আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ইন্টারনেটে সুরক্ষা:সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ও ব্যবসায়িক সুরক্ষা কৌশল

সানজিদা ইমরান ঝুমু আইন বিভাগ,প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সিকিউরিটি যেমন একটি আতঙ্কের নাম তেমনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সময় কাটানো, অনলাইন কেনাকাটা করা, ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে আমরা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমাদের

কোনো না কোনোভাবে বিপদের সম্মুখীন হতে হয় যেমন:ছোট আকারের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পেমেন্ট সিস্টেম বা গ্রাহক তথ্য সুরক্ষিত না হলে,অপ্রতিষ্ঠিত ড্রপ শিপিং ব্যবসা, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট বা ফ্রিল্যান্সারের পক্ষ থেকে প্রতারণা, সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম গুলোতে অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং,ভুল তথ্য প্রচার বা প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া, স্টার্টআপ ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে যথেষ্ট ফান্ডিং না পাওয়া ইত্যাদি।সাইবার অপরাধের ফলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের

বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভয়াবহ ও আর্থিক পরিণতি ঘটতে পারে। একটি সফল সাইবার আক্রমণের ফলে অর্থ, মেধাসত্ত্ব এবং গ্রাহকের ডাটা হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে যা পুনরুদ্ধার করা বেশ ব্যয়বহুল।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪,”এর ধারা ২৪ এর উপধারা ১ এ বলা হয়েছে,”কোন ব্যাংক বীম বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হইতে কোন ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করিয়া আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে যদি ই-ট্রানজেকশন করেন,

সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময়, জারিকৃত কোন ই-ট্রানজেকশন কে অবৈধ ঘোষণা করা সত্বেও ই-ট্রানজেকশন করেন, তাহলে তিনি অনধিক এক বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন”।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৯ এর উপধারা ১ এ”ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেরক বা গ্রাহকের অনুমতি ব্যতীত,কোন পণ্য বা সেবা বিপণন এর উদ্দেশ্যে স্পাম উৎপাদন বা বাজারজাত করেন বা করিবার চেষ্টা করেন বা অযাচিত ইলেকট্রনিক মেইল প্রেরণ করেন,তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ধারা ৬৩ অনুযায়ী,”কোন ব্যক্তি যদি এই আইন বা তদধীন

প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীনে কোন ইলেকট্রনিক রেকর্ড,বই, রেজিস্টার,পত্র যোগাযোগ,তথ্য দলিল বা অন্য কোন বিষয়বস্তুতে প্রবেশাধিকার করে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তিকে ব্যতিরেকে কোন ইলেকট্রনিক রেকর্ড,বই,রেজিস্ট্রার, সেনসিটিভ ডকুমেন্ট অন্য কোন ব্যক্তির কাছে প্রবেশ করে তাহলে তিনি অনধিক দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত বা অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণ এবং ডেটা লঙ্ঘন দিন দিন বাড়ছে, যা ব্যবসায়িক নেতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এসব হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই ঘটনাগুলো সংবেদনশীল তথ্যের ক্ষতি ঘটায় এবং প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি নষ্ট করে। কার্যকরভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, কোম্পানিগুলোর একটি সামগ্রিক নিরাপত্তা কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে হুমকি সনাক্তকরণ এবং প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা।

এটি অপ্রত্যাশিত প্রবেশ প্রতিরোধের জন্য সিস্টেমগুলোর যথাযথ কনফিগারেশন এবং ডেটা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে একটি সুসংহত প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জড়িত। ট্রাস্ট তৈরি এবং উন্নত সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরাপত্তা অবস্থান শক্তিশালী করতে পারে।

সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব শুধু কমপ্লায়েন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা চলমান রূপান্তর এবং উদ্ভাবনকে সহায়তা করে। পাশাপাশি সরকারের ইনফরমেশন সিকিউরিটি ম্যানুয়াল অনুযায়ী যদি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলো চালানো সম্ভব হয় তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা সূচকে আরো অগ্রসর হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চালের বাজারে দরপতন, বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাইকারিতে চালের দর নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তবে খুচরায় এখনও তেমন প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে বলে আশা বিক্রেতাদের। অন্যদিকে বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম। ডিমের দাম কমেছে, বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। তবে শবে বরাতকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় গরুর মাংসের দর বাড়তি থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। এবার গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানে চাহিদা কমে যাওয়া, বিপুল পরিমাণ আমদানি ও সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির খবরে দরপতন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চালের আড়ত, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।এ ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্য, শাকসবজির দাম আগের মতোই আছে।

শাকসবজি বরাবরের মতো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। মাছের কিছুটা চড়া দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাহাড়তলীর আড়তগুলো ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা, বেতি আতপ, নাজিরশাইল, পাইজাম চালে সয়লাব। প্রতিকেজি বেতি আতপ তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। ৩৮ টাকার সিদ্ধ নাজিরশাইল ৩৫ থেকে ৩৬ আর ৩০ টাকার পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।

তবে দেশি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও কাটারি আতপের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব চালের দাম তেমন কমেনি। তবে না কমলেও আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন পর রমজান মাস শুরু হবে। তখন চালের চাহিদা কমে যাবে। ঈদের পরেই শুরু হবে বোরো মৌসুম। আবার ভারত, মায়ানমার থেকে যে পরিমাণ চাল এসেছে, আড়তে এখন প্রচুর মজুত আছে। টিসিবি বলছে, তারা ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি করবে। সব মিলিয়ে চালের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে আরও কমবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা মুদি দোকান হারুন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুচরায় কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। দুইমাস আগে পাইকারিতে বস্তায় যেখাতে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছিল, সেখানে কমেছে মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এটা আরও কমলে খুচরায় প্রভাব পড়বে।
তবে নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার এক দোকানি বলেন, খুচরায় চাল আমরা এখনও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ২৫ কেজি কিংবা ৫০ কেজির বস্তায় ৪০-৫০ টাকা কমেছে। কিন্তু গাড়ি ভাড়ায় পোষাচ্ছে না। আরও কমলে তখন গড়পরতা হিসেবে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছোলা ১২০ থেকে ১৩০ কিংবা ১৩৫ টাকার মধ্যে ছিল বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন, মসুর ডালের দাম কেজিতে অন্তঃত ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ছোট মুগ ডাল কেজিতে বেড়েছে অন্তঃত ২৫ টাকা।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি আছে। খোলা চিনির মধ্যে সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে খুচরা পর্যায়ে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রমজানের আরেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খেজুর।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্যাকেটজাত খেজুরের মধ্যে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দাম কমেছে ৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের দামও প্রতি ডজনে অন্তঃত ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম আগের দরে প্রতিডজন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মুরগির দর গত সপ্তাহের মতোই আছে।

শবে বরাতের আগেরদিন গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার দাম বাড়েনি। তবে খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।এছাড়া বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যেই আছে। বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার-৪০

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে নগরীর ১৬ থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এদের অধিকাংশই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।

গ্রেফতার ৪০ জনের মধ্যে নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাতজন, পাঁচলাইশ থানায় দুইজন, চকবাজার থানায় একজন, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় চারজন, আকবরশাহ থানায় চারজন, সদরঘাট থানায় একজন, হালিশহর থানায় তিনজন, খুলশী থানায় দুইজন, ইপিজেড থানায় দুইজন, ডবলমুরিং থানায় এক শিশুসহ চারজন, পতেঙ্গা থানায় একজন আছেন।এ ছাড়া নগরীর বন্দর থানায় একজন, পাহাড়তলী থানায় দুইজন, চান্দগাঁও থানায় একজন, বাকলিয়া থানায় তিনজনজন এবং কর্ণফুলী থানায় একজন আছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ