আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সব নির্বাচনে সরকারি চাকুরেরাও প্রার্থী হতে পারার প্রস্তাব:চট্টগ্রামে সংস্কার কমিশন

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব করা হবে। নির্বাচনে যাতে সরকারি চাকুরেরাও প্রার্থী হতে পারেন সেই প্রস্তাব রাখার পাশাপাশি খরচের বহরও কমানো হবে। রোববার দুপুরে নগরের একটি হেটেলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. তোফায়েল আহমেদ এসব কথা জানান।
চাকরি করে মেয়র-কাউন্সিলর হতে বাধা নেই ইউরোপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, চাকরি করে কিংবা অন্য পেশার সাথে সংযুক্ত এমন কারো মেয়র-কাউন্সিলর হতে বাধা নেই। কিন্তু ফুলটাইম এক্সিকিউটিভ বডিতে থাকলে তিনি এককভাবে করবেন না। উনি কিন্তু কয়েকজনকে নিয়ে একটা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল করবেন। যেমন কলকাতা কিংবা লন্ডন সিটি করপোরেশনে মেয়র-কাউন্সিলর আছে। এটা এখানেও হতে পারে। চেয়ারম্যান ফুল টাইম করবেন দুই-তিনজন মেম্বারকে সাথে নিয়ে। বিকল্প প্রপোজালও আছে। এটাকে ৫ বছরের জন্য না করে দুই বছর অথবা একবছর করে রোটেটিং করা যায় কিনা। এগুলো সবগুলো বিবেচনা করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, আবদুর রহমান, ড. মাহফুজ কবীর, মাশহুদা খাতুন শেফালী, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ইলিয়া দেওয়ান, অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।
নির্বাচনের খরচ কমানোর কথা জানিয়ে সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন আমাদের দেশে খুবই ব্যয়বহুল হয়েছে। ব্যয়বহুল দুই সেন্সে। একটা প্রার্থীর জন্য আরেকটা সরকারের জন্য। আমি নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি। গত সরকারের সময়ে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন এতে খরচ হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। ১৯ লাখ লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। দিন লেগেছে ২২৫ দিন। তাহলে এই জিনিসটা অনেক ব্যয়বহুল, অনেক সময় নষ্ট করে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
খরচের বহর না কমালে নির্বাচনে ভালো মানুষ আসতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটা কমন কথা আসছে যে, ভোট কেনাবেচা হবে। ভোটের মধ্যে টাকা খরচটাও শুধু সংসদীয় পদ্ধতিতে হচ্ছে তাতো নয়। একজন মেয়র হতে হলে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে খরচ করতে হচ্ছে। এই খরচের বহরটা কিন্ত কমাতে হবে নির্বাচন থেকে। না হলে ভালো মানুষ আসতে পারবে না নির্বাচনে।
ড. তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, সেজন্য এটাকে আমরা একসাথে একইদিনে করতে পারি আইন পরিবর্তন করে তাহলে খরচ হবে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। আর মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ দিন লাগবে। একবারেই নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। একেকটা নির্বাচন একেকসময়ে হলে সরকারের সময়, বাজেট এবং পরিকল্পনার সাথে সম্পর্ক থাকছে না।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিষয়ে বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এটা কেউ চাচ্ছে না। কিন্তু দলের একেবারে প্রভাব মুক্ত হবে এটা কিন্তু হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। যারা নির্বাচন করে তারা রাজনীতি তো করেন। একদল থেকে হয়তোবা একাধিক প্রার্থী দাঁড়াবে। আর যদি আমরা এটা করতে পারি— সরকারি চাকরি বা অন্য কিছু করার পরেও কাউন্সিলর-মেম্বার হতে বাধা নেই, তাহলে কোয়ালিটি চেঞ্জ হবে বলে আমার ধারণা। ইঞ্জিনিয়ার, প্ল্যানার— এরকম অনেকে আছেন। তারা যদি দাঁড়ান, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তাহলে নির্বাচনের কোয়ালিটি ভালো হবে।
শিক্ষকতার যোগ্যতার প্রশ্নটা সব জায়গায় বলা হচ্ছে। আমরা এটা একচুয়েলি বিবেচনা করছি। কিন্তু সংবিধানের সাথে যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে এটা করা যাবে না। কারণ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন না থাকে তাহলে স্থানীয় নির্বচনের ক্ষেত্রে আনা কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করবো। সব জায়গাতেই একই রকম মতামত পাওয়া যাচ্ছে’ যোগ করেন তিনি।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি ভোটারদের নির্ধারণ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটারদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে আমার এখানে যারা দাঁড়াচ্ছেন তার মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিন্তু নেতৃত্ব বা অন্যান্য যোগ্যতায় ঘাটতি থাকলে কাকে সিলেক্ট করবো।
সংসদীয় পদ্ধতি এবং রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি নিয়ে বলেন, সংসদীয় পদ্ধতি এবং রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি, এই দোলাচলের মধ্যে আমরা অনেকরকম মতামত পাচ্ছি। বিশেষ করে যখন মেম্বার, কাউন্সিলর, সাধারণ লোক এবং একাডেমিয়ান—তারা বেশিরভাগই সংসদীয় পদ্ধতির পক্ষে। চেয়ারম্যান এবং মেয়র সাহেবরা এটার বিরোধীতা করছেন। তারা বলছেন, এটা করলে যারা এতদিন চেয়ারম্যানে ছিলেন কিংবা মেয়রে ছিলেন তারা মেম্বারে দাঁড়াবেন কিভাবে? এর মানে মেম্বারশিপটাকে নেগলেট করা হচ্ছে চারদিক থেকে। মেম্বারের যদি কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করতে হয় তাহলে মেম্বার কারা হবে তাতেও অনেকরকম পরিবর্তন করতে হবে।
‘না ভোট’ বিষয়ক প্রস্তাবনার বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘না ভোটের বিষয়টা নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। এটা আগেও বলেছি যে এটার ক্ষেত্রে অনেক মতামত আমরা পেয়েছি। অনেক মানুষ না ভোটের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। আমাদের কমিশন চিন্তা করছে, না ভোট রাখা যায়। কারণ এটা একটা চেকপয়েন্ট হবে। আমাদের দেশে ইতিহাস আছে ১৫২ থেকে ১৫৩টি সংসদ সদস্য পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছে। না ভোট হলে এই সুযোগটা চলে যাবে। অন্যদিকে, কিছু মানুষ আছে যারা পছন্দের প্রার্থী না থাকায় ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না। এ বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সক্রিয় বিবেচনায় আছে।’
সংরক্ষিত আসন নিয়ে তিনি বলেন, সংরক্ষণ ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলবে এটাও যুক্তিসঙ্গত না। সেজন্য আগামী তিনটি নির্বাচনে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসন থাকবে।
কবে নাগাদ কমিশন রিপোর্ট জমা দেবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অফিসিয়ালি আছে। আমরা চেষ্টা করবো সময়ের রিপোর্টটা দিয়ে দেওয়ার।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ