আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহী’র বাগমারা’র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তরুণ সেনাসদস্য সজিব হোসেনকে (১৯)। দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রংপুর সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে আসার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।

স্বজনেরা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সবিজ হোসেন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি ট্রেন থেকে শান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। রাতের বেলা শান্তাহার থেকে বাগমারায় পৌঁছানোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সজিব হোসেন এক বন্ধুকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তাঁর বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ওইদিন রাতে শান্তাহার থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন। রাত ১১টার দিকে তাঁরা আত্রাই শিমুলতলি মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আত্রাই থানার পুলিশ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী সেনানিবাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে বগুড়া সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে অবস্থা অবনতির দিকে গেলে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয় পরেরদিন। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার মর্ডান সিসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

নিহত সেনাসদস্য চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন সজিব। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বাঁচানোর। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর ভাতিজা।

তাঁর বাবা আবদুর রশিদ জানান, ছেলে বাড়িতে পৌঁছবে বলে রাতে খাবার প্রস্তুত করে জেগে ছিলেন তাঁরা। তবে রাত ১২ টার দিকে আত্রাই থানার পুলিশ ছেলের দুর্ঘটনার খবর দেয়। ছেলের শিশুকাল থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ ছিল। আল্লাহ সেই স্বপ্ন পূরণ করলেও চাকরি করতে পারলো না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্বজনেরা জানান, নিহত সেনাসদস্যের লাশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গ্রামে পৌঁছানো হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলনে আহত শ্রমিকদল নেতা আলী করিমের পাশে বিএনপি।

জুলাই মাসের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে গুরুতর আহত শ্রমিকদল নেতা আলী করিমের পাশে দাঁড়িয়েছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নেতৃবৃন্দ। ড্যাবের নেতারা তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

আলী করিম গত জুলাই আন্দোলনে ৪ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় রাজপথে আন্দোলনে থাকা অবস্থায় ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্মম আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় আসার পর বুধবার (২১ মে) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জেডআরএফ রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহম্মদ আমান উল্ল্যাহ ও সদস্য

সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের নির্দেশে আলী করিমের চিকিৎসার খোজখবর নিতে তার বাসায় যান ড্যাবের একটি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্ব দেন ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

এসময় ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আলী করিমের মতো অসংখ্য নেতাকর্মী জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকারের দমন পীড়নের শিকার হয়ে আজ আলী করিম চিকিৎসাধীন। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। বিএনপি সবসময়ই তার নেতাকর্মীদের পাশে আছে এবং থাকবে। আলী করিমের চিকিৎসার সকল দায়িত্ব জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন বহন করবে।আলী করিমের পরিবারের সদস্যরা বিএনপির এই সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, চমেক ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক ডা. সাদ্দাম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মেহেদী হাসান ইমাম, ড্যাব নেতা ডা. আরমান প্রমুখ।

রায়পুরাতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন’র স্কুল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

রিইন্টিগ্রেশন অব মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট , ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের সচেতনতা আনয়নে স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিটেন্স ব্যবস্থাপনার উপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্কুলের সাধারন শিক্ষার্থীদের নিয়ে।

আজ (১৮ মে) রবিবার সকাল ১১ টায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের শতদল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরনে অভিবাসীদের জন্য পরিচালিত প্রশিক্ষন, রেফারেলসেবা এবং সরকারি সেবাসমুহ সম্পর্কে ফিল্ড অর্গানাইজার মোছাঃ শরিফা আক্তার শিক্ষার্থীদের জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে অভিবাসীদের কল্যানে কাজ করে আসছে। মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিদেশ ফেরতদের পুনরেত্রীকরণ এবং ভুক্তভোগীকে জরুরি সাহায্য প্রদানসহ নানা ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষকা শারমিন আক্তার শিল্পী ও ব্র‍্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের ভলান্টিয়ার সোহানা আক্তার, মোস্তাকিমা আক্তার,চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের রেনু আক্তার’সহ প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ