আজঃ সোমবার ১২ মে, ২০২৫

কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ প্রথম বছরে আয় ৪২ কোটি ৯৫ হাজার টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে

জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিদায়ী বছরে যাত্রী পরিবহন কমেছে বটে। তবে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে।
এদিকে গত বছর যাত্রী পরিবহন কমলেও টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ের আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া নতুন নতুন রুটে ট্রেন চালুর উদ্যোগ আয় বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় বেশ কিছু দিন ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটসহ বিপুল চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি নতুন রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করায় বিদায়ী বছরে রেলওয়ের আয় বেড়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির সামগ্রিক আয়ে।
কর্মকর্তারা আরো জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে ননস্টপ ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ থেকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন চালু করা এই ট্রেন প্রথম বছরেই ৪২ কোটি ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছে। যা আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মধ্যে টিকিট বিক্রি করে পাওয়া সর্বোচ্চ আয়।
জানতে চাইলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ট্রেন চলাচল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রী পরিবহনও করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে যাত্রী পরিবহন কিছুটা কমেছে। তবে নতুন রুটে ট্রেন চালু করায় এ সময়ে রেলওয়ের আয় বেড়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ১৬০ জন যাত্রী পরিবহন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ২০২৩ সালের একই সময়ে যাত্রী পরিবহনের এই সংখ্যা ছিলো ১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ জন। সে হিসাবে ২০২৩ এর চেয়ে ২০২৪ সালে যাত্রী পরিবহন কমেছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ২৪৮ জন।
অন্যদিকে বিদায়ী বছর ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে আয় করেছে ৬৪২ কোটি ১৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৭ টাকা। ২০২৩ সালের এই সময়ে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আয়ের পরিমাণ ছিল ৬১১ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৮৭০ টাকা। সে হিসাবে আয় বেড়েছে ১১ মাসে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী,র কিছু কথা।

আত্মহননের পর র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলছেন – শাশুড়ি তাকে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে দেয়নি। ছেলেকে ছোট বাচ্চার মতো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন।
গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সুস্মিতা বলেন – ‘ওর (পলাশ) আমার হাতের রান্না ভাল খাইত এজন্য আমার শাশুড়ি একপর্যায়ে আমার রান্নাই বন্ধ করে দিল। আমার শাশুড়ির ইথিক্স ছিল, ছেলে বিয়ে করবে বউ তাড়াতাড়ি বাচ্চা হয়ে যাবে। বউ সংসার আর বাচ্চা নিয়ে থাকবে, আর সে তার ছেলেকে নিয়ে থাকবে। আমার শাশুড়ি আমার স্বামীর যে ৩৫ বছর বয়স হলো ওকে নিজ হাতে খাইয়ে দিত।

যেদিন পলাশ গেল,ওইদিন সকালেও ওর মা ওকে খাইয়ে দিছে আড়াইটা বছর ধরে আমিও দেখতেসি যে, একটা বাচ্চা ছেলেকে যেভাবে তার মা প্যামপার করে ঠিক ওভাবে,প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ও কি পোশাক পরবে, ও কি পোশাক কিনবে, ও কোনটা পরে অফিসে যাবে না যাবে, ও কখন কি খাবে না খাবে, কখন ঘুমাবে, কখন ঘুম থেকে উঠবে, সবটা ওর মা নিয়ন্ত্রণ করত।
আর আমার স্বামী সেটা মেনে নিত। তো আমার একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে হল, এটা তো খুব প্রক্সি।

এক পর্যায়ে আমি আইডিন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছিলাম যে, আমি তো ওর বউ। কিন্তু আমার অস্তিত খুঁজে পাচ্ছিলাম না ওদের মাঝখানে। তারা মা-ছেলে দুজনে কথা বলত, আমি যখন ওদের মাঝে যেতাম তখন থেমে যেত। এটা কেমন ব্যবহার?’তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নির্লোভী ছিল। ও সৎ ছিল। ও আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করসে। কিন্তু ও অনেক বেশি মাতৃভক্ত ছিল।

আমি সেটাকে অ্যাপ্রিসিয়েটও করতাম। কারণ আমিও তো একদিন মা হব। আমার সন্তানও তাহলে বাবার মত হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে যখন দেখলাম আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি খুব আদর যত্ন করতাম ওকে, ওর মাকে। কিন্তু ওরা না আমাকে বুঝত না। আমার স্বামী আমাকে প্রচুর ভালবাসত। কিন্তু ওই যে একটা বয়সের গ্যাপ, ওই জন্য ও আমাকে বুঝত না।’তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের ৬-৭ মাস পর থেকে আমি বলা শুরু করি যে, কী, কোনো সমস্যা বা তোমার মেন্টালিটি এমন কেন?

তোমারই তো বউ আমি। তুমি পছন্দ করে আনসো, আমি যেহেতু আসি নাই। তাহলে তোমার কি কখনও ইচ্ছে করে না যে বউকে নিয়ে একটু থাকি বা বউকে একটু আলাদা করে সময় দেই। ও বলত যে না, বউকে আলাদা করে টাইম দেওয়ার কি আছে? মা আছে, আমি আছি, তুমি আছ- যা করব একসাথে করব। বউকে তো রাতে ভালবাসা যাবে, রাতে তো একসাথে ঘুমাই, তখনই ভালোবাসব। আমি বলতাম, বউকে মানুষ শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য ভালবাসার জন্য বিয়ে করে? বড় কোনো শখ, আহ্লাদ কিচ্ছু থাকে না?’

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় র‌্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। চট্টগ্রাম নগরীর র‌্যাব- ৭ এর নগরের বহদ্দারহাট ক্যাম্পে নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তার সুইসাইড নোটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলা আল্লাহর মেহমানদেরকে দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে সেবা দিয়ে আসছে।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলার পবিত্র হজ্ব প্রশিক্ষণ ও পুনর্মিলনী’২৫ অনুষ্ঠান কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সূচিত হজ্ব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান হজ্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার কপার চিমনি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।

কাফেলার সদস্য মাওলানা সরওয়ার আলমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন।

বিশেষ অতিথিদ্বয় যথাক্রমে বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ, গারাংগিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মহিউদ্দিন, বড় মিয়া মসজিদের খতীব মাওলানা আকতার হোসেন, হাসিমপুর মুকবুলিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা হারুন, হাচনদন্ডি মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশার, রসুলাবাদ মাদরাসার শিক্ষক শফিক আহমেদ, হাফেজ ক্বারী মিজানুর রহমান, হাবের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শরিয়ত উøাহ শহিদ, হাবের সেক্রেটারী আবদুল মালেক, বিমান ব্যবস্থাপক ফারুক আল মামুন, কান্ট্রি ম্যানেজার রিয়াজ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণ ও পুনর্মিলনী’২৫ অনুষ্ঠানে হজের নিয়মকানুন, আবাসন, পরিবহন, চিকিৎসা, কুরবানি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করা হয়। এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমেই হজযাত্রীরা সমৃদ্ধ হবেন এবং সফলভাবে হজ পালনে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহ আপনাদের সুযোগ দিয়েছেন হজ পালন করার, যা সবার ভাগ্যে জোটে না। আপনারা সৌভাগ্যবান। আপনারা নিজের, পরিবারের, চট্টগ্রাম শহর এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া করবেন।

প্রথমবার হজে যাওয়া নিয়ে অনেকের মনে ভয় থাকতে পারে, তবে এটি খুব সহজ ও আল্লাহর রহমতে পরিচালিত এক মহান ইবাদত। আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলার যারা আপনাদের গাইড করবেন, তারা অত্যন্ত আন্তরিক। প্রয়োজনীয় মাসায়েল ও দিকনির্দেশনা আপনাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দেবেন।

হজে¦র অনেক বড় শিক্ষা ধৈর্যের শিক্ষা। হজে খুব বেশি প্রয়োজন হয় ধৈর্যের। যেহেতু হজের সফর দীর্ঘ হয় এবং হজের সফরে এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যা অন্তরে রাগের জন্ম দেয়, তাই সবরের প্রয়োজন হয়।

হজ্ব এমন একটি আধ্যাত্মিক ইবাদত যাতে ইসলামের সকল ইবাদতের মূল নির্যাস নিহিত। হজ্ব কেন বড় ইবাদত এজন্য সুনির্দিষ্ট স্থান, সুনির্দিষ্ট সময়, সুনির্দিষ্ট পোষাক রয়েছে এবং একটি বিশেষ শ্রেণীর উপর ফরজ। এটি আল্লাহতায়ালা কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বশেষ ফরজ বিধান এবং এই ইবাদতের নামে আল কোরআনে একটি স্থায়ী সূরা বিদ্যমান।

হজের পর থেকে মানুষ নিজের সৎ-শুদ্ধ কিংবা পাপ-পঙ্কিলতাপূর্ণ অতীতের সমাপ্তি টেনে নতুন করে নিজের জীবনকে ঢেলে সাজায়। সে সুবাদে তার প্রতিটি কর্মকান্ডে লাগে নবজীবনের ছোঁয়া।

আল-মারচুচ হজ্ব কাফেলা আল্লাহর মেহমানদেরকে দীর্ঘ চব্বিশ বছর ধরে যে সেবা দিয়ে আসছে। সংগিত পরিবেশন করেন তাহিম উদ্দিন নিজাম।

শেষে বিশ্ব শান্তি, নতুন হাজিদের ও সকলের মঙ্গল-সুস্বাস্থ্য কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ