আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন মুরগী-ডিমের দামও বেশী

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরের প্রতিটি বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। পেঁপে-মিষ্টি কুমড়া ছাড়া ৫০ টাকার কম দামে মিলছে না কোন সবজি। নগরীর বাজারগুলোতে পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, লাউ ৫০-৬০, আলু ৫৫, পটল, কচু ও শসা ৬০, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও বাঁধাকপি ৭০, বরবটি ও কাঁকরোল ৮০, ঝিঙে ও বেগুন ৯০, করলা ১০০, টমেটো ১৬০ এবং কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এর বাইরে পেঁয়াজ ১১০ ও রসুন ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দাম মাছেরও। নগরে পোয়া ৩০০, নারকেলি ২৪০, লইট্টা ২০০, রুই ৩৮০, কাতল ৩২০, পাঙাশ ১৭০-২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০ এবং পাবদা ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। বন্দরনগরে গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি এবং দেশি মুরগি ৫৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া নগরীর অক্সিজেন, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার, আগ্রাবাদ চৌমুহনীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি পিস ডিম ১৩ থেকে ১৫ টাকা, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯৫ টাকা এবং প্রতিকেজি সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোদ সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দৈনিক বিভাগীয় বাজারদর অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরে প্রতি পিস ডিম সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক দামের চেয়ে সাড়ে সাত টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ ও সোনালী মুরগির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা।
মুরগি ও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা এবং সোনালী মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা কেজিপ্রতি দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তবে দাম নির্ধারণ করা হলেও বন্দরনগরে বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগি। বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে প্রতি পিস ডিম দেড় থেকে দুই টাকা ও প্রতিকেজি মুরগি ১৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুধু মুরগি-ডিম নয়, নগরে বাড়তি দাম সবজিরও।
ভোক্তারা বলছেন, আগের মতো দাম বেঁধে দিয়েই দায় সেরেছে সরকার। যথাযথ তদারকির অভাবে বেঁধে দেওয়া দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা। কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করেই চুপ হয়ে গেছে। দাম নির্ধারণের পর সেটা বাস্তবায়নেও তড়িৎ পদক্ষেপ জরুরি। এটা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
তবে এই বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমরা কাজ করছি, বাজার তদারকি অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু আমাদের লোকবল কম, আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদক পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও পরিবেশকসহ সবধরনের ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ নিশ্চিত করতে। এটা হলে বাড়তি দামে বিক্রি বন্ধ হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে সংরক্ষণ ৭ লাখ ৭৪ হাজার চামড়া।

চট্টগ্রামে কোরবানীর প্রায় ৭ লাখ ৭৪ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিভাগের ১১ জেলার মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এ কোরবানির সাত লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়ার সংখ্যা সাত লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি। এছাড়া ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩০২টি।

জানা গেছে, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা,মসজিদ ও মাদরাসাসমূহে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিকটন লবন সরবরাহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

সূত্র জানায়, জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের সংগৃহীত চামড়া দুই লাখ ৭২ হাজার ১০০টি, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার আটশ ৮৯টি, নোয়াখালীতে এক লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি, চাঁদপুরে ২৩ হাজার ৬৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ হাজার ৭৮১টি, খাগড়াছড়িতে পাঁচ হাজার ৮৪৯টি,লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, রাঙ্গামাটিতে দুই হাজার ৮৪৮টি, বান্দরবানে দুই হাজার ২৯২টি ,কুমিল্লায় এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮৫টি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এসকল চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহকৃত বিনামূল্যের লবন দিয়ে।

চামড়ার দরপতনে ম্লান ঈদের বাজার, হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের মডেল স্কুলসংলগ্ন পাকা সড়কে ঈদুল আজহার শুভসংকেত হিসেবে গড়ে ওঠা অস্থায়ী চামড়ার বাজারে পরিণত হয়েছে হতাশা ও হামালের আবাসে। খাসির চামড়া চাইতে না পেয়ে অনেক ব্যবসায়ী তা বিক্রি না করে আবার বাসায় নিয়ে ফিরছেন, কেউ কেউ কথা দিচ্ছেন—“ফেলে দেব গর্ত করে।”

স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের বরাতে জানা গেছে, খাসির চামড়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ টাকা। গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০–৬০০ টাকা দরে; আবার ছোট গরু চামড়া ১০০ টাকায়, ছাগলের চামড়া ৩০ টাকায়ও বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ সরকারের নির্ধারিত খাসির চামড়ার মোলামোটা গত কয়েক বছর ধরে প্রতি বর্গফুট ২২–২৭ টাকা, গরু চামড়া ১১৫০ টাকা, বকরির চামড়া ২০–২২ টাকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজারের সঙ্গে মিল পায়নি রাণীশংকৈলের মূল্যমান।

বাজারে ক্রেতার অভাব বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রবীণ রফিকুল ইসলাম:
“আগে কোরবানির পর এই চামড়া দিয়েই দুই-তিন দিনের খরচ উঠতো, এখন কেউ নিতে চায় না।”

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট; স্থানীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই; কেন্দ্রীয় বাজারে চাহিদার অভাবেরও প্রভাব পড়েছে। এই নিম্নমূল্যে চামড়া বিক্রি করে বিনিময়ে যেটুকু সাধারণ মানুষ পেয়েছেন, তাও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে—সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন দরিদ্র ও অসচ্ছল পরিবারগুলো।

চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতন ঈদের আনন্দকেই ভাসিয়ে দিয়েছে হতাশার স্রোতে; মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, “ঈদে হাসি আনবে বলে বসেছিলাম, এখন দেখি মুখেই হাসি নেই।” স্থানীয় প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ