আজঃ শুক্রবার ১১ জুলাই, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয় দুর্ঘটনায় ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি  আশঙ্কা

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ

 

ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন বাজারে বহুতল ভবনে বাড়িতে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তবুও সাবধান হচ্ছেন না অনেকেই। শহরের অনেক রাস্তা ও মার্কেটে ঢোকার পথ সরু। নেই অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা। বড় দুর্ঘটনা ঘটলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।

 

ঠাকুরগাঁওয়ে অনেক স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও সচেতন হচ্ছেন না অনেকেই। জেলায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একমাত্র ভরসা ফায়ার সার্ভিস। বিভিন্ন স্থানে নেই এখনো পর্যন্ত অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।একদিকে যেমন জলাশয় সংকট, শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নদী এবং পুকুর থেকে পানি আনতে হলে অনেকটা পথ যেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে। দিনের পর দিন গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন ভবন। দুর্ঘটনার কথা ভাবছেন না প্রতিষ্ঠানের মালিক।

ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পৌর শহরের রোড বাজার, কালিবাড়ি বাজার, নিউ মার্কেট, স্বর্ণকার পট্টি সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এলাকা এসব বাজার ও মার্কেটে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে বিপাকে পড়তে হবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের। একদিকে যেমন প্রবেশ পথ ছোট অন্যদিকে নেই অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

বেশি ভাগ পুরনো মার্কেটের বাইরেই এমন দৃশ্য। প্রতিষ্ঠান চলাকালীন এক গলি দিয়ে ঢুকলে অন্য গলি দিয়ে বের হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে। শহরের অধিকাংশ বহুতল ভবন, মার্কেটে নেই কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই চলছে বেচাকেনা। আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও জান মালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অসংখ্য বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করলেও তাদেরও নেই কোন প্রস্তুতি জানেন না কিভাবে কি করতে হয়। তাই সকলকে সচেতন হয়ে, প্রশাসনের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া উচিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

এদিকে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরউপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও একটি ব্যস্ততম শহর এখানে কয়েকটি এরিয়া আছে যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলা যায়। এখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটলে আশেপাশে কোন পানির ব্যবস্থা নেই। অনেক দূরে টাঙ্গন নদী আছে সেখান থেকেই পানি আনতে হয়। শহরের মধ্যে ফায়ারের গাড়ি যাতে প্রবেশ করা করতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন শহরের কয়েকটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পানি পাওয়ার ব্যবস্থায় নেই। সেই কারণে অগ্নিকাণ্ডের প্রস্তুতি হিসেবে মধ্যে কিছু ওয়াটার রিজার্ভার করার যায় তাহলে হয়তো সেই দুর্যোগটি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে দ্রুত এটার প্রস্তাব পাঠানো হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে অভাব জয় করে জিপিএ-৫, কলেজে ভর্তি নিয়ে দুঃচিন্তায় মনিষা

পিতৃহীন অভাবের সংসারে ঠিকমতো দুবেলা দুমুঠো খাবারই জোটেনি মেধাবী শিক্ষার্থী মনীষার। এমনকি জোটেনি ভালো পোশাকও। এসব অভাবকে জয় করে এ বছর এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মনীষা।

বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পদ্ম পুকুর এলাকার মরহুম মফজল আহমদ ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে এবং চরখিজিরপুর হাজি মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেছা মনীষা। স্থানীয়রা জানান, মনীষা ছোট বেলায় ঈদের দিন ভোরে বাবা হারিয়ে ফেলেন ,এক হতদরিদ্র পরিবারের জন্ম নেওয়া মনিষার মা মনোয়ারা বেগম পাচঁটি মেয়ে নিয়ে পড়ে যায় বিপদে , দীন মজুর বাবা তেমন কিছু রেখে যেতে পারিনি তাদের জন্য। মনীষার মা পড়ে যায় আর্থিক সংকটে বাচ্চাদের পড়াশুনা খাবার নিয়ে মহা সংকটে পড়ে যায়।

মনীষার মা মনোয়ারা বেগম বলেন, সংসারের অভাব পূরনে কিছু ধানী জমিতে চাষ করে আর উপায় না দেখে ক্লাববের বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্নাবান্নার কাজ করেছি। আর্থিক সংকটে থাকার পরও মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ করেনি , অনেক সময় না খেয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে আমার মেয়েকে।

এখন কলেজে ভর্তি হয়ে কীভাবে লেখাপড়ার খরচ আসবে সে চিন্তায় পড়েছি। হাজি মোহাম্মদ জানে আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম বলেন, হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে মনীষা অত্যন্ত ভদ্র। বিদ্যালয়ে এসে সে সব সময় চুপচাপ থাকত। তবে ক্লাসে সব সময় থাকত মনোযোগী। মনীষা জিপিএ-৫ পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-কর্মচারী খুশি।

দৈনিক অমৃতালোকে ফিচার এডিটর নিযুক্ত হয়েছেন কবি রিপন শান ।


রাজধানী ঢাকা ও দ্বীপজেলা ভোলা থেকে একযোগে প্রকাশিত, বিশিষ্ট সাংবাদিক আলহাজ্ব আহাদ চৌধুরী তুহিন সম্পাদিত স্বতন্ত্রধারার দৈনিক অমৃতালোক পত্রিকায় ফিচার এডিটর হিসেবে যোগদান করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রভাষক কবি রিপন শান ।
দৈনিক অমৃতালোক সম্পাদক আহাদ চৌধুরী তুহিন স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র মোতাবেক গত ১ জুলাই ২০২৫ থেকে গণমাধ্যমটির ফিচার এডিটর নিযুক্ত হলেন তিনি ।

১৯৯৮ সালে বরেণ্য অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী সম্পাদিত পাক্ষিক নটনন্দন দিয়ে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করা বহুমাত্রিক লেখক সংগঠক রিপন শান বিভিন্ন সময়ে যুক্ত ছিলেন- সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ, সাপ্তাহিক খবরের কাগজ (আজকের কাগজ), সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজ, দৈনিক খবরপত্র, বাংলারিপোর্ট২৪, বজ্রকণ্ঠ, দৈনিক দেশজনপদ, দৈনিক বাংলাদেশ বাণী, ইউরোসমাচার, ইউরোবাংলাটাইমস, সহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা থেকে প্রকাশিত বাংলা গণমাধ্যম ইউরোবাংলাটাইমসে ম্যানেজিং এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন টানা তিন বছর । অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ কো- অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন টানা পাঁচ বছর। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অবিস্মরণীয় “কবিকণ্ঠে আবৃত্তি সন্ধ্যা ২০০৭” অনুষ্ঠানের গ্রন্থিক ও উপস্থাপক, লালমোহন উপজেলা শিল্পকলা একাডমির নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি রিপন শান, টানা তিন টার্ম লালমোহন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।

তাঁর সনদীয় নাম মোঃ শাহাবুদ্দিন রিপন । লেখালেখি, সমাজকর্ম ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে রিপন শান নামেই সমধিক পরিচিত। মূলত কবি হিসেবে সমাদৃত হলেও তুখোড় বক্তা, আবৃত্তিশিল্পী, উপস্থাপক, মঞ্চ নাট্যকার, নির্দেশক, লিটলম্যাগ সম্পাদক, সাংবাদিক, কলেজ শিক্ষক এবং কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও বহুমাত্রিক পরিচয় রয়েছে তাঁর। ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে এক বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ মরহুম সালাউদ্দিন আহমাদ। মাতা লালমোহনের প্রথম এন্ট্রান্স শিক্ষিতা মরহুমা বেগম রওশান আরা পঞ্চায়েত। পিতামহ মরহুম মাওলানা মনসুর আহমাদ গোল্ডমেডেলিস্ট ছিলেন ভোলা সরকারি কলেজের খ্যাতিমান অধ্যাপক। মাতামহ মরহুম দানবীর মজিবুর রহমান পঞ্চায়েত ছিলেন লালমোহন ইউপির জননন্দিত চেয়ারম্যান । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সাবেক ছাত্র , ঢাকা কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর বহুমুখী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক রিপন শান বদরপুর নুরুন্নবী চৌধুরী মহাবিদ্যালয়ে একটানা ১৪ বছর ধরে বাঙলা বিষয়ে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন । পাশাপাশি মুক্তবলি ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক, মাতৃজগত আইপিএ টিভির পরিচালক , ভয়েস চট্টগ্রামের উপদেষ্টা সম্পাদক, ভোলার কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও দ্য রেডটাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। লেখক রিপন শান এর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : কাব্যগ্রন্থ- নদীর বুকে জীবন জ্বলে, রত্নখচিত কুয়াশা; গল্পগ্রণ্হ- ফিনিক্স পাখির উড়াল। প্রকাশের পথে- শিল্পের আলাপ ( সাক্ষাৎকার সংকলন ), অপার বিস্ময় ( তথ্য সংকলন ), আট বেহেশতের সুবাস ( কাব্যগ্রন্থ ), কবিতা-কলাপ ( নির্বাচিত কবিতা ) । শ্যামল মাটির কমলেরা, বাউন্ডুলে, বেকার অমানিশা- নাট্যকার রিপন শান রচিত ও নির্দেশিত মঞ্চসফল তিনটি নাটক। সম্পাদনা করেছেন দুই বাংলার কবিতা সংকলন- জ্বলে ওঠার কবিতা ; লিটল ম্যাগ- রোদসী, বেতুয়া , প্রমিত বাংলার মুখ। বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রিপন শান- ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাব, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ভোলা, লালমোহন মিডিয়া ক্লাব ও নেক্সাস ৯৩ ফ্রেন্ডস প্লাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা । কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন সময়ে অর্জন করেছেন- জাতীয় ছাত্রধারা পুরস্কার, চরফ্যাসন প্রগতি ইউনিটি এওয়ার্ড, আমরা করবো জয় পুরস্কার, মিরপুর এইচ এইচ মাইক্রো ইনস্টিটিউট সম্মাননা, নবকল্লোল পুরস্কার, এম আর মনজু কালচারাল সোসাইটি সম্মাননা, লালমোহন ফাউন্ডেশন ঢাকা পুরস্কার, সাউন্ডবাঙলা বেস্টবুক এওয়ার্ড, নিউন্যাশন মডেল স্কুল সম্মাননা, দৈনিক মাতৃজগত সম্মাননা , ম্যাজিক লণ্ঠন আড্ডার কবি সম্মাননা ইত্যাদি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ