আজঃ শনিবার ২২ মার্চ, ২০২৫

চেম্বারের মতবিনিময় ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ১১০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ফিলিপাইন দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী এবং ভাইস কনসাল মিজ লিন আর. গুতেরেজ বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল এম. এ. আউয়াল, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্যাহ, সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মাহফুজুল হক শাহ, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পার্ক শিপিং লাইন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিজনেস ফোরামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী কামরুল হুদা, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদা আউয়াল, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর পরিচালক লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বিএসআরএম গ্রুপের সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও চিটাগাং চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বঞ্চিত ব্যবসায়ী সমাজের সমন্বয়ক এস. এম. সাইফুল আলমসহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন-স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের তৈরিপোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিপবিল্ডিং, শিপব্রেকিং এবং আইটি সেক্টর এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ফিলিপাইনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কে বলেন-২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ১১০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়। ফিলিপাইন থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করা হয়। এতে বুঝা যায় উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেইভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই এই বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভিসার জটিলতা। তাই বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্ক বাড়াতে এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের উপর জোর দেন চেম্বার প্রশাসক।
ফিলিপাইন দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারী এবং ভাইস কনসাল লিন আর. গুতেরেজ বলেন-ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এখানে রয়েছে বিনিয়োগের যথেষ্ট সম্ভাবনা। তাই দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কোন্নয়নে আন্তরিক ফিলিপাইন সরকার। এ লক্ষ্যে ভিসা জটিলতা নিরসনসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়াতে তিনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ডেলিগেটদের ফিলিপাইনে আমন্ত্রণ জানান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন-চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৪/৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। অঞ্চলগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ফিলিপাইনের মত কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পর্যটন সেক্টরে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে একক ও যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বৃদ্ধার মৃত্যুতে ঘর ভাগের দাবিতে দাফনে বাধা!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আমুচিয়াতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টায়। মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু বরণ করেন সালমা খাতুন(৭৬) নামের বৃদ্ধা। বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো বাবার বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁর ঘর ভাগের দাবি। শেষতক স্থানীয় এক যুবদল নেতা রোকন উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পূরণ করা হয় বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছে।
সালমা খাতুন বোয়ালখালী উপজেলার ৯নং আমুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের খান বাহাদুরপাড়ার মরহুম চুন্নু মিয়া টেন্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয়েছিলো কধুরখীলে। তবে বেশিদিন ঠাঁই হয়নি স্বামীর সংসারে। একমাত্র কন্যা জাহানারা বেগমকে নিয়ে ৫০ বছর আগে বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন। অদৃষ্টের নিয়তিকে মেনে নিয়ে বাবার করে দেওয়া ঘরে মেয়েকে জীবন যাপন করেন। মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। সালমা খাতুনের দুই ভাই। বড় ভাই মারা গেছেন। ছোট ভাই ও দুই ভাইয়ের ছেলেদের সংসারেরও ঠাঁই হলো না তার।সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেয়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মরহুমার মেয়ে জাহানারা বলেন, ‘মায়ের শেষ ইচ্ছে ছিলো আমার নানার বাড়িতে যেন দাফন করা হয়। নয়তো আমার শশুর বাড়িতেই দাফনের ব্যবস্থা করেছিলাম। তিনি জানান, ‘ইচ্ছে অনুসারে পৈতৃক বাড়ির সামাজিক কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। যোহরের নামাজের পর জানাজার সিদ্ধান্ত নেন এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে সালমার মরদেহ বাবার বাড়ির উঠোন অবধি পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি সালমা খাতুনের সস্মৃতি বিজড়িত ঘরে। সেই ঘরটি দুইভাগে ভাগ না হলে দাফন করতে দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। ফুফু সালমা খাতুনের ঘরটি দুই ভাগের দাবি তুলে এই বাধ সাধে দুই ভাইয়ে ছেলেরা।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো.রোকন উদ্দিন বলেন, ‘সালমা খাতুন সম্পর্কে আমারও ফুফু হন। তাঁর দুই ভাইয়ের সন্তানরা ঘরটি। ভাগ না করলে দাফন করতে বাধা দিচ্ছিল। এক প্রকার মারামারি করার উপক্রম। এ ঘটনায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়েন। মো.রোকন জানান, ‘খবর পেয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি। তারা মানছিলো না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে জানালে তারা কিছুটা নিবৃত্ত হয়। এরপর নির্ধারিত সময়ে নামাজে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বোয়ালখালীতে লবন কারখানায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর লবন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপজেলার শাকপুরা ইউনিয়নের মিলিটারি পুল এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা এবং বিএসটিআই চট্টগ্রামের ফিল্ড অফিসার জেরিন তাসনিম ও পরীক্ষক প্রিময় মজুমদার জয়ের, উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নানা অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লবণ প্যাকেট করে একাধিক নামে লবণ বাজারজাত করছে কারখানাগুলো। অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই আইন এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আহমেদ সল্ট রিফাইনারি ইন্ডাস্ট্রিজের

সুপারভাইজার দীপক তালুকদারকে ১ লাখ টাকা এবং করিম সল্ট ক্রসিং এন্ড রিফাইনারির সাইগর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ ল্যাব স্থাপনসহ মান সম্পন্ন লবণ বাজারজাত করার জন্য নিদের্শ দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ