আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় সেতুর বেহাল দশা, দূর্ঘটনার আশংকা

আলমগীর হোসেন প্লাবন সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড, পঙ্খীরাজ খালের উপর নির্মিত সেতুটি বহুদিন ধরেই ধসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে যেন দেখার কেউ নেই। ব্যস্ততম এই রাস্তা দিয়ে চলছে ভারি যানবাহন। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এমনটাই শংকা করছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলায় আগত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ । এ দূরাবস্থা সত্বেও সেতুর পূর্ব পাশের অংশের মাঝের অংশে ধস পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ছোট বাহন ও কোম্পানীর ভারি লড়ি,ট্রাক ও পিকআপ চলাচল করছে। ধসে যাওয়ার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বড় দুইটি লোহার পাত ধসে পড়া স্থানে অস্থায়ীভাবে দিলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার ছিচকে চোর তিনটি পাত থেকে ২টি পাত চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়ার পর থেকে সেতুটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে বেশ কয়েকটি থানার হাজার হাজার লোকজন। সোনারগাঁ উপজেলার সন্নিকটে হওয়ার কারণে এর গুরুত্বও অনেক। এ সেতু দিয়ে সোনারগাঁ থানা, মেঘনা থানা ও আড়াই হাজার থানার লোকজন চলাচল করে। এছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরে যেতে সেতুটি ব্যবহার হয়। সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স , রেজিষ্ট্রি অফিস,সোনালী ব্যাংক , কর্মসংস্থান ব্যাংক,কৃষি ব্যাংক,মুকিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা, ভূমি অফিস,বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতরে যেতে হলে ব্যবহার করতে হবে এই সেতুটি। বিশেষ করে ঢাকাগামী জনসাধারনকেও এ পথেই যেতে হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানী থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ট্রাফিক সেতুর মাঝখানে দাড়িয়ে সর্তক করে দিচ্ছে যানবাহনকে । তার নির্দেশনার দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে অনেক যানবাহন।

উপজেলা গেট সংলগ্ন সামিয়া লাইব্ররীর স্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও অনেক দিন ধরেই এই সেতুটির বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তাই অতি দ্রুত এই সেতুটি মেরামত করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী গনমাধ্যমকে বলেন, এ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রয়েছে। এ সড়কে আমাদের দফতরের কিছু করার নেই। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহান ফোরদৌস বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ