আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য নিহত

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহী’র বাগমারা’র সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তরুণ সেনাসদস্য সজিব হোসেনকে (১৯)। দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রংপুর সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে বাড়িতে আসার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।

স্বজনেরা জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সবিজ হোসেন ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। ওই দিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিনি ট্রেন থেকে শান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনে নামেন। রাতের বেলা শান্তাহার থেকে বাগমারায় পৌঁছানোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সজিব হোসেন এক বন্ধুকে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তাঁর বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ওইদিন রাতে শান্তাহার থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন। রাত ১১টার দিকে তাঁরা আত্রাই শিমুলতলি মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আত্রাই থানার পুলিশ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী সেনানিবাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে বগুড়া সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে অবস্থা অবনতির দিকে গেলে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয় পরেরদিন। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার মর্ডান সিসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসায় থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

নিহত সেনাসদস্য চাচা শহিদুল ইসলাম বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন সজিব। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বাঁচানোর। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর ভাতিজা।

তাঁর বাবা আবদুর রশিদ জানান, ছেলে বাড়িতে পৌঁছবে বলে রাতে খাবার প্রস্তুত করে জেগে ছিলেন তাঁরা। তবে রাত ১২ টার দিকে আত্রাই থানার পুলিশ ছেলের দুর্ঘটনার খবর দেয়। ছেলের শিশুকাল থেকে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ ছিল। আল্লাহ সেই স্বপ্ন পূরণ করলেও চাকরি করতে পারলো না বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

স্বজনেরা জানান, নিহত সেনাসদস্যের লাশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গ্রামে পৌঁছানো হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ