আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

অন্তর আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে স্রষ্টার আরাধনার পাশাপাশি সৃষ্টির সেবায় অনুপ্রাণিত করাই আওলিয়াগনের আদর্শ – শাহসূফী শহীদুল্লাহ্ ফারুকী স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে : “নবী-রাসূলের পর সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে সুমহান দ্বায়িত্ব পালন করেন আওলিয়াকেরামগন। যুগে যুগে আওলিয়াকেরামগণ সাধারণ মানুষকে নফস্ দমন করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে অনুপ্রাণিত করেন। অন্তর আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে স্রষ্টার আরাধনার পাশাপাশি সৃষ্টির সেবায় অনুপ্রাণিত করায় আওলিয়াগণের আদর্শ। আওলিয়াগণের মহান এই আদর্শ সমাজে বাস্তবায়িত হলে, সমাজ হবে শান্ত ও শৃঙ্খল।” ৭ই মাঘ, ২১ জানুয়ারি বোয়ালখালীর ঐতিহ্যবাহী চরণদ্বীপ দরবার শরীফের প্রাণপুরুষ শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী চরণদ্বীপি (ক.) এর ১৩৩তম ওরশ শরীফে চরণদ্বীপ দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত হযরতুলহাজ্ব শাহসূফী শেখ আবু মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ফারুকী (ম.) ওরশ শরীফে আগত ভক্ত আশেকানের উদ্দেশ্য কথাগুলো বলেন। প্রতিবছরের ন্যায় চরণদ্বীপ দরবার শরীফের এইবারের ওরশে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখো ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। খতমে কুরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ, কিয়াম, জিকির আজকার ও দু’আ মুনাজাতের মাধ্যমে ২২ জানুয়ারি বাদে ফজর ওরশ শরীফ সমাপ্ত হয়। গাউছিয়া আহমদিয়া রহমানিয়া সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় ওরশ শরীফের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন চরণদ্বীপ দরবার শরীফের নায়েব-এ মুন্তাজেম হযরতুল আল্লামা শাহজাদা শেখ আবু মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ফারুকী ও শাহজাদা শেখ আবু মুহাম্মদ সানাউল্লাহ ফারুকী (ম.)।

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

“নবী-রাসূলের পর সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে সুমহান দ্বায়িত্ব পালন করেন আওলিয়াকেরামগন। যুগে যুগে আওলিয়াকেরামগণ সাধারণ মানুষকে নফস্ দমন করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলে অনুপ্রাণিত করেন। অন্তর আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে স্রষ্টার আরাধনার পাশাপাশি সৃষ্টির সেবায় অনুপ্রাণিত করায় আওলিয়াগণের আদর্শ। আওলিয়াগণের মহান এই আদর্শ সমাজে বাস্তবায়িত হলে, সমাজ হবে শান্ত ও

শৃঙ্খল।” ৭ই মাঘ, ২১ জানুয়ারি বোয়ালখালীর ঐতিহ্যবাহী চরণদ্বীপ দরবার শরীফের প্রাণপুরুষ শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা শাহসূফী শেখ অছিয়র রহমান আল ফারুকী চরণদ্বীপি (ক.) এর ১৩৩তম ওরশ শরীফে চরণদ্বীপ দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত হযরতুলহাজ্ব শাহসূফী শেখ আবু মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ফারুকী (ম.) ওরশ শরীফে আগত ভক্ত আশেকানের উদ্দেশ্য কথাগুলো বলেন। প্রতিবছরের ন্যায় চরণদ্বীপ দরবার শরীফের এইবারের ওরশে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখো ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খতমে কুরআন, খতমে গাউসিয়া, মিলাদ, কিয়াম, জিকির আজকার ও দু’আ মুনাজাতের মাধ্যমে ২২ জানুয়ারি বাদে ফজর ওরশ শরীফ সমাপ্ত হয়। গাউছিয়া আহমদিয়া রহমানিয়া সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় ওরশ শরীফের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন চরণদ্বীপ দরবার শরীফের নায়েব-এ মুন্তাজেম হযরতুল আল্লামা শাহজাদা শেখ আবু মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ফারুকী ও শাহজাদা শেখ আবু মুহাম্মদ সানাউল্লাহ ফারুকী (ম.)।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত।

হাটহাজারী থানার এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় একশত প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সংসদের সভাপতি বিধান বনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম রমণী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পম্পা বসু, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পংকজ মিত্র উজ্জ্বল, পুতুল দে, তাপস দে, সুমিত্র সেন রাজু, বিকাশ চৌধুরী, বিকাশ বণিক, তুষার দে, সুকান্ত ভৌমিক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই সংসদ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি অনুভব, একটি স্মৃতি, এবং আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যখন এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন কিছু স্বপ্নবান মানুষ এই বিশ্বাসে এগিয়ে এসেছিলেন যে, ব্রজধামের স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে, নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদ তার সেই আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে এক চুলও সরে আসেনি। নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, লোকজ সংস্কৃতি সবকিছুতেই আমাদের সংসদ অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই পথচলা সহজ ছিল না, তবে সদস্যদের নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও একাগ্রতার ফলে আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমরা চাই, আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক পরিবার আরও বিস্তৃত হোক, আরও প্রাণবন্ত হোক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুষার সেন, কাজল দে, নিলয় দে, মুন্না চৌধুরী, প্রণাম দে, সুকান্ত ভৌমিক, অন্তু পাল, নিশু পাল, অন্তু সেন, প্রান্ত চৌধুরী, শান্ত চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, লিংকন দে, মুগ্ধ দাশ, সিপ্ত দে, বাবু দে, অর্নব বনিক, প্রশান্ত মজুমদার, বিজন শীল, অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী তুর্না দে তৃষা, তৃষা চৌধুরী, রিমু চৌধুরী, শান্তনা দে, স্বীকৃতি বনিক, দিয়া দে, শ্রেয়া মজুমদার প্রমূখ।

যেখানে উম্মাহর দেহে যন্ত্রণা, সেখানে ফিলিস্তিন এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড।

“মুমিনগণ এক দেহের মতো—যদি দেহের এক অঙ্গ ব্যথিত হয়, গোটা শরীর তার ব্যথায় কাঁপে।” — (হাদীস, সহীহ মুসলিম।ফিলিস্তিন—পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্র এক ভূখণ্ড। অথচ ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী অশ্রুগুচ্ছে নাম লিখিয়ে রেখেছে বহু শতাব্দী ধরে। গাজার ধূলোমলিন বাতাসে আজ আর বালুকণার ঘ্রাণ নেই, সেখানে শুধু বারুদের গন্ধ। আকাশে প্রজাপতির বদলে ড্রোন, শিশুর খেলনার স্থানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ। ফিলিস্তিন আজ একটি জাতির নয়, বরং গোটা উম্মাহর হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক দীর্ঘতর আর্তনাদ।

প্রতিদিন সূর্য ওঠে, কিন্তু গাজার মানুষ দেখে না আলো—দেখে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বজনের হাত। প্রতিটি ভোর যেন এক নতুন শোকাবহ অধ্যায়। ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে, আবার ঘুম পাড়ায় কান্নার চাপে। মৃত শিশুদের জন্য কাঁদে পৃথিবীর বিবেক, আর মুসলিম উম্মাহর মাঝে জন্ম নেয় এক প্রশ্ন—আমরা কী এখনো এক দেহ, নাকি শুধুই নামের উম্মাহ?

রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা যদি এক দেহের মতো না হও, তবে তোমাদের ঈমান অপূর্ণ।” কিন্তু আজ ফিলিস্তিন যখন পুড়ে যায়, আমরা দাঁড়িয়ে থাকি কেবল নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থের পাল্লায় ফিলিস্তিনকে মাপে। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো—তারা হয়তো সম্মেলন ডাকে, বিবৃতি দেয়, দোয়া করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শিশুরা কি তাতে বাঁচে?

আমরা কি ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আহারে ব্যস্ত, নাকি অন্তরে তাদের বেদনা বয়ে চলেছি? যদি তারা আমাদের ভাই হয়, তবে কেন আমাদের প্রতিবাদ এত মৃদু? কেন আমাদের জবান এত জড়তা পূর্ণ, কেন আমাদের হৃদয় এত নির্লিপ্ত?

এই কলাম কোনো সাময়িক রাজনীতি বা সংবাদ বিশ্লেষণ নয়—এ এক অভ্যন্তরীণ আত্মপ্রকাশ। এক লেখকের নয়, এক মুসলিমের হাহাকার। ফিলিস্তিনকে আজ দয়ায় নয়, দায়িত্বে দেখতে হবে। এই ভূমি আমাদের কেবল দুঃখ দেয় না—এ আমাদের ঈমানের আয়না। সেখানে দেখা যায়, আমরা কতটা মুসলিম, কতটা মানুষ।

গাজা যখন পোড়ে, তখন মক্কার বাতাসও কাঁদে।
জেরুজালেম যখন কাঁদে, তখন মদিনার মসজিদও শিউরে ওঠে।
কিন্তু আমরা কি কান পেতে শুনি সেই কান্না?

‘এক উম্মাহ, এক দেহ’—এই পবিত্র বাণী যেন আর কেবল হাদীসের পাতায় না থাকে।
এই বাণী হোক হৃদয়ের স্পন্দন। যেন ফিলিস্তিনের কান্না আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়,
জেগে তোলে আমাদের বিশ্বাস, উদ্দীপনা, প্রতিবাদ—আর সর্বোপরি, ভালোবাসা।

কারণ ফিলিস্তিন এখন শুধু নির্যাতনের নাম নয়, এ এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড, যা উম্মাহর বুকে প্রতিনিয়ত ধুকপুক করে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ