আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

আরব আমিরাত চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করতে চায়

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি রোববার নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যমে আরো বৃহৎ পরিসরে নতুনভাবে কাজ করতে আগ্রহী আরব আমিরাত, যার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণই উপকৃত হবে।তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ডিপি (দুবাই পোর্ট) ওয়ার্ল্ড বর্তমানে ছয় মহাদেশজুড়ে ৬০টির বেশি সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া ১০টি দেশে তাদের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। আমাদের লন্ডন গেটওয়ে পোর্ট নির্মাণের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায়ও ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশেও বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
রাষ্ট্রদূতের এ বিনিয়োগ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বিদ্যমান। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশের জন্য যেটি মঙ্গলজনক, সে সব বিদেশি প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূরীকরণের মাধ্যমে সহজ উপায়ে ট্রানজিট ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। উপদেষ্টার প্রস্তাবকে গ্রহণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য এখন থেকে সহজ উপায়ে ট্রানজিট ভিসা প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যেকার বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণ করার মাধ্যমে বাণিজ্য ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পাটজাত পণ্য আমদানির আহ্বান জানিয়ে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, সোনালী আঁশ পাট বাঙালির ঐতিহ্য। এটি সহজে পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব। আমরা পাটের সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে ২৮২ ধরনের পাটজাত দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। যা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পরিবেশ দূষণরোধে পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেশের সুপার শপগুলোতে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুবাইয়ের সুপারশপগুলোতেও এ সকল পণ্য যা পরিবেশের ক্ষতিকর সেগুলি ব্যবহারে বিধি নিষেধ রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ইউএই সরকার বাংলাদেশ থেকে অত্যন্ত মানসম্মত ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতে পারে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সারাবিশ্বেই পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্র কলগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আশা করব সংযুক্ত আরব আমিরাতও বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগ করবে।
উপদেষ্টার এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবনা প্রদান করতে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি’র নেতৃত্বে বৈঠকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। এ সময়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) সঞ্জয় কুমার বণিক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরে মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ২০ জনকে গ্রেফতার করা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম ওরফে আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন

লিটন (৩৮), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ(৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও কর্ণফুলী থানার জুলধা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)।

দাবি না মেনে কারখানা বন্ধ, সিইপিজেডে শ্রমিকদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়া

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) পোশাক কারখানা বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোমবার সকালে সিইপিজেডের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড ও এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের মধ্যে এ ধাওয়া -পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই কারখানায় প্যাসিফিক গ্রুপের আওতাধীন। এর মধ্যে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেড প্যাসিফিক নিট ডিভিশনের আওতাধীন। অন্যদিকে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আওতাধীন। খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবিতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মালিকপক্ষ তাদের দাবি না মেনে ওই কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা দেন।

সোমবার সকালে শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা প্যাসিফিক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাদের ডাকে অন্য কারখানার শ্রমিকরা সাড়া না দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। তারা ওই কারখানার শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়েন। এতে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, প্যাসিফিক গ্রুপের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সমস্যা হয়েছে একটিতে। তারা অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে তাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে বলেছিল। কিন্তু অন্য কারখানার শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ না দেওয়ার জেরে এ ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম রয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

এ বিষয়ে জানতে প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহমীরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

এর আগে রোববার খাদ্য ও চিকিৎসা ভাতাসহ বিভিন্ন বাড়তি সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু প্যাসিফিক ক্যাজুয়েলসের শ্রমিকেরা। এরপর রাতে কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রমিকদের কারখানায় অবৈধভাবে কাজ বন্ধ রাখা এবং অন্যায় দাবি-দাওয়া উত্থাপন করার কারণে ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ ধারা ১২(১) অনুযায়ী সোমবার থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ