আজঃ সোমবার ২৩ জুন, ২০২৫

ইন্টারনেটে সুরক্ষা:সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ও ব্যবসায়িক সুরক্ষা কৌশল

সানজিদা ইমরান ঝুমু আইন বিভাগ,প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সিকিউরিটি যেমন একটি আতঙ্কের নাম তেমনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময় কাটানো, অনলাইন কেনাকাটা করা, ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে আমরা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমাদের

কোনো না কোনোভাবে বিপদের সম্মুখীন হতে হয় যেমন:ছোট আকারের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পেমেন্ট সিস্টেম বা গ্রাহক তথ্য সুরক্ষিত না হলে,অপ্রতিষ্ঠিত ড্রপ শিপিং ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্সারের পক্ষ থেকে প্রতারণা, সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং,ভুল তথ্য প্রচার বা প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্টার্টআপ ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট ফান্ডিং না পাওয়া ইত্যাদি।সাইবার অপরাধের ফলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের

বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভয়াবহ ও আর্থিক পরিণতি ঘটতে পারে। একটি সফল সাইবার আক্রমণের ফলে অর্থ, মেধাসত্ত্ব এবং গ্রাহকের ডাটা হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে যা পুনরুদ্ধার করা বেশ ব্যয়বহুল।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪,”এর ধারা ২৪ এর উপধারা ১ এ বলা হয়েছে,”কোন ব্যাংক বীম বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হইতে কোন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে যদি ই-ট্রানজেকশন করেন,

সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময়, জারিকৃত কোন ই-ট্রানজেকশন কে অবৈধ ঘোষণা করা সত্বেও ই-ট্রানজেকশন করেন, তাহলে তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন”।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৯ এর উপধারা ১ এ”ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত,কোন পণ্য বা সেবা বিপণন এর উদ্দেশ্যে স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন,তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ধারা ৬৩ অনুযায়ী,”কোন ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন

প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীনে কোন ইলেকট্রনিক রেকর্ড,বই, রেজিস্টার,পত্র যোগাযোগ,তথ্য দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকার করে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তিকে ব্যতিরেকে কোন ইলেকট্রনিক রেকর্ড,বই,রেজিস্ট্রার, সেনসিটিভ ডকুমেন্ট অন্য কোন ব্যক্তির কাছে প্রবেশ করে তাহলে তিনি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত বা অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ এবং ডেটা লঙ্ঘন দিন দিন বাড়ছে, যা ব্যবসায়িক নেতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এসব হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই ঘটনাগুলো সংবেদনশীল তথ্যের ক্ষতি ঘটায় এবং প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি নষ্ট করে। কার্যকরভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, কোম্পানিগুলোর একটি সামগ্রিক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে হুমকি সনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা।

এটি অপ্রত্যাশিত প্রবেশ প্রতিরোধের জন্য সিস্টেমগুলোর যথাযথ কনফিগারেশন এবং ডেটা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে একটি সুসংহত প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জড়িত। ট্রাস্ট তৈরি এবং উন্নত সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরাপত্তা অবস্থান শক্তিশালী করতে পারে।

সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব শুধু কমপ্লায়েন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা চলমান রূপান্তর এবং উদ্ভাবনকে সহায়তা করে। পাশাপাশি সরকারের ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানুয়াল অনুযায়ী যদি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলো চালানো সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা সূচকে আরো অগ্রসর হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, আরো দুইজনের মৃত্যু।

চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোর। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় চারজনের মৃত্যু হল। রোববার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে গত ২৪ ঘন্টায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আরও ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন, যার মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২৪ ঘন্টায় মৃত দুজন হলেন- মো. এরশাদ (১৪) ও ইয়াসমিন আক্তার (৪৫)।কিশোর এরশাদের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শুক্রবার তাকে চট্টগ্রাম সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে।

হৃদরোগ এবং কিডনি জটিলতা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এরশাদ কোভিড আক্রান্ত হন বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এছাড়া মৃত ইয়াসমিনের বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি আগে থেকে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন। কোভিড পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর তাকে শনিবার চট্টগ্রাম সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ভর্তির পরেই আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে।রক্তে সংক্রমণজনিত কার্ডিয়াক শকে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।

এর আগে, শনিবার (২১) আগের ২৪ ঘন্টায় নগরীর বাকলিয়ার বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল সিভিল সার্জনের কার্যালয়।এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১২টি ল্যাবে ২৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রাম নগরীতে বসবাস করেন।এ নিয়ে সরকারি হিসেবে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪ জনে, যার মধ্যে ৬৬ জনই নগরীর বাসিন্দা।মৃত চারজনের মধ্যে একজন নগরীর এবং তিনজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

রাজশাহীতে গাঁজা ও ইযাবা সহ মহিলা গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে গাঁজা ও ইয়াবা সহ মহিলা গ্রেপ্তার হয়েছে ।
রাজশাহীর শাহমখদুম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও ৬০ পিস ইয়াবাসহ একজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোসা: খালেদা বেগম (৪০)। সে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার মো: জীবন রাইহান সেলিমের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমা মুস্তারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি টিম মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, হরিষার ডাইং এলাকায় একটি বাড়িতে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মো: আব্দুল্লাহেল বাকীর নেতৃত্বে সকাল পৌনে ৭টায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় অভিযুক্ত খালেদা বেগম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিকাল ৪টায় আবার অভিযান চালিয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা ও ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত খালেদা বেগমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাহমখদুম থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ