আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

কৃষকরা উৎপাদন সংকটে

লালমনিরহাটে কৃষকরা চলমান রবি মৌসুমে  সারের সংকট

সাহিদ বাদশা বাবু , লালমনিরহাট  :

লালমনিরহাটের চলমান রবি মৌসুমের শুরুতে  বাজারে সার সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকদের মাঝে হাহাকার উঠেছে ।রবি চাষাবাদ নিয়েও দুঃচিন্তা পড়েছে কৃষকরা।জানা যায়, চলতি মাসের বরাদ্ধের সারের ২০-২৫ শতাংশ সার পৌছেনি বাফার গুদামে। এ ছাড়াও অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কোন রকম বরাদ্ধ দেয়নি বিসিআইসি। ফলে সার  সংকটে পড়েছে চাষিরা।
কৃষকরা জানান, অক্টোবর মাসের শেষ থেকে  নভেম্বর মাসে  শুরু হয় রবি মৌসুম চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আলু ভুট্টা সরিষা গমসহ নানান সবজি চাষাবাদ হয় রবি মৌসুমে। রবি মৌসুমের শুরুতে জমিতে পর্যাপ্ত সার প্রয়োগ করেন চাষিরা। ফলে রবি মৌসুমে সারের চাহিদা তুলনা মুলক ভাবে বেশি থাকে। বর্তমানে কৃষকরা রবি ফসল বুনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমের শুরুতে চাহিদা মত সার ন্যায্যমুল্যে না পেয়ে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় কোথাও কোথাও অধিক মুল্যে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান সময় জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা উপজেলায় পুরোদমে চলছে ভুট্টা বীজ বুনন কার্যক্রম। বীজ বুননের আগে জমি তৈরী করতে পর্যাপ্ত পরিমানে সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে চাষিদের। সেই মৌসুমে সার সংকট সৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন এ দুই উপজেলার ভুট্টা চাষিরা। একই সাথে চলছে আলু রোপনের মৌসুম। সব মিলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের কতিপয় অসাধু বিক্রেতা অধিক মুল্যে সার বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ কৃষকদের। যার বেশির ভাগই অনিবন্ধিত ব্যবসায়ী। এসব বিক্রেতা মৌসুম শুরুর আগে ডিলারদের কাছ থেকে ক্রয় করে গুদাম জাত করে এ কৃত্রিম সংকট তৈরী করে সুযোগ বুঝে বর্তমানে বেশি দামে বিক্রি করছে। ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে অধিক দামে সার কিনে চাষাবাদ করছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চাষিরা।
হাতীবান্ধার ভুট্টা চাষি আসাদুজ্জামান বলেন, ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হতেই বাজার থেকে সার উধাও হয়েছে। গোপনে বেশি টাকা দিলে সার মিলছে প্রান্তিক বিক্রেতাদের কাছ থেকে। ডিলাররা সরবরাহ নেই অজুহাতে সার নেই বলেও ফিরে দিচ্ছেন। চাষাবাদ করতে অধিকমুল্যে সার কিনতে হচ্ছে। বাংলা টিএসপি প্রতিবস্তা ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৫০০ টাকা এবং বাংলা ডিএপি ১০৫০ টাকার স্থলে দুই হাজার টাকা দামে কিনতে হচ্ছে অনিবন্ধিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে। শুরুতে এমন ধাক্কা খেয়ে উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ছে তেমনি চাষাবাদ নিয়েও শ্বঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত ও অসাধু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তিনি।
আদিতমারীর দেওডোবা গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, তামাক চাষ করতে প্রচুর পরিমান সার লাগে। শুরুতেই সারের সংকট দেখা দিয়েছে। অনিবন্ধিত বিক্রেতারা বাংলা টিএসপি ও ডিএপি সার বস্তা প্রতি দুইশত থেকে ৬ শত টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। নিবন্ধিত বিক্রেতাদের গুদামে কোন সার নেই। তারা দাবি করছেন বাফার গুদামে না কি সার পৌছেনি। তাই সংকট তৈরী হয়েছে। কতদিনে বাফার গুদামে সার পৌছবে? মৌসুম শেষে চাষাবাদ করলে ফলন কম হওয়ারও আশংকা রয়েছে। সার নিয়ে বড় চিন্তায় আছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ডিলার বলেন, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ৩টিতে ব্যাপক হারে তামাক চাষ হয়। বাকী পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধায় ব্যাপক ভাবে চাষ হয় ভুট্টা। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে তামাকের জন্য কোন সার বরাদ্ধ চায় না কৃষি বিভাগ। তামাক চাষেও প্রচুর পরিমান সার লাগে। যার বরাদ্ধই দেয় না কৃষি বিভাগ। ফলে তামাকের জমির বিপুল পরিমান সার সরবরাহ করতে এ রবি মৌসুমে সারের এ ঘাটতি থেকে যায়। সংকট দুর করতে হলে যেহেতু তামাক চাষ হয় এবং চাষিরা এসব সার তামাক ক্ষেতে প্রয়োগ করেন। তাই তারও চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বরাদ্ধে দেয়া উচিৎ। নচেদ সংকট থেকে যাবে।
নিবন্ধিত সার বিক্রেতারা জানান, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কোন সার বরাদ্ধ দেয়নি বিসিআইসি। এ ছাড়াও নভেম্বর মাসে বিএডিসি যে পরিমান সার কাগজ কলমে  বরাদ্ধ দিয়েছে তার ২০/২৫ শতাংশ সার এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে এসে পৌছেনি।  গুদামে সরবরাহে ঘার্টতির কারনে বাজারে কিছুটা সংকট পড়েছে। সামনের সপ্তাহে ডিসেম্বর মাসের বরাদ্ধে পৌছে গেলে এ সংকট কেটে যাবে। প্রান্তিক পর্যায়ে অনিবন্ধিত কিছু অসাধু সার বিক্রেতা আগাম সার কিনে মজুদ করে সুযোগ বুঝে এখন বেশি দামে বিক্রি করছে। অনিবন্ধিতদের মজুদদারীর কারনে এ কৃত্রিম সংকট তৈরী হতে পারে। যা মনিটরিং করে দ্রুত আইগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তবে সামনের সপ্তাহে সংকট কেটে যাবে বলেও তারা দাবি করেন।
বিএডিসি’র আদিতমারী বুড়িরবাজারের ডিলার ফরহাদ আলম সুমন বলেন, নভেম্বর মাসের বরাদ্ধ চলতি মাসের ৩ তারিখে উত্তোলন করেছি। রবি মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি শেষ হয়েছে। আগামী মাসের বরাদ্ধ তুললে তবে সার বিক্রি করতে পারব। ডিসেম্বর মাসের ২/৩ তারিখের মধ্যে ডিসেম্বর মাসের সার পৌছতে পারে। বরি মৌসুমের ব্যাপক চাহিদা আর অপর দিকে গত দুই মাস বিসিআইসি এ অঞ্চলে সার বরাদ্ধ না দেয়ায় এ সংকট তৈরী হয়েছে। তবে তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংকট হয়তো  থাকবে না। বিচলিত হয়ে অসাধু বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে সার না কিনে ৫/৭ দিন অপেক্ষা করতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমের জন্য নভেম্বর মাসে লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভায় বরাদ্ধ আসে টিএসপি এক হাজার ৯২৬ মেঃটন, ডিএপি ৩হাজার ৪১২ মেঃটন, ও এমওপি দুই হাজার ৭০ মেঃটন। যা উপজেলা ভেদে ৩০ ও ৪০ শতাংশ সার এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে পৌছেনি। পর্যাক্রমে আসছে এবং তা ডিলারদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। গত দুই মাসে বিসিআইসি কোন রকম সার বরাদ্ধ দেয়নি। তবে ডিসেম্বর মাসের জন্য বিসিআইসি ও বিএডিসি’র সার বরাদ্ধের চিঠি এসেছে। সেই চিঠি মতে ডিসেম্বর মাসে লালমনিরহাটের চাষিরা পাবেন দুই হাজার ৭৯ মেঃটন টিএসপি, ৩হাজার ৯১২ মেঃটন ডিএপি এবং দুই হাজার ৬৭০ মেঃটন এমওপি সার। ডিসেম্বর মাস পরলেই সার পর্যাপ্ত হবে জেলার বাজারে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, গত দুই মাসে বিসিআইসি’র সার আসেনি এবং নভেম্বর মাসের বরাদ্ধের কিছু অংশ এখন পর্যন্ত বাফার গুদামে পৌছেনি। যে পরিমান আসছে তা তাৎক্ষনিক ডিলারদের মাঝে বিতরন করা হচ্ছে। সারের কোন সংকট নেই। কিছু অসাধু ব্যাক্তি গুজব সৃষ্টি করে সংকট তৈরী করছে। এসব অসাধু ব্যাক্তি ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
আগামী সপ্তাহে ডিসেম্বর মাসের বরাদ্ধে এলে জেলায় সারের কোন সংকট থাকবে না। তাই গুজবে কান না দিয়ে ডিলারদের কাছে কৃষকদের নির্ধারীত মুল্যে সার কেনার আহবান জানান তিনি। তামাকের জমির জন্য সারের বরাদ্ধে নেয়া হয় বলেও দাবি তার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমরা তোমাকে ভুলবো না আছিয়া।

আমি যখন সংবাদে জানতে পারলাম, আছিয়া মারা গেছে। ঠিক তখনই দুমড়ে, মুচড়ে গেলাম আমি । একদম কাচের মতো টুকরো, টুকরো হয়ে গেলাম। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আর ঠিকে থাকা হলো না ছোট আছিয়ার। কি কারণে আমরা আজ আছিয়া কে হারালাম??? কি অন্যায়?? কি দোষ??? কি ত্রুটি ছিলো ৩য় শ্রেণীতে পড়া ছোট এই আছিয়ার??? একটাও প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পেলাম না। কেন

আমরা এই ছোট আছিয়ার নিরাপত্তা দিতে পারিনি??? হিংস্র কিছু মানুষ রুপী পশুর নির্মম নির্যাতনের শিকার হলো আমাদের ছোট আছিয়া। যে আছিয়া স্কুলে
যাওয়ার কথা, হেসে খেলে মুক্ত বাতাসে তার এলোমেলো চুল উড়ানোর কথা, সেই আছিয়ার কেন এই নিষ্ঠুর পরিনতি??

আমরা কি পারবো, দ্রুত সময়ের মধ্যে, আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে ?? ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো আমাদের আছিয়া। আমরা তোমায় ভুলবো না আছিয়া। আকাশে জ্বলজ্বল করে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আমাদের হৃদয়ে চীর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের আছিয়া।

আমরা আর কোন আছিয়াকে হারাতে দেব না। আমাদের সমাজের এই ছোট সোনামনিদের, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরকেই নিতে হবে ।

সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর চিকিৎসক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার বিষয়ে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে চসিক ।

শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
চসিক মেয়র জানান, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, ক্যাম্পেইন চলাকালে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে গর্ভবতী ও প্রসূতি মা’দের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) এবং উদ্ভিজ্জ খাবার (হলুদ ফল, রঙিন শাক-সবজি) খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হবে। জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডাঃ তপন কুমার চক্রবর্তী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন তালুকদার, ডাঃ আকিল মাহমুদ নাফে, ডাঃ আবদুল মজিদ সিকদার, ডাঃ শর্মীলা রায়, ডাঃ মামুন রশিদ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ