আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আবুল কাশেমমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর এলাকায় এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে এক লাখ অর্থদণ্ডও করা হয়েছে তাকে। এছাড়া নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।দণ্ডিত আবুল কাশেম বাগানবাজার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, নিজ স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে আসামি ইমাম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে এক লক্ষ অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক। মোট ১২ জন সাক্ষী ও একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি ইমাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অপর আসামি আবুল কাশেমকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় ইমাম-ফাতেমা দম্পতি। বিয়ের পর স্বামী এবং শ্বশুড় কারণে-অকারণে ফাতেমাকে মানসিক নির্যাতন করতো। এছাড়াও তার কন্যা সন্তান হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন কটূক্তিও করতো। ২০২১ সালের ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় ফাতেমার বাবাকে ফোন করে তার স্বামী জানায় জানায়, ফাতেমার গায়ে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে তার বাবা বাড়ির উঠোনে গিয়ে দেখেন তার মেয়ের মাথা-মুখমণ্ডলসহ অধিকাংশই আগুনে পুড়ে গেছে। ফাতেমাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে।
হাসপাতালে নেওয়ার সময় ফাতেমা জানান, ঘটনার দিন তার স্বামীর বাড়িতে ফেরা নিয়ে তর্কাতর্কি হলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দসহ মারধর করে। একপর্যায়ে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৫ মার্চ গৃহবধূর স্বামী এবং শ্বশুড়কে আসামি করে ভূজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাদী। একইবছরের ১৬ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত শেষে দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভুজপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মো. জাকির হোসেন ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার – ১

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানা এলাকায় আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তুষার (১৮) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন গোপালপুর খাইরুলের হোটিলের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তুষার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানাধীন রামনগর এলাকার মৃত একরামুল হোসেনের ছেলে।
র‌্যাব-৫ জানায়, ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বাদী ইসমাইল হোসেন (৩৮) এর মেয়ে ভিকটিম নাইমা খাতুন (০৮) রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয এর দ্বিতীয শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি তুষার একজন ভ্যানচালক ও ভিকটিমের পাড়া প্রতিবেশী চাচা। গত ১৮/১২/২০২৪ তারিখে সকাল ১১:৪৫ ঘটিকার সময় ভিকটিম হেলিপ্যাডের মাঠে

খেলাধুলা করছিল। সেই সময় আসামি ভিকটিমকে জলপাই খাওয়ানোর কথা বলে তার ভ্যান গাড়িতে করে গোদাগাড়ী থানাধীন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের হেলিপ্যাড সংলগ্ন সরমোংলা জঙ্গলের পূর্বকোণে নিয়ে যায়।

একই তারিখ ১২:০৫ ঘটিকার সময় আসামি ভিকটিমের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় এবং পড়নের জামা ও পায়জামা খুলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম ভয়ে ও ব্যথায় চিৎকার করিলে আসামি ভিকটিমের মুখে গামছা চেপে ধরে এবং হুমকি দেয় এই ঘটনার কথা যদি সে কাউকে বলে তাহলে তাকে মেরে ফেলবে এই কথা বলে আসামি ভিকটিমকে ললিপপ

খাওয়ার জন্য ১০ টাকা দেয় এবং তাহার ভ্যান গাড়িতে করে ভিকটিমকে জনৈক রাজুর বাড়ির পাশে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। সেই সময় ভিকটিম রাস্তায় বাবাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে চলে যায় এবং ঘটনার কথা খুলে বলে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।র‌্যাব-৫ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার ধর্ষণ মামলা মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহীতে ডাকাতির সময় আটক- ২

রাজশাহী নগরীর তালাইমারী কাঁচা বাজার সংলগ্ন এনামুল হকের বাড়িতে ডাকাতির সময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে দুইজন ডাকাত আটক হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত বাড়িটিতে হানা দেয় এবং লুটপাটের চেষ্টা চালায়।

স্থানীয়দের টের পেয়ে চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে আসে। পরে গণধোলাই দিয়ে মো. তাহামিদ ইসলাম (২৬) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তিনি নগরীর সাগর পাড়ার মো. তৌফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ ঘটনায় আরও দুইজনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। তারা হলেন উম্মে হানী শিলা,যিনি বিনোদপুরের আবু সাহাদাৎ সায়েমের স্ত্রী।এলাকাবাসীর সাহসিকতায় অপরাধীরা ধরা পড়ায় তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আব্দুল মালেক বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।দুইজনকে জনগণ গণধোলাই দিয়েছে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রেখে রাজশহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ