
কক্সবাজারে এবার ৩১৯টি পূজা মণ্ডপে ও মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। যা গত বছরের তুলনায় পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ৪টি।
এরইমধ্যে মণ্ডপে মন্দিরগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ প্রায় হয়েছে। বাকি রয়েছে শুধুমাত্র রং তুলির কাজ।
কক্সবাজার শহরের সরস্বতী বাড়ি মন্দির, গোলদীঘির পাড় ইন্দ্র সেন দুর্গাবাড়ী, কৃষ্ণানন্দ ধাম মন্দির, বঙ্গপাহাড় দুর্গা মন্দির, হরিজন পাড়া হরি মন্দিরসহ শহর ও সদরের বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছরের ন্যায় এই বারও শারদীয় উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
মণ্ডপে পুজার্থীদের ভিড় ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরার স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপের মধ্যেই ১৫০টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৯টি ঘট পুজা।
যার মধ্যেই কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩১টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ২৫টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ২৮টি, রামু উপজেলায় ৩৬টি, চকরিয়া উপজেলায় ও পৌর এলাকাসহ ৮৯টি, পেকুয়া উপজেলায় ৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, মহেশখালী উপজেলা ও পৌর এলাকাসহ ৩৪টি, উখিয়া উপজেলায় ১৫টি, উখিয়া কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টি ও টেকনাফ উপজেলা (পৌর এলাকাসহ) ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ৮ অক্টোবর বোধন পুজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে।’
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, ‘এবার জেলায় ৩১৯টি পুজা মণ্ডপে সরকারের সকল নির্দেশনা মোতাবেক পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বারের তুলনায় এইবার আমাদের পুজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে সহযোগিতায় সুন্দর পরিবেশে পুজা উদযাপন করতে পারব। আমাদের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মু. রহমত উল্লাহ বলেন, আগের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
‘প্রতিটি মন্দিরে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। পূজা মণ্ডপে র্যাব ও পুলিশ ছাড়াও আনসার মোতায়েন করা হবে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন আহমদ জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রেখে সরকারি সব নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি পুজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও গার্ড নিয়োগ এবং পুজা মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।