আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ যদি ফ্যাসিবাদের দোষর সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবার মাঠে নামবো

প্রেস রিলিজ

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ আমলে গড়ে ওঠা লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি গণ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিক ও আন্দোলনে গুলি করে ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিও করেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা এসব দাবি করেন। আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামার হুশিয়ারিও জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোষর লুটেরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারাই এখন অন্তর্বর্তিকালীন সরকারকে বিপদে ফেলতে কোন কারণ ছাড়াই নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব বন্ধ করার দাবি জানান তারা।

সমন্বয়করা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ছাত্রজনতার আন্দোলন নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছিলো চট্টগ্রামের কতিপয় সাংবাদিক। তারা বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি পুলিশের সোর্স হিসেবে সরাসরি কাজ করেছে। তাদের কারণেই অসংখ্য আন্দোলনরত ছাত্রজনতা হতাহত হয়েছে।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কেউ কেউ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে এমন মিথ্যাচারও করেছে। এই ধরনের চিহ্নিত সাংবাদিক নামধারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী বলেন, যে সব অতিউৎসাহী পুলিশ সদস্যরা বিনা উস্কানীতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউর রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে পতিত স্বৈরাচারের দোসরা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তি সরকারকে শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে দোষীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। ‘

সমন্বয়ক নীলা আফরোজ বলেন, দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিচারের দাবি আদায় না হলে জুলাই বিপ্লবের মতো ফের আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদের সভাপতিত্ব অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
ইয়াসির আরেফিন চৌধুরী, ওমর ফারুক সাগর,
জুবায়ের আলম, রেজাউর রহমান, নীলা আফরোজ, সাফায়েত হোসেন, একেএম ইসতিয়াক সম্রাট।

সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে থাকার কারণে চট্টগ্রামের আন্দোলনে হতাহতদের সঠিক তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়নি। চট্টগ্রামের আন্দোলন সংগ্রামের সঠিক তথ্য প্রচার না হওয়ার দায় ঐ সকল ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের। গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ যদি ফ্যাসিবাদের দোষর সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবার মাঠে নামবো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ