আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুদকের মামলা।। চার্জসিট দাখিল।

চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্মচারির ৫ তলা বাড়ির রহস্য

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম ওয়াসার গাড়ি চালক মো. তাজুল ইসলাম।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ওয়াসার গাড়ি চালক (বরখাস্তকৃত) তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দ্বায়ের। তার এতো সম্পদ অর্জনে আয়ের উৎস নেই, অথচ রয়েছে ৫ তলা বাড়িসহ অর্ধ কোটিরও বেশি টাকার সম্পদ। স্বামীর অবৈধ আয় দিয়েই খাইরুন্নেছা বেগম নামের এক নারী বিপুল পরিমাণের এ সম্পদ গড়েছেন। তার স্বামী হচ্ছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার গাড়ি চালক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) মো. তাজুল ইসলাম।
২২ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) এই দম্পতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন। দাখিলকৃত এ চার্জশিটেই উঠে আসে খাইরুন্নেছা বেগমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য। ২০২২ সালের ৬ মার্চ একই কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম মোড়ল বাদী হয়ে মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাইরুন্নেছা বেগমের বিরুদ্ধে যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে দুদক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন দম্পতির বিরুদ্ধে অর্ধকোটিরও বেশি টাকার সম্পদ অর্জন সম্পর্কিত উক্ত চার্জশিট দাখিল করেন। যদিও মামলার এজাহারে ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আদালতসূত্র জানায়, মো. তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদকও। ১৯৮৯ সালে দুই হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় চালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। দুদকের দাখিলকৃত চার্জশিটে বলা হয়, চট্টগ্রাম ওয়াসার গাড়ি চালক মো. তাজুলের স্ত্রীর নামে মহানগরীর রৌফাবাদে ৫ তলা বাড়ি রয়েছে। ২০০২ সালে জমি ক্রয় এবং পরে প্রায় ৩৯ লাখ টাকা খরচ করে সেখানে গড়ে তোলা হয় উক্ত বাড়ি। কিন্তু সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ২৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মাণের কথা উল্লেখ করা হয়। চার্জশিটে বলা হয়, পোল্ট্রি খামার ব্যবসা রয়েছে বলা হলেও খাইরুন্নেছা বেগমের কোন ব্যবসা নেই। তিনি শুধুই একজন গৃহিনী। দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সবমিলে তাজুলের স্ত্রীর ৬০ লাখ টাকার মতো অবৈধ সম্পদ রয়েছে। যা তিনি স্বামীর অবৈধ আয় দিয়ে অর্জন করেছেন।
আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওয়াসার কর্মচারীদের তিনি তটস্থ রাখতেন বলেও অভিযোগ আছে। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, নিয়োগ–বাণিজ্য, তদবির, পদোন্নতি ও বদলিতে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তাজুল ইসলাম অর্থ আয় করেছেন। চাকরিজীবনের শুরু থেকেই তিনি এসবে জড়িয়ে যান। পরে অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে জায়গা কিনে দুই দশক আগে বাড়ি করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ