
ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন বাজারে বহুতল ভবনে বাড়িতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তবুও সাবধান হচ্ছেন না অনেকেই। শহরের অনেক রাস্তা ও মার্কেটে ঢোকার পথ সরু। নেই অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।

ঠাকুরগাঁওয়ে অনেক স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও সচেতন হচ্ছেন না অনেকেই। জেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একমাত্র ভরসা ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন স্থানে নেই এখনো পর্যন্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।একদিকে যেমন জলাশয় সংকট, শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নদী এবং পুকুর থেকে পানি আনতে হলে অনেকটা পথ যেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে। দিনের পর দিন গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন ভবন। দুর্ঘটনার কথা ভাবছেন না প্রতিষ্ঠানের মালিক।

ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পৌর শহরের রোড বাজার, কালিবাড়ি বাজার, নিউ মার্কেট, স্বর্ণকার পট্টি সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এলাকা এসব বাজার ও মার্কেটে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বিপাকে পড়তে হবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের। একদিকে যেমন প্রবেশ পথ ছোট অন্যদিকে নেই অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
বেশি ভাগ পুরনো মার্কেটের বাইরেই এমন দৃশ্য। প্রতিষ্ঠান চলাকালীন এক গলি দিয়ে ঢুকলে অন্য গলি দিয়ে বের হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। শহরের অধিকাংশ বহুতল ভবন, মার্কেটে নেই কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রতিষ্ঠানগুলোতে জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বেচাকেনা। আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও জান মালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অসংখ্য বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করলেও তাদেরও নেই কোন প্রস্তুতি জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। তাই সকলকে সচেতন হয়ে, প্রশাসনের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরউপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও একটি ব্যস্ততম শহর এখানে কয়েকটি এরিয়া আছে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলা যায়। এখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে আশেপাশে কোন পানির ব্যবস্থা নেই। অনেক দূরে টাঙ্গন নদী আছে সেখান থেকেই পানি আনতে হয়। শহরের মধ্যে ফায়ারের গাড়ি যাতে প্রবেশ করা করতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন শহরের কয়েকটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পানি পাওয়ার ব্যবস্থায় নেই। সেই কারণে অগ্নিকাণ্ডের প্রস্তুতি হিসেবে মধ্যে কিছু ওয়াটার রিজার্ভার করার যায় তাহলে হয়তো সেই দুর্যোগটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে দ্রুত এটার প্রস্তাব পাঠানো হবে।