আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

দলের হাইকমান্ডের আস্থা ইদ্রিস মিয়া- হেলাল- আব্বাসে

:

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবত কমিটি ছাড়া স্থবির হয়ে যাওয়া  চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নতুন এই কমিটিকে স্বাগত জানাচ্ছেন। 

দীর্ঘ পাঁচ মাস নেতৃত্বহীন থাকার পর অবশেষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলো। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে পটিয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান  আলহাজ্ব ইদ্রীস মিয়াকে আহবায়ক ও লায়ন মো. হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।  আজ রোববার ( ২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ সদস্যের আহবায়ক  কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা ৬ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটিতেই বন্দি ছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির রাজনীতি। বিপরীতে জেলার মতো ৮টি উপজেলা ও পৌরসভারও চলছে আহ্বায়ক কমিটি নির্ভর বিএনপির রাজনীতি। এতে দলটির চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমে হ য ব র ল অবস্থা সৃস্টি হয়।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট এলাকার একটি ওয়্যারহাউস থেকে একে একে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বের হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। আলোচিত-সমালোচিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়িগুলো পার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ জেলা বিএনপির তখনকার তিন নেতার বিরুদ্ধে। তাঁরা হলেন আগের কমিটির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক ও সদস্য মামুন মিয়া। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ওই তিন নেতাকে দল থেকে শোকজ করা হয়। পরে তাঁদের তিনজনের প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অভিযুক্ত ওই নেতাদের কাউকে পদে রাখা হয়নি।

সংকটে দলের হাইকমান্ড আস্থা রেখেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ইদ্রিস মিয়ার উপর।  পটিয়া উপজেলা পরিষদের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইদ্রিস মিয়াকে। আহবায়ক হিসেবে দলের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাকে বেছে নিয়েছে দলটি। এছাড়া লায়ন হেলাল উদ্দিন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ছিলেন। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া লায়ন হেলালকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে। অবশ্য এরআগেই তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিলো।

জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আলী আব্বাসকে পুনরায়  সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লেয়াকত আলীকে আবারও যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে।  এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি প্রয়াত জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চেয়েছেন নতুন নেতৃত্বে এমন রাজনৈতিক ব্যক্তি আসুক যারা সত্যিকারের সাচ্চা শহীদ জিয়ার আদর্শের কর্মী। এবং যারা বিগত ১৭ বছরে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। নতুন আহবায়ক কমিটিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা বিগত দিনের আন্দোলন  সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তৃণমূলের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে নতুন আহবায়ক কমিটিতে। ‘

নতুন আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃত্বের প্রশ্নে যে উত্তেজনা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো সেটি দুর হলো। এই কমিটি দলের ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেসব দাবি করছেন, তা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ‘

দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের হাইকমান্ড যাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, তারা কীভাবে দলের সংকট মোকাবেলা করবে, তা আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। তৃণমূলের প্রত্যাশা, নতুন নেতৃত্ব দলের জন্য সঠিক পথ নির্দেশ করবে এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের রাজনীতিতে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করবে।

প্রসঙ্গত,  দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে এস আলম গ্রুপের গাড়ি সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত করা হয়েছিলো দক্ষিণ  জেলা বিএনপির ওই সময়ের আহবায়ক কমিটি। এছাড়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৯ সালে। সে কমিটিতে জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং শেখ মো. মহিউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। এরপর ২০১১ সালে পুনর্গঠন করা হয় এবং জাফরুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং গাজী শাহজাহান জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই কমিটি দীর্ঘ আট বছর পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিলুপ্ত করেন কেন্দ্রীয় কমিটি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাবিতে বিদ্যুত স্পৃষ্ঠে মৃত্যু – ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুত স্পৃষ্টে মৃত্যু ১ জন ।
শুক্রবার বিকেলে মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।রিমন নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিপাইপাড়ার রাজেন ঘোষ ছেলে।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) মুখপাত্র ডা. শংকর দ্য ডেইলি স্টারকে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রিমন পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। বিকেলে ক্যাম্পাসের একটি জুসের দোকানে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এসেছিলেন। পোলে ওঠার কিছুক্ষণ পর তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঝুলে থাকেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পাশের ভবনের গার্ড এসে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলে রিমন নিচে পড়ে যান। তখন দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মমতাজ উদ্দিন আহমেদ কলা ভবনের গার্ড জানান, বিদ্যুতের কাজ করতে তাদের মানা করেছিলেন তিনি।
‘তাদের বলেছিলাম, আজ শুক্রবার, অফিস বন্ধ আছে। যেদিন খোলা থাকবে, সেদিন সংযোগ নেবেন। কিন্তু তারা কথা শোনেননি। কিছুক্ষণ পরই দেখতে পাই, যিনি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এসেছেন, তিনি বিদ্যুৎ পোলের উপরে তারের সঙ্গে ঝুলে আছেন। পাশেই একটি মেইন লাইনের সুইচ ছিল৷ আমি দ্রুত গিয়ে সেটি বন্ধ করি। তখন ছেলেটি উপর থেকে নিচে পড়ে যায়। তারপর কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়,’ বলেন ‍তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনা চসম্পর্কে জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশকে জানিয়েছি। জানতে পেরেছি, বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে এসেছিলেন ওই যুবক। ইলেকট্রিক শক লাগার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’

ডা. শংকর বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎপৃষ্ট এক ইলেকট্রিশিয়ানকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এখানে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।’মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে।’

মার্চে সড়ক ৫৯৩ দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ——– যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বিগত মার্চে দেশের গণমাধ্যমে ৫৯৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত, ১২৪৬ জন আহতের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই মাসে রেলপথে ৪০ টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত, ০৬ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ০৮ টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত, ০১ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৪১ টি দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন নিহত এবং ১২৫৩ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ২২৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত, ২০৮ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮.২৭ শতাংশ, নিহতের ৪১.০১ শতাংশ ও আহতের ১৬.৬৯ শতাংশ। এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১৪৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৬৪ জন আহত হয়েছে, সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে ৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৭ জন চালক, ৯৯ জন পথচারী, ৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮১ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ১১৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, ০১ জন আইনজীবি, ০১ জন সাংবাদিক, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- ০৩ জন পুলিশ সদস্য, ০৩ সেনা বাহিনী সদস্য, ০২ জন বিজিবি সদস্য, ০১ জন আইনজীবি, ০১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১২১ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৭ জন পথচারী, ৭৪ জন নারী, ৫২ জন শিশু, ৫১ জন শিক্ষার্থী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৪ জন শিক্ষক, ও ০৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৯১০ টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯.৭৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩.৭৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১.৮৬ শতাংশ বাস, ১৩.৯৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও ইজিবাইক, ৫.১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ১০.০০ শতাংশ নছিমন করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫.৪৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫১.২৬ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২.৫৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭.২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ০.১৬ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে, ৭.৯২ শতাংশ বিবিধ কারনে, এবং ০.৮৪ ট্রোন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৪.২৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩.৪৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৭.২৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৫৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৬৭ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.৮৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ :—-

১. ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি।
২. মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল।
৩. সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা । রাতের বেলায় ফক লাইটের অবাধ ব্যবহার।
৪. সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি।
৫. ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।
৬. উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি।
৭. অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশসমূহ :—-

১. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পুর্নাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা।
২.স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানী ও নিবন্ধন বন্ধ করা।
৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান।
৪. রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।
৫. সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা সুনিশ্চিত করা।
৬. রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা।
৭. ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা।
৮. দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরী।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ