আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা প্রকৃত আহত তাদরে নাম তালিকায় থাকবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম জলো প্রশাসক (ডসি)ি ও জলো ম্যাজস্ট্রিটে ফরদিা খানম বলছেনে, বষৈম্যবরিোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রকৃতভাবে যারা আহত হয়ছেে তারা যনে প্রকৃত নামরে তালকিায় র্অন্তভূক্ত হয় সে বষিয়টি নশ্চিতি করা হব।ে প্রকৃত আহত ছাড়া তালকিায় কারও নাম কোনভাবে যাতে এলোমলেোভাবে তালকিায় আসতে না পারে সে বষিয়টি নরিপক্ষেভাবে দখেতে হব।ে আন্দোলনে যারা নহিত হয়ছেনে তাদরে স্মরণ সভা করার ব্যাপারে সদ্ধিান্ত রয়ছে।ে
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম র্সাকটি হাউজরে সম্মলেন কক্ষে অনুষ্ঠতি জলো উন্নয়ন সমন্বয় কমটিরি মাসকি উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতরি বক্তব্যে তনিি এসব কথা বলনে। তনিি বলনে, চট্টগ্রামরে মত গুরুত্বর্পূণ জলোয় জন্ম-মৃত্যুর হার মাত্র ৫১-৫৩ শতাংশ। এ ব্যাপারে মন্ত্রী পরষিদ বভিাগ থকেে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়ছে।ে পারফরমন্সে খারাপ হলে র্উধ্বতন র্কমর্কতাদরে কাছে জবাবদহিি করতে হয়। সভিলি র্সাজন ও স্থানীয় সরকাররে উপ-পরচিালকরে নতেৃত্বে স্বাস্থ্য বভিাগরে র্কমর্কতা-র্কমচারীরা সংশ্লষ্টি উপজলো নর্বিাহী অফসিারগণরে সাথে সমন্বয়রে মাধ্যমে গুরুত্বরে সাথে কাজ করলে প্রকৃত জন্ম-মৃত্যুর হার নর্ধিারণ করা যাব।ে আমরা মৃত্যুহারে কছিুটা এগয়িে থাকলওে জন্মহারে পছিয়িে আছ।ি এলাকায় সন্তানরে জন্মগ্রহণ ও লোক মারা যাওয়ার সাথে সাথে তা রজেস্ট্রিশেন করে রাখলে প্রকৃত জন্ম-মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাব।ে
জলো প্রশাসক বলনে, কন্দ্রেীয় সরকাররে সরাসরি প্রতনিধিি জলো প্রশাসন। সমম্বয় সভার সদ্ধিান্তগুলো মন্ত্রী পরষিদে পাঠানোর পর সখোন থকেে সন্ধিান্তরে পর বাস্তবায়ন হয়। আমরা অনুরোধ করবো-সরকাররে সে সকল উন্নয়নমূলক র্কাযক্রমগুলো আছে সগেুলো সঠকিভাবে বাস্তবায়নে তদারকি বৃদ্ধি করতে হব।ে সকল কাজে যনে সংস্কার থাকে সটো র্অন্তর্বতীকালীন সরকাররে নর্দিশেনা। র্বতমান র্অন্তর্বতীকালীন সরকাররে নর্দিশেনা অনুযায়ী আমরা সকলে মলিে জলোর র্সাবকি উন্নয়নে সমন্বতিভাবে কাজ করবো। সরকারী প্রত্যকে দপ্তরকে সংস্কাররে আওতায় এনে মধো, দক্ষতা ও সততা দয়িে আমাদরে র্কাযক্রমগুলো সুনশ্চিতি করবো। এ জন্য আপনাদরে সকলরে সহযোগতিা চাই।
সভায় জলো সভিলি র্সাজন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলনে, র্বতমান সময়ে ডঙ্গেু পরস্থিতিি উদ্বগেজনক হারে বৃদ্ধি পয়েছে।ে গত অক্টোবর মাসে ডঙ্গেু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৩০ জন ও মৃত্যুবরণ করছেে ৯ জন এবং চলতি ১৮ নভম্বের র্পযন্ত ডঙ্গেু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭০৯ জন ও মৃত্যুবরণ করছেে ১৪ জন এবং হাসপাতালে চকিৎিসাধীন রয়ছেে ১২২ জন। ডঙ্গেু প্রতরিোধে সচতেনতায় র্সবত্র প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়ছে।ে
সভায় অতরিক্তি জলো প্রশাসক (র্সাবকি) মোঃ কামরুজ্জামান বলনে, টাস্কর্ফোস কমটিি গঠনরে পর নত্যিপণ্যরে বাজার মনটিরংি জোরদার করা হয়ছে।ে মোবাইল র্কোটরে অভযিানে অসাধু ব্যবসায়ীদরেকে রর্কেডসংখ্যক জরমিানা করা হয়ছে।ে এর পরওে সয়াবনি তলে, পয়িাঁজ ও আলুর দামে র্উধ্বগত।ি আসন্ন রমজানকে কন্দ্রে করে নত্যিপণ্য যাতে ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে বাজার মনটিরংি আরও জোরদার করতে হব।ে নকল ও ভজোল ওষুধ রোধে সমন্বতি উদ্যোগ নতিে হব।ে
চট্টগ্রাম জলো প্রশাসক ফরদিা খানমরে সভাপতত্বিে ও অতরিক্তি জলো প্রশাসক (র্সাবকি) মোঃ কামরুজ্জামানরে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠতি সভায় অন্যান্যরে মধ্যে বক্তব্য রাখনে জলো পরষিদরে নর্বিাহী র্কমর্কতা মোঃ দদিারুল আলম, জলো প্রশাসক র্কাযালয়রে উপ-পরচিালক (স্থানীয় সরকার) মোহাম্মদ নোমান হোসনে, অতরিক্তি পুলশি সুপারমোঃ রাসলে, জলো সভিলি র্সাজন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরবিার পরকিল্পনা চট্টগ্রাম জলোর উপপরচিালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা মোজাম্মলে হক চৌধুরী (ফটকিছড়)ি, মোঃ রাজীব হোসনে (চন্দনাইশ), ইনামুল হাছান (লোহাগাড়া), মাসুমা জান্নাত (র্কণফুল)ি, ইশতয়িাক ইমন (আনোয়ারা), জসেমনি আক্তার (বাঁশখালী), অংগ্যজাই মারমা (রাউজান), রগ্যিান চাকমা (সন্ধীপ), এবএিম মশউিজ্জামান (হাটহাজারী), হমিাদ্রী খীসা (বোয়ালখালী), বোয়ালখালী পৌর প্রশাসক কানজি ফাতমো, মহানগর র্কোট ইন্সপক্টের মোঃ রফকি উল্লাহ, গণর্পূত বভিাগরে নর্বিাহী প্রকৌশলী জহরি রায়হান, জলো সমাজসবো র্কাযালয়রে উপ-পরচিালক মোঃ ফরদিুল আলম, বসিকি’র ডজিএিম মোঃ নজিাম উদ্দনি, বএিডসি’ির উপ-পরচিালক (বীজ বপিনন) মোহাম্মদ নাঈমুল আরফি, বএিডসি’ির যুগ্মপরচিালক (সার) মোঃ কামরুজ্জামান সরকার, সনিয়ির কৃষি বপিনন র্কমর্কতা মোঃ শাহরয়িার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধদিপ্তররে নর্বিাহী প্রকৌশলী পলাশ চন্দ্র দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তররে প্রতনিধিি নাসরি উদ্দনি চৌধুরী, জলো র্কমসংস্থান ও জনশক্তি অফসিরে সহকারী পরচিালক মহন্দ্রে কুমার চাকমা, ওষুধ প্রশাসনরে সহকারী পরচিালকএস.এম সুলতান আরফেনি, হন্দিু র্ধমীয় কল্যাণ ট্রাস্টরে সহকারী পরচিালক রংিকু কুমার র্শমা, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধদিপ্তররে প্রতনিধিি মনি কুমার র্শমা ও ইসলামকি ফাউন্ডশেনরে সহকারী পরচিালক ইউসুফ ময়িা প্রমূখ। বভিন্নি উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা, পৌর প্রশাসক ও জলোর সরকারী বভিন্নি দপ্তররে র্কমর্কতাবৃন্দ সভায় উপস্থতি ছলিনে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ