আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

ঢাকা,মতিঝিলে কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মচারীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মচারীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলের বিমান অফিস-সংলগ্ন এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোঃ আবদুল হালিম (৬৩)। তিনি কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং তিনি কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী,১০নং ইউনিয়নের আহল্লাা সাদার পাড়ায়। আবদুল হালিমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব কুমার সিং। এতে লেখা হয়েছে আবদুল হালিমের বাঁ চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া বাঁ চোয়ালে ফোলা ভাব পরিলক্ষিত হয়। মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গতকাল রাতে মতিঝিলে সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হালিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আাবদুল হালিমের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আবদুল হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, সিবিএ’র পদসহ নানা বিষয়ে কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত অক্টোবরে থানায় জিডি করেছিলেন তাঁর বাবা আবদুল হালিম। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসেন। একটি হোটেলে ওঠেন। পরে খবর পান, তাঁর বাবাকে তাঁরই সাবেক সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছেন। ফয়সাল বলেন, তাঁর বাবা ২০১৪ সাল থেকে সিবিএ সভাপতি ছিলেন। সম্পাদক নাসিম আহামেদ। নাসিম আহামেদ বলেন, ২০১৪ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর কয়েকজন বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটি বানান। ইউনিয়ন অফিস দখল করেন। এ নিয়ে মামলা করা হয়। এসব নিয়ে বিরোধ চলছিল বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটির লোকজনের সাথে।

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

  1. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মচারীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলের বিমান অফিস-সংলগ্ন এলাকায় এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মোঃ আবদুল হালিম (৬৩)। তিনি কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং তিনি কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী,১০নং ইউনিয়নের আহল্লাা সাদার পাড়ায়।

আবদুল হালিমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজীব কুমার সিং। এতে লেখা হয়েছে আবদুল হালিমের বাঁ চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ছাড়া বাঁ চোয়ালে ফোলা ভাব পরিলক্ষিত হয়।

মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গতকাল রাতে মতিঝিলে সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে হালিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আাবদুল হালিমের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আবদুল হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, সিবিএ’র পদসহ নানা বিষয়ে কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত অক্টোবরে থানায় জিডি করেছিলেন তাঁর বাবা আবদুল হালিম। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসেন। একটি হোটেলে ওঠেন। পরে খবর পান, তাঁর বাবাকে তাঁরই সাবেক সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছেন।ফয়সাল বলেন, তাঁর বাবা ২০১৪ সাল থেকে সিবিএ সভাপতি ছিলেন। সম্পাদক নাসিম আহামেদ।নাসিম আহামেদ বলেন, ২০১৪ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর কয়েকজন বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটি বানান। ইউনিয়ন অফিস দখল করেন। এ নিয়ে মামলা করা হয়। এসব নিয়ে বিরোধ চলছিল বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটির লোকজনের সাথে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

কুষ্টিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ফোন ছিনতাইচেষ্টার অভিযোগে আশিকুর রহমান (২১) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে থানাপাড়া পাঁচ বিল্ডিং এলাকায় এই ছিনতাইচেষ্টার ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করা হয়। আশিকুর রহমান খোকসা চরপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁকে চুরি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।সন্ধ্যায় খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, থানার পাশেই ভুক্তভোগী নারী কনস্টেবলের বাসা। ডিউটি শেষে ফেরার পথে তাঁর মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ