
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে সভা করে প্রাইম মুভার ট্রেইলার, ফ্লাটবেড, লো-বেড ও সেমি লো-বেড মালিক-শ্রমিকদের ডাকা সোমবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত লক আউট/ গাড়ী বন্ধের কর্মসূচী স্থগিত করেছে চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স এসোসিয়েশন। রোববার নগরীর সার্কিট হাউজে সভা করার পর গণমাধ্যমকে
আগামী দুই মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ফ্লাটবেড ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আবু সালেহ জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রাজু, বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ আসফিকুজ্জামান আকতার, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোরশেদুল আলম কাদেরী ও গণপরিবহণ খাতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দগণ।

সভায় সংগঠনের পক্ষে লক আউট এর মাধ্যমে ৪৮ ঘন্টা গাড়ী বন্ধের কর্মসূচী আগামী দুই মাসের জন্য স্থগিত বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ও ফ্লাটবেড ওনার্স এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রাজু।সভায় মেয়র বলেন, বন্দর আমাদের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। একে যেকোনোভাবে রক্ষা করতেই হবে। তিনি লকআউটের কারণে ৪৮ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, গাড়ি বন্ধ হলে দেশের বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। এটা বিভক্তির সময় নয়। দেশের অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে সবাইকে ছাড় দিতে হবে। “দেশ থেকে ২৪ লক্ষ কোটি টা
কা পাচার হয়ে গেছে, অথচ এখন আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। আমি আমার সিটি কর্পোরেশনের ১৬০০ কিলোমিটার নালা-খাল পরিষ্কার করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম, কিন্তু মাত্র ৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা এখনো পাইনি। ফলে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা উপলব্ধি করে ছোট-খাট বিষয়ে আন্দোলন পরিহার করতে হবে। আমি পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবিগুলো

শুনেছি। যেসমস্ত দাবি যৌক্তিক সেগুলো বাস্তবায়নে সহায়তা করব ”। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, গণপরিবহন আইনের বিভিন্ন জটিলতার প্রেক্ষিতে মামলা-জরিমানার বোঝা টানতে গিয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এজন্য আমরা ২ দিনের জন্য গাড়ি বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। তবে, মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ আমাদের দাবিগুলো শুনেছেন। মেয়র মহোদয় আমাদেরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বিধায় দুই মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করা হল।