আজঃ বুধবার ২৫ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আদায় ৩৫ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী রাষ্ট্রীয় শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫ হাজার ৯০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। তবে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ৫২৪ কোটি ৮৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫ হাজার ৬২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে।
রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর ছয় মাস) রাজস্ব আয়ে এই চিত্র ওঠে আসে।সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসেও লক্ষ্যের চেয়ে ৮৯২ কোটি ৩৯ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। তবে আশার কথা হলো গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৬ মাসে দুই হাজার ৩৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করতে পেরেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এতেই গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
কিন্তু চলতি অর্থবছরের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ কয়েকদিন পণ্য শুল্কায়ন থেকে খালাস প্রক্রিয়া পুরোদমে ব্যাহত হয়। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ে। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি। চট্টগ্রাম কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই মাসে ৫ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬ হাজার ৩১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ডলার সংকটে বিলাসী পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহী করা হলেও চলতি অর্থবছরে সেটি অনেকাংশেই কমে গেছে। ফলে আয় বেড়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার তৎপরতা বাড়ানোর কারণে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমেছে। আবার খালাসেও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেনি সুযোগসন্ধানীরা। ফলে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আয়ে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মূলত নতুন বছরের প্রথম মাস হওয়ায় আগের মাসের বকেয় রাজস্ব আদায় হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় দেখা গেছে, যা প্রকৃত চিত্র নয়। প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় আগস্ট মাস থেকে। আগস্ট মাসে ৬ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অক্টোবরে ৭ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৬১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৭ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ২৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, আদায় হয় ৫ হাজার ১০৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়। আবার ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর রাজস্ব আদায়ও বাড়ে। তবে বেশিরভাগ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যায় না। এবার লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা সহনীয় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ শুল্কে পণ্য আমদানি কমে যাওয়ার কারণে এই অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারিনি। তবে আমাদের টার্গেট থাকবে অর্থবছরের বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আদায়ে ধারা ইতিবাচক থাকবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

আগামী অর্থ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ২১৪৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১২৫ কোটি টাকা, এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছেন। আর উন্নয়ন অনুদান খাতে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় হবে বলে মেয়র আশা করছেন।সোমবার দুপুরে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র। একই অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়।

মেয়র বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অবৈধ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার দোসরদের পতনের পর মাননীয় আদালত কর্তৃক সুবিচারপ্রাপ্ত হয়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছি। তাই নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা এবং মহানগরীকে ক্লিন-গ্রিন, হেলদি ও সেইফ সিটি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ও অর্থনৈতিকভাবে বাসযোগ্য নান্দনিক পর্যটন নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

শাহাদাত হোসেন বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সড়ক আলোকায়ন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাদি নির্বাহ করতেই করপোরেশনের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয়।আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় নগরবাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য আমার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দায়িত্ব গ্রহণের সময় মোট ৫৯৬ কোটি টাকা দেনা থাকার কথা তুলে ধরে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “বিগত ৮ মাসে ধারাবাহিকভাবে পরিশোধের পর আজকে সিসিসির দেনার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা।

করের আওতা বাড়ানোর নির্দেশনা অনুসারে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় সকল খাতেই গত বছরগুলোর তুলনায় অধিক কর আদায় হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ হতে ১৪০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় সম্ভব হয়েছে।

চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তর করতে নিয়মিত কর পরিশোধ করুন। জনগণকে করের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং করদাতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। হোল্ডিং ট্যাক্স যদি ঠিকমত পাই তাহলে এ শহরকে বাসযোগ্য, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ করতে পারব।

বাজেট অধিবেশনে ২০২৫-২৬ সালের ২১৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০৪৪ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছে উন্নয়ন অনুদান খাতে। যার মধ্যে ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদানই সবচেয়ে বড় আয়ের খাত।প্রস্তাবিত বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় ধরা হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে ৩২১ কোটি টাকা।এরপর বকেয়া কর ও অভিকর খাতে ১৯৯ কোটি টাকা, অন্যান্য কর থেকে ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন প্রকার ফিস থেকে ১৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।

২০২৫-২৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি খরচ ধরা হয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন এডিপি ও উন্নয়ন রাজস্ব তহবিল খাতে মোট ১১২৫ কোটি টাকা।এছাড়া বেতন ভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে আগামী অর্থ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিদায়ী অর্থবছরে এই সিটির প্রস্তাবিত বাজেট ছিল

১৯৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকার। সংশোধনে তা ১২২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।বিদায়ী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন অনুদান খাতে সর্বোচ্চ ৯০৯ কোটি টাকা আয় ধরা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, উন্নয়ন অনুদান খাতে বরাদ্দ মিলেছে মোট ৫৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পে ৩৯৫ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ মিলেছে।আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে হাল কর ও অভিকর খাতে। গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩২ কোটি টাকা।

তবে গত অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বকেয়া কর ও অভিকর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৬২ কোটি টাকা। আর অন্যান্য কর খাতে ২০০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১১৮ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে উন্নয়ন এডিপি ও রাজস্ব তহবিল খাতে, মোট ৫৮৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বেতনভাতা ও পারিশ্রমিক খাতে। আর বকেয়া পরিশোধে খরচ হয়েছে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ইয়াবাসহ হেলপার আটক বাস জব্দ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ এলাকায় ১৪ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদককারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহৃত
একটি হানিফ এসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭০৮৪) জব্দ করা হয়। উপজেলার দোহাজারী পৌরসভাস্থ
দোহাজারী বাজারের পশ্চিম পাশে শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়।

উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৪২ লক্ষ টাকা বলে জানা যায়। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার এলাকায় চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে এসআই(নিঃ) সোহেল মিয়া সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ

দোহাজারী বাজারের পশ্চিম পাশে শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর উপস্থিত হয়ে একটি নীল সাদা বর্ণের হানিফ পরিবহনের এসি বাস তল্লাশি করার সময় বাসের হেলপার আসামী মো: মারুফ হোসেনকে আটক করেন। পরবর্তীতে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাসের বামপাশের যাত্রীদের মালামাল রাখার ৩ নম্বর বক্সে ভিতর হতে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে অপর আসামী বাসের ড্রাইভার মো: আবছার উদ্দিন (৩৪) কৌশলে পালিয়ে যায়।

আটককৃত হলেন হানিফ এসি বাসের হেলপার চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শান্তির বাজার এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে মো: মারুফ হোসেন (২২)। পলাতক আসামি হলেন হানিফ এসি বাসের ড্রাইভার

চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানার দশমাইল, হাসপাতালের পাশে এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মো: আবছার উদ্দিন (৩৪) ড্রাইভার। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি হানিফ এসি বাস সহ ১ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ