আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ প্রথম বছরে আয় ৪২ কোটি ৯৫ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিদায়ী বছরে যাত্রী পরিবহন কমেছে বটে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে।
এদিকে গত বছর যাত্রী পরিবহন কমলেও টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া নতুন নতুন রুটে ট্রেন চালুর উদ্যোগ আয় বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটসহ বিপুল চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি নতুন রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করায় বিদায়ী বছরে রেলওয়ের আয় বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির সামগ্রিক আয়ে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন চালু করা এই ট্রেন প্রথম বছরেই ৪২ কোটি ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছে। যা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া সর্বোচ্চ আয়।
জানতে চাইলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ট্রেন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রী পরিবহনও করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমেছে। তবে নতুন রুটে ট্রেন চালু করায় এ সময়ে রেলওয়ের আয় বেড়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ১৬০ জন যাত্রী পরিবহন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ২০২৩ সালের একই সময়ে যাত্রী পরিবহনের এই সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ জন। সে হিসাবে ২০২৩ এর চেয়ে ২০২৪ সালে যাত্রী পরিবহন কমেছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ জন।
অন্যদিকে বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে আয় করেছে ৬৪২ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৭ টাকা। ২০২৩ সালের এই সময়ে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১১ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৮৭০ টাকা। সে হিসাবে আয় বেড়েছে ১১ মাসে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ