীয় প্রধান মীর্জা কাইয়ুম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান জিয়া ,ফখরুল ইসলাম শাহীন, আকবর হোসেন মানিক, মো. আবদুল আউয়াল প্রমুখ।

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ পর্দা নামছে আগামীকাল রবিবার

পর্দা নামছে ৪ দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ এর । গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ শুরু হয় রিহ্যাব চট্টগ্রামে ফেয়ার ২০২৫। আগামীকাল রবিবার রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫- এর পর্দা নামবে রাত ৯ টায়। মেলার মাধ্যমে আবাসন খাতের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ অনুষ্ঠিত মেলায় প্রথম বারের মত আগত ক্রেতাদের শিশুদের জন্য মনোরোম কিডস জোন এর ব্যবস্তা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৪ বার প্রবেশ করতে পারবেন। টিকিটের রাফেল ড্রতে প্রতিদিন থাকছে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলার শেষ দিন অনেক ক্রেতা দর্শনার্থীর জনসমাগম হবে এমন প্রত্যাশা করছেন মেলায় অংশ কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় এক সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়াতে ক্রেতারা সহজে যাচাই বাছাই করে কাংখিত ফ্ল্যাট-প্লট খুঁজে নিতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে অংধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও প্লটে বিশাল ডিস্কাউন্ট দিচ্ছেন। মাধ্যমে তিনি চেষ্টা করছেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পুরণ করতে।

এবারের ফেয়ারে ৬৩টি স্টল রয়েছে। রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৫টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ৫টি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। অর্থলগ্নীকারী ব্যাংকগুলো মেলা উপলক্ষে সহজে ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সব মিলে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পণ্য এবং সেবা তুলে ধরছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ