আজঃ শনিবার ১৫ মার্চ, ২০২৫

বছরে বর্জ্য উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন চসিক সংগ্রহ করে মাত্র নয় লাখ টন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগীর বাসিন্দাদের বছরে বর্জ্য উৎপাদন হয় ১৯ লাখ টন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বর্জ্য সংগ্রহ করে মাত্র নয় লাখ টন।
বাকি ১০ লাখ টন বর্জ্য গিয়ে পড়ছে খাল-নালা ও নদীতে। এই বিশাল পরিমাণ বর্জ্য সংগ্রহ করতে না পারাকে নগরীর জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা বন্ধ এবং নির্ধারিত সময়ে, নির্দিষ্ট স্থানে নগরীর বাসিন্দাদের বর্জ্য ফেলা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে সিটি কর্পোরেশনের। নয়তো জলাবদ্ধতার নিরসনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও অর্থের অপচয় ছাড়া কোন কাজে আসবে না।

এদিকে শুধু নালা-খাল পরিষ্কার করলেই হবে না, নগরবাসীকে সচেতন করতে পারলেই জলাবদ্ধতার সুফল পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, নালা পরিষ্কার করলাম, খাল পরিষ্কার করলাম। কিন্তু প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন এগুলো বাইরে থ্রো করছি, এগুলো এরপর নালায় যাচ্ছে। পরে সেখান থেকে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। প্রথমে নগরবাসীকে সচেতন করা হবে। তাতেও কাজ না হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে।

অন্যদিকে নগরীর ৭০ লাখ মানুষের এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা না আনলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন চার প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারের তিন সংস্থা। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মূল প্রকল্পটি নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পটির অধীনে নগরের ৩৬টি খাল পরিষ্কার ও সংস্কার করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিটি কর্পোরেশনের সংগ্রহের বাইরে থাকা প্রতিবছর উৎপাদিত ১০ লাখ টন বর্জ্য। এসব বর্জ্য গিয়ে পড়ছে খালে। পরিষ্কারের পরদিনই বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ফলে প্রকল্পের তিন ভাগের বেশি কাজ শেষ হলেও জলাবদ্ধতা নিরসন দৃশ্যমান হচ্ছে না।

প্রকল্পটির পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা খালগুলো একাধিকবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু আবর্জনা অপসারণের পরদিন গিয়ে দেখা যায় খাল ভরাট হয়ে আছে। অনেক জায়গায় প্রতিদিন বাসা-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য রাখা হয় খালের পাড়ে। খোলা জায়গায় রাখা এসব বর্জ্যরে অধিকাংশ খালে পড়ে ভরাট হয়। ফলে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা হয়। খালে জমাট বাঁধা বর্জ্যরে অধিকাংশই পলিথিন, ককশিট ও প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল বর্জ্য।

এদিকে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্প ও দুই হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর বাড়ইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সিডিএ’র ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পটির পূর্ত কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক আহমদ মঈনুদ্দিন বলেন, নগরীতে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা না আনলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরও নগরীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন আসবে না। খাল-নালা সংস্কার ও নির্মাণ এবং খালের মুখে স্লুইসগেট নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতার প্রকোপ কিছুটা কমে আসবে। কিন্তু আবর্জনায় খাল-নালা ভরাট হয়ে থাকলে পানি আটকে জলাবদ্ধতা হবেই।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে এক মতবিনিময় সভায় অর্ন্তবর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক খাল-নালায় ময়লা ফেললে জেল-জরিমানা করার ব্যাপারে চসিককে চিন্তা করতে বলেন। এ সময় তিনি বলেন, চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক ধরনের কাজ করতে পারে। প্রথমে সচেতনতা, তারপর সতর্কতা, এরপর শাস্তি; এভাবে যদি এগিয়ে যাওয়া যায় আশা করি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পাওয়া যাবে। নগরে বসবাসকারী যে সমস্ত পরিবার শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে চলবে তাদের পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এগুলো যারা মান্য করবে না তাদের তিরস্কার এবং জরিমানা করা যায়। যারা কোনভাবেই মানবে না তাদের দুয়েকজনকে জেলও দিতে পারি। তাহলে ময়লা যত্রতত্র ফেলবে না।
এদিকে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এছাড়া খালের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু বর্জ্য অপসারণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। নগরবাসীর যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য সংগ্রহে গাফিলতি এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন তারা। ফলে একেকটি খাল একাধিকবার পরিষ্কারের পরও ভরাট হয়ে থাকে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন ৭৪০ গ্রাম বর্জ্য উৎপাদন করে। সে হিসেবে ৭০ লাখ লোকের চট্টগ্রাম নগরে প্রতিদিন বর্জ্য উৎপাদন হয় ৫ হাজার ১৮০ টন। বছরে উৎপাদন করে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টন বর্জ্য। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই বছর তারা বর্জ্য সংগ্রহ করেছে ৯ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টন। বাকি প্রায় ১০ লাখ টন বর্জ্য নালা-নর্দমা ও খাল হয়ে নদীতে চলে যায়। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দূষণরোধ, নাব্য বৃদ্ধি এবং অবৈধ দখল রোধকল্পে মহাপরিকল্পনা করেছে সরকার।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের যে ব্যবস্থা রয়েছে তা সন্তোষজনক নয়। ন্যূনতম যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতেও আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত না করার কারণে শৃঙ্খলা আনা যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীর বর্জ্য ফেলা নিশ্চিত করতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা বন্ধে জরিমানা ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। তবেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল পাবে নগরবাসী। নয়তো জনগণের অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু হবে না।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইনে আইন প্রয়োগের এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনকে। বর্জ্য সংগ্রহে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত আইনের প্রয়োগ দেখা যায়নি। আইনের পঞ্চম তফসিলে বর্জ্য ফেলে খাল-নালা ভরাটকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই অপরাধে দণ্ডের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশনকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের মানববন্ধন

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন থেকে অন্য কমিশনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহ্বানে মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাইউল ইসলাম, অফিস সহকারী রায়হান আলী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সজিব হোসেন ও বিশ্বজিৎ, স্ক্যানিং অপারেটর শাহানাজ পারভিন এবং অফিস সহায়ক আব্দুল সামাদ। এ ছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ সুপারভাইজার কামরুজ্জামান, প্রভাষক আব্দুল মমিন, এনামুল করিম, মুঞ্জুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ ও আজিমুদ্দিনসহ স্থানীয় কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাইউল ইসলাম বলেন, “দুইটি অফিসে এনআইডি সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হলে জনগণ সেবা পেতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়বে। এতে জনগণকেও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের নিয়মে সেবা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়ে আমরা এ কর্মসূচি পালন করেছি।

উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবাকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা না হলে স্থানীয় পর্যায়ে সেবার মান কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপে নির্বাচন কমিশনের স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবা প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কলেজ শিক্ষকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রীর।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের দুটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ৫৬ সেকেন্ড ও ১১ সেকেন্ডের ভিডিও দুটিতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় এক নারী ও অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে।

বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভিডিওতে থাকা ওই ছাত্রী। এমনকি ভিডিওটি নিজেই ধারণ করেছেন বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের প্রভাষক। পাশাপাশি তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাবের (টাউন ক্লাব) সদস্য। তার বাড়ি জেলা শহরের হুজরাপুর এলাকায়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের বাড়িতেই ঘটে ধর্ষণের এ ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক চন্দনের বড় ভাই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোদাস্বের হোসেন সুমনের কাছে পড়তেন বলে জানান ওই ছাত্রী।

তিনি অভিযোগ করেন, আমরা চন্দনের বড় ভাই সুমনের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। প্রথম ঘটনার দিন আমাদের প্রাইভেট ছিল না। সুমন স্যারের কাছে একটা বই নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু স্যার আরেকটা ব্যাচ পড়াচ্ছিলেন। তাই স্যারের কথামতো পাশের একটি রুমে বসে অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় চন্দন এসে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। গেট লাগিয়ে দেয়ায় চেষ্টা করলেও বের হতে পারিনি৷

তিনি আরও বলেন, প্রথমদিন এমন ঘটনা ঘটার পর আবার আমাকে ফোন দিয়ে ডাকে। এ সময় আমি স্বেচ্ছায় তার বাসায় গিয়ে পরিকল্পিতভাবে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করি। শুধু আমার সাথেই মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন এমনটা করেছে তা নয়; আমার এক বান্ধবীসহ অনেক ছাত্রীকেই পড়ানোর সময় সুযোগ পেলেই শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন। এমনকি বাজে প্রস্তাব দিতেন।

তার চরিত্রে সমস্যা আছে জানিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আরও বলেন, মেয়েদের সঙ্গে কথা বললেই নানারকম কুপ্রস্তাব দেন চন্দন। বিষয়টি তার ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেই জানতে পারবেন।

ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি তিনি বান্ধবীদের কাছে জানতে পেরেছেন। তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই কলেজছাত্রী।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভিডিও দুটি ভাইরাল হলে এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান অনেকেই।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ মার্চ) নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ মো. তরিকুল ইসলাম সিদ্দিকী মোবাইলে বলেন, গতরাতে সোস্যাল মিডিয়ায় আমরাও ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। এ নিয়ে কী করা যায়, তা ঠিক করতে গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার ভাই নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোদাস্বের হোসেন সুমন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এরপর আর এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মতিউর রহমান বলেন, আপত্তিকর ভিডিওটি আমাদের নজরে এসেছে৷ এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ