আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনায় ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার হিরণপুর ও জিগাতলা এলাকায় দুইটি বসত বাড়িতে সংঘঠিত দুর্ধর্ষ ক্লুলেস ডাকাতির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অপরাধে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নেত্রকোনা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- বগুড়ার শিবগঞ্জ থানাধীন ভাটরা গ্রামের মৃত ছামছদ্দিনের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ (৩৭)। আরেকজন সাতক্ষীরা জেলার সদর থানাধীন বেরবাড়ী গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৩)।

আন্ত:জেলা ডাকাত দলের গ্রেফতারকৃত দুজনকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ও মতিঝিল এই দুই থানা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নেত্রকোনা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (পূর্ব) সায়েদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপারের মুখপাত্র অতিক্তি পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. লুৎফর রহমান।

তিনি জানান, গত ২১ ডিসেম্বর পূর্বধলা থানাধীন জিগাতলা ও হিরণপুর গ্রামে দুইটি বসত বাড়িতে জানালার গ্রীল কেটে অজ্ঞাতনামা আট-নয় ডাকাত দেশীয় অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। বাড়ির সকল সদস্যদের হাত-পা বেধে ওয়্যারড্রপ, আলমিরা, ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের ভেতর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবইল ফোনসহ আনুমানিক ৫৯ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।

তিনি আরো জানান, ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দুজন পূর্বধলায় ডাকাতি ঘটনা সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার এবং মামলার তদেন্তে সহায়ক অন্যান্য তথ্যাদি প্রকাশ করেছে। তাদের কথা মতে উভয় ডাকাতি ঘটনার কাজে ব্যবহৃত দুইটি করে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও কাঠের হাতলযুক্ত দেশীয় দা, একটি করে রিবার কাটার, স্টিল কাটার, পাইপ কাটার, সনি ব্র্যান্ডের ডিজিটাল ক্যামেরা, রাউটার, মাংকী টুপি ও কাঁধ ব্যাগ এবং তিনটি করে বাটন ফোন ও রেঞ্চ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডিবি’র আভিযানিক দলটি।

ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি কামরুল ইসলাম নিজের দোষ স্বীকার করে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পূর্বধলা উপজেলায় উভয় ডাকাতির ঘটনায় পলাতক অপর আসামীদের গ্রেফতারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ