আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ জুন, ২০২৫

জলাবদ্ধতা নিরসনে অবহেলিত ২১টি খালকে উদ্ধার করতে হবে : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক খালগুলো পুনরায় খনন ও পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। খালগুলোতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা এবং পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা কার্যকর রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার অভিযান চালানো হবে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন।
সভায় চায়না হারবার লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ম্যানাজার রেন হাও ও ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য মন্তব্য করে শাহাদাত হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএর উদ্যোগে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে ৫৭টি খাল থেকে কাজের জন্য ৩৬টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো ২১টি খাল অবহেলিত রয়ে গেছে। এই ২১টি খালকেও উদ্ধার করতে হবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনো একক সংস্থা সমাধান করতে পারবে না। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশ

(চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), ওয়াসা এবং অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন,চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার সমস্যা বহুদিনের। তবে এটি সমাধানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রযুক্তিগত ও কাঠামোগত সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার চায়না হারবার লিমিটেডের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ এই সমস্যা সমাধানে নতুন

দিকনির্দেশনা দিতে পারে।এ সময় নগরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ও কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীসহ কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত যুবক (২৭) নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।মঙ্গলবার বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। গত ৪ জুন, ৬ জুন ও ৯ জুনের করোনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এদের মধ্যে ২ জন নারী।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। সরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিটের কিছুটা সংকট রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনও সংকট নেই।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতাল, সিভাসু, বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া চসিকের পক্ষ থেকে সার্ভিস সেন্টার চালু করা হবে। এই কেন্দ্র থেকে মানুষ করোনার বিষয়ে তথ্য পাবেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে ২০২০ সালে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দুই বছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন রোগী চিকিৎসা নেন, মারা যান ১ হাজার ৩৭০ জন। আইসিডিডিআরবির গবেষকরা করোনার নতুন ধরন- এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্তের কথা জানিয়েছেন।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য নতুন সংক্রমণ মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সব স্বাস্থ্যখাত-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করতে হবে। বুধবার চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় মেয়র নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সময় মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে। ইতোমধ্যে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন,এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।
সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরের বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা উল্লেখ করে মেয়র আরো বলেন, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলেও মেয়র জানান।
তিনি আরও বলেন, গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ