আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মুক্তি পেল এনামুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয়

 

কারাগার থেকে বের হন কে এম এনামুল হক।একই মামলায় কাশিমপুর এবং কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও পাঁচজন। এছাড়াও সাজা কমানো জাতীয় পার্টির নেতা হাফিজুর রহমান কয়েকমাসের মধ্যেই মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।


চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার ইব্রাহিম রাজু বলেন, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি কে এম এনামুল হক চট্টগ্রাম কারাগারেই ছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে তার খালাসপ্রাপ্তির রায় বুধবার (১৫ জানুয়ারী) রাতে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। আমরা সব যাচাই করে এবং সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তিনি বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে মুক্তি পেয়েছেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস পান। পরে ১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা

 

কমানোর রায় দেন। রায়ে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে। আর চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান।
কারাগার সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতা হাফিজুর রহমান অস্ত্র মামলায় এরইমধ্যে ১০ বছরের অধিক সময় ধরে সাজা খাটছেন। কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে তিনিও মুক্তি পেতে পারেন।


এর আগে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের। অস্ত্র আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন আসামিরা।

অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এছাড়া, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার,

এনএসআইর সাবেক ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডাইরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ : খুলশী ক্লাবকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর ফয়েজ লেক এলাকায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে খুলশী ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোনিয়া সুলতানা এ ক্ষতিপূরণ আরোপ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই দপ্তরের পরিদর্শক রুম্পা শিকদার। তিনি জানান, খুলশী থানাধীন ফয়েজ লেক এলাকায় খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ মার্চ দপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, পরিদর্শক রুম্পা শিকদার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন, মনির হোসেনসহ এনফোর্সমেন্ট টিম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে তারা দেখতে পান খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড়টি ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাটা হয়েছে। খুলসী ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাহাড় কেটে তারা ক্লাবের সীমানার ভিতরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ

পরিচালনা করছিলেন। জানা যায় ওই ভূমিটির শ্রেণি পাহাড় ও টিলা। গত ১১ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বলা হয়, ৪৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট পাহাড় সরকারের অনুমতি ছাড়া কেটে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই আইনের ৬ এর খ ধারা অনুসারে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হলো।

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে রিকশাচালকের মৃত্যু

আ.লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, রিকশাচালকের মৃত্যু
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি (৫৮) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, ওই সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তার জ্ঞান ফেরেনি। সন্ধ্যার পর তিনি মারা গেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, আহত রিকশাচালক মারা গেছে বলে শুনেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান এবং তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক গোলাম হোসেন ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন একটি গ্রুপ তাকে আরেক গ্রুপের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিহত গোলাম হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। রাজশাহী নগরের দড়িখড়বোনা মহল্লায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শহরে রিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ