আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমলা নির্ভর খন্ডকালীন প্রশাসক দিয়ে জনদুর্ভোগ সমাধান সম্ভব নয়-ক্যাব চট্টগ্রাম

প্রেস রিলিজ

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং স্থানীয় জনদুর্ভোগ ও সমস্যা সমাধানে মূখ্য ভুমিকা পালন করবে এ বিধিবিধান সংবিধানেই লেখা থাকলেও যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে। বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর নোবেল বিজীয় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হলে তাঁরাও সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে তাদের স্থানে সরকারি কর্মকর্তাদের খন্ডকালীন নিয়োগ প্রদান করেছেন। ফলে বিগত সরকারগুলোর মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিয়ে তাদের ক্ষমতাকে আরও জোরদার করার মাধ্যমে স্থানীয় জনগনের স্বশাসিত উদ্যোগকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে বলে মনে করছেন দেশের ক্রেতা ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিনাভোটে এবং অনেক স্থানে লোক দেখানো প্রহসনমুলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানাগুলো গঠিত হলেও ঢালাওভাবে সরকারি কর্মকর্তাদেরকে খন্ডকালীন ও প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এর প্রতিকার সম্ভব নয়। প্রশাসক নিয়োগ স্বল্পকালীন হলেও সরকারি কর্মকর্তাগন এমনিতেই তাদের দায়িত্বভাবে জর্জরিত সেখানে স্থানীয় জনগনের দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে ঐ এলাকার স্থানীয় দলনিরপেক্ষ সমাজকর্মী, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশাজীবিদের পক্ষ থেকে পূর্ণকালীন প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের বিকল্প নেই।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঢালাওভাবে জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ না করে যেসব জনপ্রতিনিধি কার্যক্রম পরিচালায় সক্ষম তাদেরকে দিয়ে পরিচালনা করা এবং যারা পলাতক, তাঁদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে প্রয়োজনীয় স্থানে কো-অপ্ট করার বিধান প্রবর্তন করে কার্যক্রম পরিচালনা করলে স্থানীয় সরকারের চরিত্র ও অবয়ব ঠিক থাকতো। এছাড়াও স্থানীয় জনগন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতো না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন হবার কারনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতেন। আবার ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আইন সংশোধন করে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার কারণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোর বহুদলীয় চরিত্র বিলুপ্ত হয়। আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন, সেকারনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয় সংস্থায় পরিনত হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনসমুহে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরের সিটি করপোরেশনের জনসংখ্যা অনেকে বেশি, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খন্ডকালীন প্রশাসকের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে যেভাবে আমলানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে, তাতে এগুলো আর জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের চরিত্রে থাকছে না। তাই স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টানগুলোকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সংস্কার করে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও নির্দলীয় চরিত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

০২ অক্টোবর ২০২৪ইং গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ