আজঃ রবিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৫

রাজশাহীতে ৩ দিন ব্যাপী লোকনাট্য উৎসব

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে তিন দিনব্যাপী লোকনাট্য সমারোহ উৎসব শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ রাজশাহী কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল।

তিনি বলেন, ‘‘সবার ঘরে ঘরে টিভি ছিলো না বলে আমরা আগে বিটিভিতে নাটক দেখতাম সপ্তাহে একদিন। তখন আমরা এই লোকনাট্যগুলোই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় উপভোগ করতাম। টিভি চ্যানেল ও শিল্পী কলা-কুশলীর ভিড়ে লোকনাট্যগুলো আজ হারাতে বসেছে। সেই লোকনাট্যকে ধরে রাখার জন্যই এ আয়োজন।’’

লোকনাট্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘লোকনাট্য হলো লোকজ জীবনাচারকে তুলে আনা। হাসি-কান্না, রঙ-তামাশা, দুঃখ বেদনা এ সবকিছুকে নাচ, গান ও শব্দের ব্যবহারের সমন্বয়ে গ্রামীণ মানুষের জীবনাচার তুলে ধরা।’’

আঞ্চলিক সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে তিনি বলেন, ‘‘অতীতে আঞ্চলিক ভাষায় তেমন কোনো নাটক নির্মাণ করা হতো না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নাটক নির্মাণ হচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলের ভাষা অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মতো। প্রত্যেক ভাষার একটি সৌন্দর্য রয়েছে এবং সেই ভাষার সাথেই ওই এলাকার মানুষের জীবনাচার জড়িয়ে রয়েছে। নিজ অঞ্চলের ভাষায় যখন নাটক তৈরি হয়, তখন ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটি অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয় যা দেখে তারা আনন্দিত হয়। তাই এটিকে চলমান রাখতে হবে।’’

জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মহিনুল হাসান ও সহকারী কমিশনার আশিক জামান। এসময় শিল্পী কলা-কুশলী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনব্যাপী লোকনাট্য সমারোহের প্রথম দিন গম্ভীরা ও আলকাপ গান হয়। শুক্রবার রয়েছে মনসাপালা ও মাদারপীরের পালা। আর শনিবার রয়েছে বিয়েরগীত ও লছিমন। এ দুদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ফুল আর ফুলকি

ফুল আর ফুলকি
মাদ্রাসায় পড়ে,
প্রতিদিন আসে যায়
রিক্সায় চড়ে।
দু’জনই জেগে ওঠে
পাখি ডাকা ভোরে,
কোরআনের বাণী পড়ে
সুমধুর সুরে।
পাঠ্যেও মনোযোগী
দু’জনই ভালো,
ঘরে ঘরে পৌঁছায়
শিক্ষার আলো‌।
ফুল আর ফুলকি
আঁধারের বাতি,
প্রতিদিনই খোঁজে তাদের
মুসলিম জাতি।

কথা-কবিতা-গান-সম্মাননায় সাউন্ডবাংলার অনবদ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত ।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সাউন্ডবাংলা এবং দৈনিক পূর্বাভাস-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘আলোর কবিতা-কথা ও ভালোর গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠান ।

অতিসম্প্রতি রাজধানীর পল্টন বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যক্তিত্ব এম শাহজাহান আলী । কথাশিল্পী শান্তা ফারজানা ও কলামিস্ট মোমিন মেহেদী নিবেদিত এই মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিনেতা সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান তোতা ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাশিল্পী কালাম ফয়েজী, ব্যাংকার ও কবি সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান কবি রিপন শান এবং
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল-এর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাংবাদিক নাহিদ হাসান এবং বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান কবি রিপন শান । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় দৈনিক পূর্বাভাস এর যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি।

এ আয়োজনে সাহিত্যবন্ধু সম্মাননা পেয়েছেন- কথাসাহিত্যিক কালাম ফয়েজী, কাব্যবন্ধু সম্মাননা পেয়েছেন কবি রিপন শান, সমাজবন্ধু সম্মাননা পেয়েছেন ফেরদৌসি আক্তার রেহানা ও মিজানুর রহমান মোল্লা ।
অনুষ্ঠানে গান ও অভিনয়ের রকমারি নৈবেদ্য পরিবেশন করেন- ছড়াকার গোলাম নবী পান্না ।

সমকালীন বাংলা ভাষার প্রধান কবি শামসুর রাহমানের প্রিয় স্বাধীনতা কবিতার অনবদ্য আবৃত্তি পরিবেশন করেন প্রভাষক কবি রিপন শান , কবিতা পাঠ করেন- দৈনিক পূর্বাভাসের যুগ্ম সম্পাদক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি, কবি আলতাফ হোসেন রায়হান, শিক্ষক কবি আবদুল মান্নান, প্রকাশক হাফেজ নূরুজ্জামান, কবি বিমল সাহা, দৈনিক পূর্বাভাস-এর স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল রহমান হক, ছড়াকার শাহজামাল, কবি আবু বকর সিদ্দিক, ছড়াকার মোহাম্মদ শামিম মিয়া প্রমুখ।

lki9i
অনুষ্ঠানে অতিথিগণ বলেন- একাত্তরের স্বাধীনতা কারো বাপদাদার একার সম্পত্তি নয়; এই স্বাধীনতা সকল নাগরিকের। সেই স্বাধীনতাকে কোনো দল গোষ্ঠি বা ব্যক্তি খাটো করার চেষ্টা করলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভুলে গেলে চলবে না, অতীতের অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতেই অন্তবর্তী সরকারের সৃষ্টি । j

অতএব, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র না। জাতীয় সাংস্কৃতিকধারার পৃষ্ঠপোষকতায় পুরস্কার ভিত্তিক ‘সাউন্ডবাংলা-পল্টনাড্ডা-১০২’ এর পঠিত লেখার মধ্য থেকে বিজয়ী হন ছড়াকার মোহাম্মদ শামিম মিয়া ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ