আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

রাজশাহীতে কৃষক পাচ্ছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীতে কৃষক পাচ্ছে আধুনিক সেচ ব্যবস্থা।
দেড় যুগ আগেও এসব জেলায় সেচের অভাবে অনাবাদি পড়ে থাকত শত শত হেক্টর জমি। শুষ্ক মৌসুমে ফসলি জমির মাটি ফেটে যেত। শুধু বর্ষাকালেই কৃষকেরা এক মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারতেন। কিন্তু বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প চালুর পর সেই দৃশ্য পাল্টে গেছে।

বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকায় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন কৃষকেরা। ফলে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকছে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ ও আলুসহ নানা ধরনের ফসলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম চালু রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন এবং নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের পানি সাশ্রয়ী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক গভীর নলকূপে পানি উঠছে না। প্রায় ২০০টি ডিপ টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে গেছে।

বিএমডিএর সেচ উইংয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, এসব এলাকায় নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

বরেন্দ্র অঞ্চলে ৯ হাজার ১০০টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ কৃষকের ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। কৃষকেরা এই উদ্যোগকে কৃষি উৎপাদনের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বর্ষায় তলিয়ে যেতে পারে চন্দনশহর, গোপালপুর

রাজশাহীর চারঘাট এলাকার চন্দনশহর, গোপালপুর বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় নদী ভাঙ্গনের ফলে নদী রক্ষা বাধ হুমকির মধ্যে পড়েছে। যদি বাধটি ভেঙ্গে যায় তাহলে এলাকাটি বিলীন হয়ে যাবে। বিগত দিনে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়, আর অকারণে, অসময়ে নদীর ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। বাধ নিয়ন্ত্রন রক্ষা না করা গেলে উপজেলার চন্দনশহর, গোপালপুরসহ নদীতীরবর্তী গ্রামগুলো বন্যার হুমকির মুখে পড়বে । দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এ অবস্থায় নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষি জমিগুলো হারানোর আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

চারঘাট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গোপালপুর গ্রাম ও চন্দনশহর সংলগ্ন প্রায় ১ কিমি দীর্ঘ এ নদীতীর এর প্রায় এক’শ ফুট ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পাশাপাশি ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে আরও এক’শ ফুট এলাকা। ফাটলগুলো এর বড় আকাড়ে দেখা দিয়েছে যে কারনে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৩ কিমি জুড়ে কয়েক’শ বিঘা কৃষি জমি। পানি কম থাকলেও প্রতিনিয়ত ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সুষ্ক মৌসুমে পদ্মার ভাঙ্গন এভাবে হলে না জানি বর্ষা মৌসুমে কত ভয়ঙ্কর রুপ নেয় তা দেখার আগে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন চন্দনশহরের বাসিন্দা রফিকল ইসলাম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজশাহীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন যত দ্রুত সম্ভব সরেজমিনে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মহিলা কলেজ অধ্যক্ষের বাণীতে শেখ হাসিনা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন ৬ মাসের বেশি সময় হলো। কিন্তু রাজশাহী সরকারি মহিলা অধ্যক্ষের বাণীতে শেখ হাসিনাকে এখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লেখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন—এমন কথাও রয়েছে বাণীতে।

কলেজের ওয়েবসাইটে এমন বাণী ঝুলতে দেখা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই কলেজের কয়েকজন শিক্ষক। তারা বলছেন, এটা ভুল নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখা একজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। শুধু এটা নয় সম্প্রতি অধিদপ্তরের এমন একটি চিঠি এসেছে। সেখানে পতিত সরকারের সময়ের থাকা কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একটি কলেজের কর্মকর্তারা অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন, কে আছেন সেটি যদি না জানেন তাহলে কীভাবে কলেজ চালাবেন!

জানা গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পান সারওয়ার জাহান। তিনি যোগদান করার পর কলেজের ওয়েবাসইটে একটি বাণী আপলোড করেন। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী শিক্ষার গুরুত্ব অবধান করে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৭, ১৯, ২৮, ২৯ সহ বিভিন্ন ধারায় নারীর শিক্ষা, চাকরি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বাধ্যবাধকতা সন্নিবেশ করে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপকভাবে
কাজ করে যাচ্ছেন’।

বাণীতে বলা হয়, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষানগরী রাজশাহীর নারী শিক্ষা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি অনন্য পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এতদঅঞ্চলে নারী শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের রয়েছে অসামান্য অবদান।

এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষালাভ করে অনেক শিক্ষার্থী সমাজের বিভিন্ন স্তরে উচ্চ আসন করে নিয়েছেন। বর্তমানে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক পাস ও সম্মান এবং মাস্টার্স শ্রেণিতে ৮ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সারওয়ার জাহান বলেন, এই বাণী আমিই দিইনি। কলেজের ওয়েবসাইটে কীভাবে গেল আগামীকাল কলেজের গিয়ে দেখতে হবে।

এদিকে অধ্যক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পর থেকে ওয়েবসাইটে ওই বাণী আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ