আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

আড়াই মাস ধরে অধ্যক্ষ কলেজে অনুপস্থিত: কলেজের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থবির

বদিউজ্জামান রাজাবাবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের পাদপিঠে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক .বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের আন্দোলন এর ভয়ে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে অদ্যবধি কলেজে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি কলেজ প্রাঙ্গণে লাইভ এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এই লাইভে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক আড়াই মাসের অধিক সময় থেকে কলেজে অনুপস্থিত থাকায় অফিস-আদালতের চিঠিপত্র, ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যয়নসহ বিভিন্ন কাগজ-পত্র, শিক্ষকদের বিভিন্ন কাগজ-পত্র স্বাক্ষরকারী ব্যক্তি হওয়ায় এবং এ বিষয়ে কাউকে লিখিত দায়িত্ব না দেয়ায় কলেজের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে একটি বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কলেজের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে যোগ-সাজস করে অধ্যক্ষ আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকেই সেই একইভাবে ক্ষমতার অপব্যবহারের ধারাবাহিককতায় গোপনে কিছু কাগজ-পত্রে স্বাক্ষর করছেন, যা প্রতিষ্ঠান ও চাকরীবিধির পরিপন্থি কাজ। এতে করে নাম মাত্র কয়েকজন সুবিধাবাদী সুযোগ নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে কাগজপত্র আদান-প্রদান করে কলেজের মধ্যে বিশৃংখলার সৃষ্টি করে চলেছেন। অধ্যক্ষের এত দীর্ঘ দিনের অনুপস্থিতি বর্তমান সরকারের জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গূলী প্রদর্শনের সামিল এবং কলেজে উপস্থিত না হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে দায়িত্ব পালন প্রমাণ করে যে, তিনি বরাবরই একজন স্বৈরাচারী, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান। এ কারণে কলেজে যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা, যার দায় অধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসনকেও বহন করতে হতে পারে।
এ অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের অনুপস্থিতি এবং কলেজের সার্বিক বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। সরাসরি তাদের বিশেষ সহযোগিতা পাওয়ার আশাবাদী এই কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অপসারণের জন্য বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃংখলা সৃষ্টির প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দীন আহম্মদ দেশের সকল জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশনা জারি করাকে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এ সাথে তারা বলেছেন, আওয়ামীলীগের আমলে অবৈধভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নির্যাতিত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অত্যাচারিত হয়েছেন, যা চরম অমানবিক আর দৃশ্যমান বে-আইনী। আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারকে ব্যবহার করে কিছু চাটুকার ও দুনীতি পরায়ণ শিক্ষক রাজনীতির অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদ দখল করে সহকর্মী শিক্ষকদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালিয়েছিলেন বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। তবে তাদের বিশ্বাস এর কথা জানান যে, বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। কারণ সে সব প্রতিষ্ঠানে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, সাহসী ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান রয়েছেন। লাইভে জানা গেছে, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক বুলির অপকর্মের চিত্র শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্রকে হার মানাবে। তার অপরাধের বিষয়গুলো আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় যেমন ঃ দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক যায়যায় দিন. দৈনিক আমাদের বার্তা, দৈনিক চাঁপাই চিত্র, দৈনিক শিক্ষাডটতম, দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, দৈনিক চাঁপাই কণ্ঠ, দৈনিক প্রকাশ, দৈনিক আজকের শিরোনাম. দৈনিক বিডিসি ক্রাইম বার্তা, দৈনিক অগ্নিশিখা, দৈনিক নিরপেক্ষ, দৈনিক স্বাধীন দেশ, দি ডেইলি স্টেটসহ আরো কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
লাইভ পরিচালনাকারী প্রভাষক মোহাঃ জোনাব আলী তাদের কয়েকজন সহকর্মীর উপর অধ্যক্ষের ইভটিজিং, বেতন বন্ধ, শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষককে মারধর, মহিলা শিক্ষকদের অতিরিক্ত সময় কলেজে বসিয়ে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন এবং বিভিন্ন দপ্তরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের ফলাফল বর্ণনা করেন।
এই লাইভে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ এর আন্দোলন এবং শিক্ষকদের আবেদন এর প্রেক্ষিতে সেই সময়ের জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন গত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি ফরোয়ার্ডিং পাঠিয়েছেন অধক্ষের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। সে ফরোয়ার্ডিং বিষয়ে খুব দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তাদের বিশ্বাস।
এদিকে অধ্যক্ষ কলেজে অনুপস্থিত থাকায় কলেজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কিছু শর্তের কথা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, প্রায় আড়াই মাসের অধিক অনুপস্থিতিকাল সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে অফিসের বাইরে গোপনে করা তার সকল স্বাক্ষর বাতিল করা হোক এবং এ স্বাক্ষর প্রক্রিয়াকে অবৈধ, বে-আইনী, অপরাধমূলক, রাষ্ট্র পরিপন্থি আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এই কলেজ এখন অভিভাবকহীন হওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে একজন বিসিএস ক্যাডার অধ্যক্ষ পদায়ন করা হোক বা একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা হোক।
তার অপরাধের অনেক প্রমাণ সংরক্ষণে আছে এবং জেলা প্রশাসক, মাউশির মহাপরিচালক, তদন্ত টিম এর কাছে জমা আছে, যার আলোকে তাকে প্রয়োজনে যে কোন পন্থায় কলেজে উপস্থিত করা হোক। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার ঘরের তালা খুলে দিয়ে তাকে তার পদে অধিষ্ঠিত করা হোক আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে অপসারণ বা বরখাস্ত করা হোক।
জরুরী ভিত্তিতে কলেজে একটি অর্থনেতিক অর্ডিট করে আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বচ্ছ করা হোক।
অধ্যক্ষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে ফল পেতে প্রশাসনিক কাজের কারণে বিলম্ব সৃষ্টিতে কলেজের ক্ষতি হওয়ায়, কলেজের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়টি কলেজের অভিভাবক, শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসন এবং জনগণকে অবহিত করা প্রয়োজন ও জরুরী মনে করায় এই লাইভ কর্মসূচী করতে তারা বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ অনুষ্ঠানে প্রভাষক শাহিনা নার্গিস, মোঃ শাহজালাল উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ