আজঃ বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কেজিডিসিএলে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে ১ লাখ ৩০ হাজার আবেদনে সাড়া মিলেছে ৬৩ হাজারের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) ১ লাখ ৩০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ১ লাখ মিটারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড মিটার বসিয়েছে। বাকিদের বেশিরভাগের সাড়াশব্দ নেই। তাদের দৃষ্টিগোচর করে নিয়মিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা, চিঠি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কখনো কখনো ছুটে যাচ্ছেন খোদ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরাই।

এদিকে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত যেসব গ্রাহক প্রিপেইড মিটার বসায়নি তাদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যাচ্ছে কেজিডিসিএল। তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটছে সংস্থাটি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ও কেজিডিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নাহিদ আলম

বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবাইকেই প্রিপেইড মিটার নিতে হবে। আমাদের নীতিমালায়ও মিটারের কথা বলা আছে। মিটারের মাধ্যমেই গ্যাস দিতে হবে। যারা আবেদন করেও এখন পর্যন্ত প্রিপেইড মিটার স্থাপন করছেন না আমরা দুই এক মাসের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যাবো। সোজা কথা যারা মিটার নিবে না আমরা তাদের লাইন কেটে দিবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে পরিকল্পনা চলছে। শিগগির তাদেরও প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্পের মেয়াদ জুনে শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ এক দফা বাড়ানো হয়েছে। আবারো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

ফলে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তেই কঠোর হতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।
জানা গেছে, আবাসিক সংযোগে ১ লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ২০২১ সালের ১৮ মে এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই বছরের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আগে গ্রাহকের নিজস্ব খরচে রাইজার থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত পৃথক লাইন নিতে হবে। ভবনে নতুন করে পাইপ লাইন স্থাপনসহ একেকটি চুলার পেছনে ৪ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। বিরাট অংকের এ টাকা খরচে নারাজ বেশিরভাগ গ্রাহক। ফলে শুরুতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনে আগ্রহী হলেও পরে খরচের ভারে ঝিমিয়ে পড়েছেন তারা।যদিও কেজিডিসিএল মনে করছে, খরচ ছাড়াও গ্যাস চুরিও একটি কারণ হতে পারে।

নাম প্রকাশে কেজিডিসিএলের কয়েকজন কর্মকর্তা বলছেন, অনেকে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন। বর্তমানে আবাসিকে দুই চুলায় ৬০ ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০৮০ হাজার টাকা। এটাই সরকার নির্ধারিত লিমিট যে আপনি ১০৮০ টাকা দিয়ে ৬০ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। এখন অনেক গ্রাহক এর চেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন। তাই অনেক গ্রাহক চিন্তা করছেন আমরা যদি মিটার লাগাই আমাদের যে গ্যাসের ব্যবহার তা ৬০ ঘনমিটারের চেয়ে বেশি হবে। বিল বেশি যাবে এই কারণেই অনেক গ্রাহক মিটার নিতে চায় না।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন, আমার ভবনে ২৬টি ফ্ল্যাট। সব ফ্ল্যাটের জন্য রাইজার থেকে আলাদা ২৬টি লাইন টানতে হবে। একেকটি লাইন টানতে ৪ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হবে। এই মুহুর্তে এ টাকা খরচ করা সম্ভব না। আরেকজন গ্রাহক বলেন, গ্যাস বিল সাশ্রয় হবে ঠিক আছে। কিন্তু বিল তো দেয় ভাড়াটিয়া। আমার লাভ কি?। উল্টো এখন আলাদা করে নতুন লাইন টানতে অনেক খরচ সেটা কে দিবে? পরে প্রত্যেকমাসে মিটার ভাড়াও কাটবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রূপগঞ্জে সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়-কর্ণগোপ সড়কের শাখা রাস্তা বরপা-শান্তিনগর সড়কের নোয়াগাঁও এতিমখানা মোড় এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তারাবো পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে মোস্তফা মিয়া ওই রাস্তার মাটি কেটে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। এখনই রাস্তার মাটি কাটা বন্ধ করতে না পারলে পরবর্তীতে বিষয়টি আরো জটিল হয়ে পড়বে। রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার কাজ এলাকাবাসী বাঁধা দেওয়ায় মোস্তফা মিয়া ও তার নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। রূপগঞ্জ

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামকে জানিয়েও এলাকাবাসী কোন সুফল পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মোস্তফা মিয়া স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তার রাস্তা দখলে নিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি হলেও এর প্রতিকার কেউ করতে পারছে না।

জানা গেছে, ১৯৯২সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভূমি হুকুম দখল করে এসএসআইসি-৮ প্রকল্পের আওতায় এখানে ৩০ফুট প্রস্থে সেচ খাল ও ১০ফুট প্রস্থে রাস্তা নির্মাণ করে। পরে তারাবো পৌরসভা এ রাস্তাটিকে ইটের সলিংয়ে উন্নীত করে। এলাকাবাসী যখন রাস্তাটিকে প্রসস্ত ও পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছে, ঠিক তখনই স্থানীয় প্রভাবশালী ও আওয়ামীলীগ সমর্থক মোস্তাফা মিয়া ভূমি হুকুম দখলকৃত সেচ খাল ভরাট করে রাস্তাটি দখলে নিয়ে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোস্তাফা মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকার করেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তারাবো পৌর প্রশাসক মোঃ সাাইফুল ইসলাম বলেন, সেচ খালের জমি ও রাস্তা দখলকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। বেদখলকৃত সকল সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে। দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টা থেকে রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ২০ জনকে গ্রেফতার করা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম ওরফে আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন

লিটন (৩৮), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ(৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও কর্ণফুলী থানার জুলধা ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ