আজঃ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক

নিজাম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের শোক

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাবেক ঢাকা অফিস প্রধান, বিএনএর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন আহমদ আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ভোর পাঁচটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

তাঁর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী ব্যাবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং শৃঙ্খলা উপকমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্য সামশুল হক হায়দরী যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন । বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামউদ্দিন আহমদ ছিলেন পেশাদার সৎ সাংবাদিক এবং বর্তমানের আধুনিক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্যতম রূপকার। অত্যন্ত বন্ধু বৎসল, সাহসী ও সতীর্থদের প্রতি সহমর্মিতাসম্পন্ন নিজামউদ্দিনের মত সাংবাদিক বর্তমানে বিরল। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্যাতিত একজন মুক্তি সংগ্রামী।

বিবৃতিতে মরহুম সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মদনে লেখক কবি ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত

নেত্রকোনা মদন উপজেলায় মদন পৌর সদরে আল মদিনা মার্কেট কবি লেখক ও সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আড্ডায় মধ্যমণি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক কবি প্রাবন্ধিক বাবু রাখাল বিশ্বাস। এ সময় সাহিত্য আড্ডাটি উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক মোঃ শহীদুল ইসলাম শফিক। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক আজহারুল ইসলাম হিরু সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় চারণকবি লেখক মুকলেছ উদ্দিন,মহানবীর উপর মহাকাব্য রচয়িতা এমএ লতিফ তালুকদার,লেখক,কবি তালুকদার সারোয়ার

আরেফিন,কবি ও সাংবাদিক মোশারফ হোসেন প্রমুখ। প্রায় ৩ ঘন্টা কবি সাহিত্যিকের আড্ডায় আমাদের লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে পাক্ষিক সাহিত্য সভা করা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরিশেষে সাহিত্য আড্ডার মধ্যমণি বাবু রাখাল বিশ্বাস বলেন,সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা বর্তমান প্রজন্মসহ সবার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হোক তিনি এই প্রত্যাশা করেন।

চালের বাজারে দরপতন, বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাইকারিতে চালের দর নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তবে খুচরায় এখনও তেমন প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে বলে আশা বিক্রেতাদের। অন্যদিকে বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম। ডিমের দাম কমেছে, বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। তবে শবে বরাতকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় গরুর মাংসের দর বাড়তি থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। এবার গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানে চাহিদা কমে যাওয়া, বিপুল পরিমাণ আমদানি ও সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির খবরে দরপতন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চালের আড়ত, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।এ ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্য, শাকসবজির দাম আগের মতোই আছে।

শাকসবজি বরাবরের মতো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। মাছের কিছুটা চড়া দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাহাড়তলীর আড়তগুলো ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা, বেতি আতপ, নাজিরশাইল, পাইজাম চালে সয়লাব। প্রতিকেজি বেতি আতপ তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। ৩৮ টাকার সিদ্ধ নাজিরশাইল ৩৫ থেকে ৩৬ আর ৩০ টাকার পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।

তবে দেশি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও কাটারি আতপের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব চালের দাম তেমন কমেনি। তবে না কমলেও আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন পর রমজান মাস শুরু হবে। তখন চালের চাহিদা কমে যাবে। ঈদের পরেই শুরু হবে বোরো মৌসুম। আবার ভারত, মায়ানমার থেকে যে পরিমাণ চাল এসেছে, আড়তে এখন প্রচুর মজুত আছে। টিসিবি বলছে, তারা ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি করবে। সব মিলিয়ে চালের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে আরও কমবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা মুদি দোকান হারুন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুচরায় কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। দুইমাস আগে পাইকারিতে বস্তায় যেখাতে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছিল, সেখানে কমেছে মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এটা আরও কমলে খুচরায় প্রভাব পড়বে।
তবে নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার এক দোকানি বলেন, খুচরায় চাল আমরা এখনও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ২৫ কেজি কিংবা ৫০ কেজির বস্তায় ৪০-৫০ টাকা কমেছে। কিন্তু গাড়ি ভাড়ায় পোষাচ্ছে না। আরও কমলে তখন গড়পরতা হিসেবে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছোলা ১২০ থেকে ১৩০ কিংবা ১৩৫ টাকার মধ্যে ছিল বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন, মসুর ডালের দাম কেজিতে অন্তঃত ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ছোট মুগ ডাল কেজিতে বেড়েছে অন্তঃত ২৫ টাকা।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি আছে। খোলা চিনির মধ্যে সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে খুচরা পর্যায়ে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রমজানের আরেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খেজুর।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্যাকেটজাত খেজুরের মধ্যে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দাম কমেছে ৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের দামও প্রতি ডজনে অন্তঃত ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম আগের দরে প্রতিডজন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মুরগির দর গত সপ্তাহের মতোই আছে।

শবে বরাতের আগেরদিন গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার দাম বাড়েনি। তবে খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।এছাড়া বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যেই আছে। বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ