আজঃ শনিবার ১৪ জুন, ২০২৫

ঐতিহাসিক বিয়ের সাক্ষী হল চট্টগ্রাম!

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

:

বিয়ে আপনার খরচ আমাদের। এমন ঐতিহাসিক আয়োজনের সাক্ষী হলো চট্টগ্রাম। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এমন বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। এতে যাদের বিয়ে হয়েছে তাদের কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। সম্পূর্ণ খরচ বহণ করেছে অ্যাশ ফাউন্ডেশন।

এই বিয়ে করতে তাদের মানতে হয়েছে কিছু শর্ত। সেগুলো হল- কোনো ধরনের যৌতুক নেয়া যাবে না। একই সাথে অতিরিক্ত মোহরানা নেয়া যাবে না। পাশাপাশি ধার্যকৃত মোহরানা নগদে পরিশোধও করতে হবে। এমন প্রতিশ্রুতিতেই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ১৬ জন বর-কনে। বিয়ে পড়ালেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার শায়খ আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ।

আয়োজনের মধ্যে ছিল- বর ও কনে পক্ষের ১০০ জনের খাবার, বর-কনের সাজসজ্জ্বার খরচ, পাশাপাশি ছিল কক্সবাজারে হানিমুনের প্যাকেজ, ঘরের সামগ্রী, বিভিন্ন আইটেমের আট পদের খাবার। যার সম্পূর্ণ খরচ বহণ করা হয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। আরও রয়েছে বিয়ের পরে বর-কনের কাউন্সিলিং সেবা।

ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিতে পেরে বর-করে উভয়ই খুবই উচ্ছ্বসিত বলে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন- সমাজের যৌতুক প্রথা, দেনমোহরের নামে অতিরিক্ত অর্থ, আপ্যায়ন এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে এসে সহজ বিয়ের প্রচলন হওয়া। এতে তারা অত্যন্ত খুশি। নগরীর একটি কনভেশন সেন্টারে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

বিয়ে করতে আসা একজন বর জানান, শুকর আলহামদুলিল্লাহ। পার্কে বা যত্রতত্র প্রেম না করে বিয়ে করে ফেলেন। শিক্ষার্থী অবস্থায় ও বিয়ে করা যায়। আমি নিজেও একজন ছাত্র। এই ধরনের আয়োজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে গিয়ে সারাদেশে আয়োজন করা গেলে ভালো হয়।

অপর এক বর জানান, বিয়েকে সহজ করার জন্য আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন যে আয়োজনটি করেছে তার জন্য তাদেরকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই আয়োজনটি যৌতুকবিহীন এবং সম্পূর্ণ মোহরানা আদায়ের মাধ্যমে হয়েছে। এই আয়োজনের প্রচারণা সাড়া দেশে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা করি। সমাজে বিবাহ সহজ হয়ে উঠুক।

আয়োজনের বিষয়ে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে আমি আমার বিয়ের সময় দেখেছি আমার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই বলেছে যৌতুক, নয় তারা উপহার দিবে, সেই উপহার নিলে ক্ষতি কী? আমি এর সরাসরি ভুক্তভোগী। যৌতুক প্রথা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে। এটি নিছক কোন বিয়ে নয়, এটি একটি আন্দোলন। আমরা যৌতুক প্রথা চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে চাই। একজন বাবা তার মেয়েকে জন্ম দেয়ার পর থেকে লালন পালন করে বিয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় তার বাবার মুখে হাসি নেই। তার বাবা আমার আপনার কাছে বিয়ের জন্য টাকা খুঁজতে আসতেছে। দেশের কোন বাবা যৌতুকের দায়ে ঋণগ্রস্ত থাকবে না।

আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে আবারও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সামনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে রংপুর বিভাগে। ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে সেখানে থাকবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে আরও একজনের করোনা শনাক্ত।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত যুবক (২৭) নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।মঙ্গলবার বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। গত ৪ জুন, ৬ জুন ও ৯ জুনের করোনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এদের মধ্যে ২ জন নারী।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। সরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে কিটের কিছুটা সংকট রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনও সংকট নেই।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন জানান, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, চমেক হাসপাতাল, সিভাসু, বিআইটিআইডি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া চসিকের পক্ষ থেকে সার্ভিস সেন্টার চালু করা হবে। এই কেন্দ্র থেকে মানুষ করোনার বিষয়ে তথ্য পাবেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে ২০২০ সালে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দুই বছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন রোগী চিকিৎসা নেন, মারা যান ১ হাজার ৩৭০ জন। আইসিডিডিআরবির গবেষকরা করোনার নতুন ধরন- এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্তের কথা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামে ‘আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া নেই’ মন্তব্যকারী এনসিপি নেতাকে শোকজ

বিগত ১৬ বছরের একজন মাফিয়াকে হটাতে পারছি। আমাদের বুঝ দিয়ে আবার যদি কেউ মাফিয়া হতে চায়, তাদের বলবো আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া নেই’, চট্টগ্রামে এমন বক্তব্য দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতা জোবাইরুল আলম মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্যসচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই নেতাকে উদ্দেশ্য করে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ জুন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এনসিপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আপনার একটি আপত্তিকর ও অসাংগঠনিক বক্তব্য কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির নজরে এসেছে। জনপরিসরে এমন বক্তব্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও বেসরকারি কারা পরিদর্শক জোবাইরুল আলম মানিক বলেন,আমরা জুলাই অভ্যুত্থান সফল করেছি। বিগত ১৬-১৭ বছর কেউ এ নেতৃত্ব দিতে পারেনি। এটি একটি রাজনৈতিক বিপ্লব। কেউ যদি বলে যে শিক্ষার্থীরা তাদের কাজ শেষ করেছে, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাক। আমরা বলবো, বিগত ১৬ বছরের একজন মাফিয়াকে হটাতে পারছি। আমাদের বুঝ দিয়ে আবার যদি কেউ মাফিয়া হতে চায়, তাদের বলবো আমাদের চেয়ে বড় মাফিয়া নেই।

তিনি বলেন, কেউ যদি আবার জাবেদ হতে চায় (সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী), আমাদের ভোট কেড়ে নিতে চায়, তাহলে আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিম আকরামের মতো শহীদ হয়ে তাদের রুখে দেবো। এক্ষেত্রে সংখ্যা চিন্তা করার দরকার নেই। ১৮ জুলাই আমরা ২০-২৫ জন শাহ আমানত সেতু ব্লক করি। এমন কম সংখ্যক ছাত্র–জনতা নিয়ে যদি আমরা আনোয়ারা-কর্ণফুলী থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে নেতৃত্ব দিতে পারি তাহলে এখন কেন পারবো না।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ