আজঃ বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫

আল্লাহু আল্লাহু যিকিরের ধ্বনিতে মুখরিত মাইজভাণ্ডার শরিফ এলাকা সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র ৩৬তম উরস্ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

স ম জিয়াউর রহমান

বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা, বিশ্বসমাদৃত ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক)-এর ৩৬তম উরস্ শরিফের আনুষ্ঠানিকতা আজ ১১ অক্টোবর শুক্রবার মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘দরবার-ই গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র গাউসিয়া হক মন্জিলে বাদ ফজর রওজা শরিফ গোসল ও গিলাফ চড়ানোর পর মিলাদ-মুনাজাতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। রাত ১০টায় কেন্দ্রিয় আলোচনা ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।

মাহফিলে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী’র প্র-প্রপৌত্র, গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন, আওলাদে রাসূল হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.)। উরস্ শরিফ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উরস এন্তেজামিয়া কমিটি সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

উরস্ শরিফে উত্তর বঙ্গ, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং ভারত, মিয়ানমার, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার আশেক-ভক্ত অনুরক্তের আগমনে গাউসিয়া হক মনজিলসহ পুরো মাইজভাণ্ডার শরিফ এলাকা আল্লাহু আল্লাহু যিকিরের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে।
উরসের আগের রাতে সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর রওজার সম্মুখে ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন সাংস্কৃতিক সংগঠন মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর শিল্পীদের পরিবেশনায় সামা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উরস শরিফ উপলক্ষে ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট’এর গৃহীত ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন উপদেশমূলক দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, নগরের মুরাদপুর হতে দরবার শরিফ গেইট পর্যন্ত বিটিআরটিসি’র দিনব্যাপী বাস সার্ভিস, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। আশেক-ভক্ত-জায়েরীনের সরব উপস্থিতি শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্যে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের দল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের চিকিৎসাসেবা দল দায়িত্ব পালন করছে। আগামীকাল ১২ অক্টোবর শনিবার ভোর ৬টায় হযরত কেবলার রওজা শরিফ মাঠ হতে শান-ই আহমদিয়া গেইট পর্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ট্রাস্টের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদাবাজি, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা । দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ডাকে এ অবরোধ পালন করে তারা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সভাপতি রেজাউল করিম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিপুরে চৌকি বসিয়ে সব রুটের দূরপাল্লার বাস থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে একতা পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. রাজিব ইসলামকে মারধর করে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় থানায় ৮ জনের নামে অভিযোগ হয়। এরই জের ধরে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন বন্ধ রাখা হয়।

দূরপাল্লার বাসের কর্মচারীদের সংগঠন ঢাকা কোচ মাস্টার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, একটি সংগঠন সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা তুলছে। এরই প্রতিবাদে আমরা ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিলাম। স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে আবারও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জোর করে চাঁদাদাবি করছি না। আমরা ৩০ টাকা করে সার্ভিস চার্জ তুলে আসছি। এই টাকা দিয়ে সংগঠনটির শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিউর রহমান জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পক্ষের মধ্যে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব হওয়ায় একটি পক্ষ সড়ক অবরোধ করে। পরে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবী যাত্রী কল্যাণ সমিতির।

দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কড়-ঝক্কড় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবী জানান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারনে প্রায়শ দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রানহানী ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। বিগত ঈদুল ফিতরে ৩৯৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১৩৯৮ জন আহত হয়েছিল। ১৮ টি রেল দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ২১ জন আহত হয়েছিল। ২টি নৌপথ দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ৫ জন আহত হয়েছিল। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এইসব যানবাহন দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরীভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি। ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সকলপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরী। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যেকোন দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ