আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বাজারে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। কেজি প্রতি ১০০ টাকার নিচে তেমন কোন সবজি মিলছে না বললেই চলে। তবে বিপুল পরিমাণ আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি ডিম এখন ১৭৫/১৮০ টাকা থেকে কমে ১৬৫/১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
আজ শুক্রবার ( ১১ অক্টোবর) নগরীর অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বিবিরহাট, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, কাজীর দেউড়ি, চকবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরবটি ১১০ থেকে ১২০, বেগুন ৯০-১০০, পেঁপে ৪০-৫০, কাঁকরোল ১০০-১২০, মিষ্টি কুমড়া ৫৫-৬০, টমেটো ২২০-২৪০, পটল ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে শসা ৭৫-৮০, শিম ১৮০-২০০, বাঁধাকপি ৬৫-৭০, আলু ৫৫-৬০, ঢেঁড়স ৭০, গাজর ১৬০, কাঁচা মরিচ ৩৮০-৪০০, চিচিঙ্গা ৭০, বিলেতি ধনিয়া পাতা ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, পাইকারিতে দাম কমায় খুচরায় ও কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে পাইকারিতে আদা-রসুনের দাম কমলে ও খুচরায় বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এই দুই পণ্য। এর মধ্যে পেঁয়াজ ১০০, রসুন ২৪০ এবং আদা ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। লইট্টা, তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। নগরীতে লইট্টা ১৮০-২০০, পাঙাস ও তেলাপিয়া ১৮০-২৪০, নারকেলি ২০০, কাতল ৩২০-৩৫০, রুই ৩৫০-৩৮০, পোয়া ৩০০ এবং পাবদা ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বাজারে এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবধরনের মুরগি। দেশি ৫২০, সোনালি ৩৪০ এবং ব্রয়লার মুরগি ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। এর বাইরে ৭৮০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে অস্থির চালের বাজার বস্তাপ্রতি বেড়েছে ২-৩শ’ টাকা।

চট্টগ্রামে সরকারি গুদামে চালের মজুত দ্বিগুণ বেড়েছে।মজুদ থাকা সত্বেও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বর্তমানে চালের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ২-৩শ’ টাকা।অথচ চাল আমদানি করে মজুত বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তা ও চাল ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কর্পোরেট গ্রুপগুলো কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সপ্তাহের ব্যবধানে জিরাশাইল, নাজিরশাইল, কাটারি আতপসহ চিকন চালের দাম বস্তাপ্রতি ২-৩শ টাকা বেড়েছে। এতে ফের বিপত্তিতে পড়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বর্তমানে জিরাশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ৪১০০-৪১৫০ টাকা। এর আগে ৩৯০০-৪০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

নাজিরশাইল ৪২০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাটারি আতপ ৪০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যন্য চালের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে।চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূষী চাকমা বলেন, সরকার ৯-১০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক টন খাদ্যশস্য দেশে পৌঁছেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি জাহাজ থেকে আমদানি করা চাল খালাস করা হচ্ছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম উদ্দিন বলেন, চাল আমদানির কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে চার ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি ২-৩শ’ টাকা বেড়েছে। তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর চাল রয়েছে। কয়েকটি কোম্পানি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। চালের ওপর সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় বাজার বার বার অস্থির হয়ে উঠছে।

কর্পোরেট কোম্পানি ও উত্তর বঙ্গের বড় চাতাল এবং মোকাম সিন্ডিকেটের কাছে চালের বাজার জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন প্রবীণ চাল ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে প্রচুর পরিমাণ চাল মজুত রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজার ও বড় ব্যবসায়ীদের গুদামে মনিটরিং করা হলেই বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্য গুদামে খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৭ মেট্রিক টন। এরমধ্যে চালের মজুত আছে এক লাখ ২৮ হাজার ৫৮৫ মে. টন। গম মজুত রয়েছে ৩৬ হাজার ৫৭৫ টন। গত বছর (২০২৪ সাল) একই সময়ে খাদ্য মজুত ছিল ৮১ হাজার ৩২২ টন। চাল ছিল ৭০ হাজার ৯৮১ টন। গম ছিল ১০ হাজার ২৯৯ টন। এক বছরে চালের মজুত বেড়েছে এক দশমিক ৫৮ গুণ।
চালের দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক (কারিগরি) ফখরুল আলম। তিনি বলেন, সরকার চাল আমদানির পর বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু কিছু কোম্পানি বস্তা পাল্টিয়ে ব্র্যান্ডের নামে চালের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছেন।

ফুডগ্রেন লাইসেন্সের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা ফখরুল আলম। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম খাদ্য সংকট এলাকা। এখানে ধানি জমি কমে যাচ্ছে। শিল্প-কারখানা বাড়ছে। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে ৬০-৭০ ট্রাক চাল চট্টগ্রামে আসে।

পাইকারি মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অজুহাতে বেড়েছিল চালের দাম। আগস্ট মাসে সরকার পতনের পর আরেক দফা বেড়েছিল। পরিবহন সংকট ও গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির অজুহাতে দুই দফায় বাড়ানো হয়েছিল। জুলাই মাস থেকে ক্ষণে ক্ষণে বেড়েছিল চালের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির পরও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ পর্দা নামছে আগামীকাল রবিবার

পর্দা নামছে ৪ দিনব্যাপী রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫ এর । গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ শুরু হয় রিহ্যাব চট্টগ্রামে ফেয়ার ২০২৫। আগামীকাল রবিবার রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার-২০২৫- এর পর্দা নামবে রাত ৯ টায়। মেলার মাধ্যমে আবাসন খাতের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বন্দরনগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এ অনুষ্ঠিত মেলায় প্রথম বারের মত আগত ক্রেতাদের শিশুদের জন্য মনোরোম কিডস জোন এর ব্যবস্তা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় ৪ বার প্রবেশ করতে পারবেন। টিকিটের রাফেল ড্রতে প্রতিদিন থাকছে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলার শেষ দিন অনেক ক্রেতা দর্শনার্থীর জনসমাগম হবে এমন প্রত্যাশা করছেন মেলায় অংশ কারী প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলায় এক সাথে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়াতে ক্রেতারা সহজে যাচাই বাছাই করে কাংখিত ফ্ল্যাট-প্লট খুঁজে নিতে পারবেন। মেলা উপলক্ষে অংধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও প্লটে বিশাল ডিস্কাউন্ট দিচ্ছেন। মাধ্যমে তিনি চেষ্টা করছেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পুরণ করতে।

এবারের ফেয়ারে ৬৩টি স্টল রয়েছে। রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৫টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও ৫টি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। অর্থলগ্নীকারী ব্যাংকগুলো মেলা উপলক্ষে সহজে ঋণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সব মিলে ৪৩টি প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পণ্য এবং সেবা তুলে ধরছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ