আজঃ শুক্রবার ২০ জুন, ২০২৫

নেত্রকোনায় ভুল চিকিৎসায় ৮ ছাগলের মৃত্যু

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল, নেত্রকোনাঃ

নেত্রকোনার পূর্বধলায় এক নারী খামারির ৮টি ছাগল মারা গেছে। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জনের ভুল চিকিৎসায় এসব ছাগল মারা যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে শরিফা আক্তার রিমার খামারে ছাগলগুলো মারা যায়।

রিমা জানান, ৬ বছর আগে বাড়িতে ছাগলের খামার গড়ে তোলেন। এখন খামারে ছোট-বড় ৪০টি ছাগল রয়েছে। গত রোববার তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যান। সেখানে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন সারা তাইফুন্নাহারের কাছে তার খামারের বিষয়ে পরামর্শ চান।

সোমবার বিকেলে তাইফুন্নাহার তার খামারে যান। তখন ছাগলগুলোকে ভ্যাকসিন ও কৃমিনাশক দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পরে তিনি ভ্যাকসিনের একটি প্রেসক্রিপশন লিখে দেন এবং ১২০০ টাকা ফি নেন।

রিমার বাবা মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার রাত ৮টায় স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন এনে ছাগলকে পুশ করা হয়। আধা ঘণ্টার মধ্যেই ছাগলগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে খিচুনি দিয়ে ৬টি গর্ভবতী ও দুটি বাচ্চা ছাগল মারা যায়। ভুল চিকিৎসার ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে তাইফুন্নাহারে বলেন, তার ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সঠিক নয়। তারপরও বিষয়টি দেখতে হবে কেন এমন হলো। ভ্যাকসিনের মেয়াদ ঠিক ছিল কিনা দেখতে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমএমএ আউয়াল তালুকদার বলেন, খবর পেয়েই আমি খামারে গিয়েছি। অসুস্থ হয়ে পড়া অন্য ছাগলগুলোকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। ছাগল মারা যাওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। রিমা উচ্চশিক্ষিত নারী। ভ্যাকসিন তিনি নিজেই পুশ করেছেন। আর ভ্যাকসিন সাধারণত চামড়ার নিচে দিতে হয়। ওভার ডোজ হলো কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজওয়ানা কবীর বলেন, ছাগল মারা যাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমদানি করা ফলের চাইতে দেশীয় ফলের পুষ্টি গুণ অনেক বেশি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবে একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, আমদানি করা ফলের চাইতে দেশীয় ফলের পুষ্টি গুণ অনেক বেশি। বর্তমান প্রজন্মের নাগরিক বিশেষ করে শহুরে বাসিন্দারা দেশের অনেক ফলের সাথে

অপরিচিত। নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফলের সাথে পরিচিত করা এবং খাওয়ার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে সকলকে সাধ্যমতো ফলের গাছ লাগাতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের ফলের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।

আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ওসমান গনি মনসুর।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদেরকে আবহমান বাংলার মৌসুমি ফলের পরিচয় করিয়ে দিতে ও ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ফল উৎসব আয়োজন করা হয়।

প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সিনিয়র সদস্য এন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক কালের কণ্ঠ চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় দেশের গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যেতো। কালের পরিক্রমায় বহু ফল হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের জায়গায় এখন আমদানি করা ফল বাজার দখল করে নিয়েছে। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলো কিভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে দেশের কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে করে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এসব ফলের সাথে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরিচিত হতে পারবে।

প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দেশি ফলের উৎসবে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের পরিবার সন্তান ও অভিভাবকরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ফল উৎসবে আম, কাঁঠাল, কলা, আনরারস, জাম, লিচু , লটকন, বত্তা বা ডেউয়া, পানিগোটাসহ বিভন্ন – রকমের দেশীয় ফল স্থান পায়। অনুষ্ঠানে সদস্যদের সন্তানদেরকে পরিচয় করানো হয় সবগুলো ফলের সঙ্গে। কোন ফলের কী উপকারিতা তাও তুলে ধরা হয় আলোচনায়।

চট্টগ্রামে থানায় অস্ত্র লুটে জড়িত ‘ব্লেড মাসুম’ গ্রেফতার।

চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী থানায় সংঘটিত অস্ত্র লুটের ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ সাইদুর রহমান মাসুম ওরফে ‘ব্লেড মাসুম’ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগর পুলিশ ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সিএমপি’র পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া। এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ৭ দশমিক ৬২ এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগাজিন।

‘ব্লেড মাসুম’ দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল জানিয়ে জানিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, পাহাড়তলী থানার ওসি মো. বাবুল আজাদের নেতৃত্বে এসআই জসীম উদ্দীন ও সঙ্গীয় ফোর্স বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে জেলেপাড়া রানী রাসমণিঘাট ওভারব্রিজের নিচে চেকপোস্ট পরিচালনা করে। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে মাসুম পায়ে হেঁটে সাগরিকা রোড চৌরাস্তার দিকে যাওয়ার সময় সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে থামতে বলে। এসময় সে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, তল্লাশিতে মাসুমের কোমরে বেল্টে ঝোলানো অবস্থায় একটি কালো রঙের পিস্তলের খোলস, একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল, লোড করা ম্যাগাজিনে চার রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে

জড়িত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে। এরপর তা নিজের হেফাজতে রেখে বিভিন্ন ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহার করে আসছিল। মাসুম ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পাহাড়তলী, টোল রোড, পতেঙ্গা সৈকত এবং বন্দর এলাকায় পথচারী, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িচালকদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মালামাল লুটে নিত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির একটি পুরনো মামলাও রয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ