আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

বোয়ালখালীতে নারী এনজিও কর্মীর আত্মহত্যা!

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম 

  1. চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক নারী এনজিও কর্মী অফিসকতৃর্ক হেনেস্তা ও মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে   আত্মহত্যা করেছেন শুক্লা দে টিকলি (৪০) নামে এক এনজিও  বেসরকারি কর্মচারী। গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্লা  উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খরণদ্বীপপাল পাড়ার সিদুল পালের স্ত্রী। তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। শুক্লা দে রুপসা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে দু’মাস ধরে ‘টার্গেট’ পূরণের জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিলেন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মচারীরা। কেটে নেওয়া হচ্ছিল বেতন। নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় অফিসে ডেকে নিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছিল। কাজের চাপ সইতে না পেরে শেষমেশ আত্মহননের পথ বেছে নেন শুক্লা। শুক্লার স্বামী জানান, সংস্থাটির কানুনগোপাড়া শাখায় ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ফিল্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন শুক্লা। ওই সংস্থা এলাকায় মানুষজনকে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়। এসব ঋণ কিস্তি আকারে আদায় করতেন শুক্লা। এরমধ্যে গত ৫ আগস্টের পর এলাকার লোকজন কিস্তি পরিশোধ করছিলো না এবং কিস্তি আদায়ের জন্য গেলে শুক্লাকে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু সংস্থার কানুনগোপাড়া শাখার ম্যানেজার কাঞ্চন দেবনাথ কিস্তি আদায়ে শুক্লাকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। এরপর সংস্থাটি শুক্লার বেতন থেকে অনাদায়ী কিস্তির টাকা কেটে নেওয়ার শর্তে বিষয়টি মীমাংসা করে। সিদুল পাল অভিযোগ করে বলেন, গত নভেম্বর মাসে ১৫ হাজার বেতনের মধ্যে ৭ হাজার টাকা দিলেও ৬ হাজার টাকা কেটে রাখে সংস্থাটি। এছাড়া পাশ্ববর্তী উপজেলা পটিয়ার উপজেলা  ধলঘাট ইউনিয়নের ধলঘাট এলাকায় বদলি করে শুক্লাকে। শুধু তাই নয়, অফিসে ডেকে নিয়ে হেনস্তা করে আসছিলো সংস্থার কর্মকর্তারা। এনিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে শুক্লা। তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার রাতে শুক্লা জানিয়েছে সে নতুন কর্ম এলাকার পথঘাট কিছুই চেনে না। তার মনও সায় দিচ্ছে না নতুন এলাকায় যেতে। পরদিন শনিবার সকালে চাকরিতে যায় নি শুক্লা। বিকেলে ঘরের রান্না ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতে থানা পুলিশ শুক্লার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্লার মরদেহ পাঠানো হয়েছে। বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, শুক্লার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অনুযায়ী মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যম শাকপুরা গ্রামের চলাচল অযোগ্য লালচাঁদ বিহার সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। লালচাঁদ বিহার সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার চলাচল অযোগ্য অংশ সংস্কার করে খানাখন্দ সারিয়ে তোলা হয়। এতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু। দীর্ঘদিন পর শাকপুরা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের এ সড়কটি ব্যক্তি অর্থায়নে সংস্কার করা হচ্ছে। এ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে মধ্যম শাকপুরা ধ্রুবতারা তরুণ সংঘের সদস্যবৃন্দ।

জানা গেছে, প্রায় এক দশক ধরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। এনিয়ে এলাকাবাসী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও সড়কটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে শাকপুরা ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ আস্ত গোপনে চলে যান ।

স্থানীয়রা জানান, শাকপুরা এলাকার অন্যতম যাতায়াতের এ সড়কটি টিআর বরাদ্দ দিয়েও সংস্কার করা যেতো। গত ১৭ বছরে এ সড়কের জন্য টিআর বরাদ্দ জোটেনি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেয়নি কোনো বরাদ্দ। অথচ শাকপুরা এলাকার বসতি শূন্য বিলের মাঝে সেতু ও সড়ক নির্মাণ কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বিগত দিনের টিআর এবং কাবিখা বরাদ্দের তালিকা জন সম্মুখে আনা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা অধীর বড়ুয়া জানান, শাকপুরা এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ লালচাঁদ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। সম্প্রতি এলাকাবাসী এটি সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়ায় সেই ভোগান্তি লাঘব হলো। স্থানীয় ইউপি সদস্য অনুপ দাশ বলেন, সড়কটি উন্নয়ন করা খুবই প্রয়োজন ছিলো। যদিও বিগত সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চললেও সরকারিভাবে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে ব্যক্তি উদ্যােগে এর সংস্কারের কাজ চলছে শুনে ভালো লাগছে।

চট্টগ্রামে ছয় বছরে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু, ফের নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রাম মহানগরে নালায় পড়ে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে হালিশহর আনন্দপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।ওই শিশুর নাম হুমায়রা (৩)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার শেষে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। এদিকে গত ছয় বছরে চট্টগ্রাম মহানগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মো. সেলিম জানান, শিশুটি বাড়ির পাশের একটি দোকানে যাওয়ার সময় খোলা একটি নালায় পড়ে যায়। নালার স্ল্যাবটি তোলা থাকায় ওপরে পানি জমে ছিল, ফলে নালাটি বোঝা যায়নি। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে পা রাখলে পানির স্রোতে ভেসে যায়।

তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে নালায় পড়ে যেতে দেখে আশপাশের কয়েকজন উদ্ধারের চেষ্টা করলেও পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে আমাদের উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তারা দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলায় হিজড়া খাল সংলগ্ন নালায় যাত্রীবাহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পড়ে যায়।

অটোরিকশায় মায়ের কোলে ছয় মাস বয়সী শিশুসহ তিন যাত্রী ছিলেন। বাকিরা উদ্ধার হলেও শিশুটি তলিয়ে যায়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর সেহেরিশ নামে ছয় মাস বয়সী মেয়েটির লাশ মেলে ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার দূরে চাক্তাই খালে।এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সিটি করপোরেশন নগরীর সব খাল-নালার পাড়ে বাঁশের বেস্টনী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্ততঃ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২ জন, ২০২১ সালে ৫, ২০২৩ সালে ৩, ২০২৪ সালে ৩ জন এবং চলতি বছর এ পর্যন্ত ২ জন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ