আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম, চালের চড়া দরে নিম্ন-মধ্য আয়ের ক্রেতাদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বন্দরনগরী চট্টগ্রামেদাম কিছুটা বেড়েছে আদা-রসুনের। আর চালের চড়া দর এখনও ভোগাচ্ছে নিম্ন-মধ্য আয়ের ক্রেতাদের। একমাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাপহীন সবজির বাজার এখনও উত্তাপহীনই আছে। বরং কিছু শাকসবজির দাম আরও কমেছে। যেমন- আলু, পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও আসকার দিঘীর পাড় কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমেছে। মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দামও কেজিতে অন্তঃত ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দামও কমে ২০ থেকে ৩০ টাকায় নেমেছে। মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. মনির বলেন, সবজি যেভাবে আসছে, আরও মাসখানেক দাম কম থাকবে বলে মনে হচ্ছে।এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি দর এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার নিম্নমুখী হয়েছে। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে অন্তঃত ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।

এছাড়া মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা ও বোতলজাত ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সরেজমিনে আরো দেখা গেছে, চালের দর এখনও বাড়তি আছে। চট্টগ্রামে প্রতি কেজি পাইজাম আতপ ৭৫ টাকা, কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ৭০ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, জিরাশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে বাজারে মাছের মধ্যে লইট্যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের দামে তেমন হেরফের হয়নি।

মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গরু ও মহিষ কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাংসের দামও গত সপ্তাহের মতোই আছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতিডজন ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চবি ছাত্রদল নেতার জানাজা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের জানাজা চবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।আরিফ চবি ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীর শিকদার পাড়ায়। তিনি মোয়াজ্জেম বাড়ির মো. হারুনের ছেলে। আরিফের জানাজার জন্য সকালে তার মরদেহবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ চবির সভাপতি ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম,

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল ফোরকান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাফরুল্লাহ তালুকদার, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. আনোয়ার হোসেন এবং চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জাহিদুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়সহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি, জিএস সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ অন্যান্য সম্পাদকবৃন্দ।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন চবি ছাত্রদলের এই নেতা। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আরিফের চাচা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমরান চৌধুরী। গুরুতর আহত আরিফকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ৯ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় সাংগঠনিক শূন্যতা তৈরি হলো। তার মৃত্যু আমাদের জন্য গভীর বেদনার। তার মতো একজন যোগ্য নেতাকে হারিয়ে আজ আমরা অসহায়। তার মতো তুখোড় মেধাবী শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ছিল। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ