আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গাজীপুরে জমি সংক্রান্ত হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সুরুজ্জামান রাসেল গাজীপুর প্রতিনিধি:

মহানগরীর হাবিবুল্ল্যাহ সরণীস্থ গাজীপুর সাংবাদিক পরিবার কল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্পত্তির মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, জয়দেবপুর থানার মির্জাপুর ইউনিয়নের ডগরী মৌজার এসএ- ৪৬৫, আরএস- ৪০৮ নং খতিয়ান, দাগ নং- ১১৫৪ ও ৩৯৪৫-এ ৫৩ শতাংশ জমির মালিক ও ভোগদখল কারী আমি। যাহা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, গাজীপুর এ প্রতিপক্ষ খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া বাদী হয়ে পিটিশন মোকদ্দমা

নং-৭১/২০২২ দায়ের করেছিলেন। তাহার দায়ের করা মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত সরেজমিনে প্রতিবেদনের জন্য সদর এসিল্যান্ড অফিসে পত্র প্রেরন করেন।  উক্ত বিষয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস স্বারক নং-মির্জা/ইউ/ভূ/অ/২০২৩-৩৪৩,তাং-১১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজীপুর সদর,গাজীপুর বরাবর জমি দখল বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তিতে যার স্বারক নং-৩১.৪১.৩৩৩০.০০.৯৯.০০১.২৩-১৮৮৬, তাং-২১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ উপজেলা ভূমি অফিস গাজীপুর সদর তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেন। ২৩/০৭/২০২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত প্রথম পক্ষ খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া বার বার সময় প্রার্থী গর হাজির হন। এতে মোকদ্দমা পরিচালনায় ১ম পক্ষের অনাগ্রহ প্রতীয়মান হয়। তাছাড়া দখলীয় প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় নালিশী ভূমিতে উভয় পক্ষই দখলে রয়েছেন। 

সারবিক বিবেচনায় মামলা (নথিজাত) মোকদ্দমাটি খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। স্থানীয় ভূমি অফিস এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নালিশী জমির ০.৭০ একর জমির মধ্যে ০.৫৩ একর জমিতে ২য় পক্ষ নজরুল ইসলাম (মোঃ আমির হোসেন গাজীর পক্ষে নিযুক্তীয় আম-মোক্তার) সেখানে মোঃ নজরুল ইসলামের দোকান ও ঘর বাড়ী এবং জমিতে বাউন্ডারী নির্মান করে ভোগ দখলে রয়েছেন। 

অপরদিকে নালিশী সম্পত্তিতে খবিরন্নেছা ওরফে সুফিয়া ০.১৭ একর জমিতে ভোগ দখলে রয়েছেন। তরপরেও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে পুরো জমি আত্মসাত করার লক্ষে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। 

সম্প্রতি দুটি পত্রিকায়, রেকর্ডপত্র নষ্ট হওয়ার সুযোগে জাল দলিল তৈরী করেছে প্রতারক চক্র ও বিধবার ২ কোটি টাকা মূল্যের জমিদখল চেষ্টার অভিযোগ, পৃথক পৃথক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটিতে আমার সম্পত্তি জরিয়ে মনগড়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সড়ক সংস্কারে জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে চসিক: মেয়র ডা. শাহাদাত

জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।

টেকসই জ্বালানির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন: নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের আহ্বান

টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবিতে আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN, এবং BWGED-এর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও থানাস্থ প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর দিক এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পথ। এলএনজি ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।”

প্রচারণা কর্মসূচিত সংহতি জানা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম সমন্বয়ক সৈয়দ আবুল হাসান আজামী, আইএসডিই বাংলাদেশের অফিসার রাইসুল ইসলাম, ক্যাব নেতা ও সমাজসেবক জনাব জানে আলম, প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. আবু ইউনুস

বক্তব্যে তারা বলেন: নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে সৌর ও বায়ু শক্তির প্রসার ঘটাতে হবে।

এলএনজি আমদানির ফলে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন বাড়ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করছে। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ালে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধান হবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

শিক্ষার্থী ও তরুনরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন: “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ!”

“এলএনজি আমদানি বন্ধ কর, নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমর্থন কর!” “সবুজ শক্তি, সবুজ ভবিষ্যৎ!”মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ একটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাক। আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই।”

আয়োজক আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN এবং BWGED জানিয়েছে, “আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে বিস্তৃত করব।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ